প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে নতুন মন্ত্রিসভার সদস্যরা শপথ নেবেন আগামী বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ৭টায়।
রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদীন মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বাসসকে বলেন, ‘‘রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন নতুন মন্ত্রিপরিষদ সদস্যদের শপথবাক্য পাঠ করাবেন।”
বঙ্গভবনের মুখপাত্র জানান, ওই দিন সন্ধ্যা ৭টায় বঙ্গভবনের দরবার হলে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন নতুন মন্ত্রীদের শপথ অনুষ্ঠান পরিচালনা করবেন। এ উপলক্ষে প্রায় এক হাজার অতিথিসহ বিশিষ্ট ব্যক্তিদের নিয়ে অনুষ্ঠান আয়োজনের প্রস্তুতি নিয়েছে বঙ্গভবন।
আগামীকাল বুধবার বিকেলে বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে এক সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এর আগে মঙ্গলবার দুপুরে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন বলেন, আগামীকাল (বুধবার) নবনির্বাচিত সংসদ সদস্যরা শপথ নেবেন।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, মন্ত্রিসভার আকার ও নতুন মন্ত্রিসভায় কারা থাকবেন, সে বিষয়ে তিনি এখনও নির্দেশনা পাননি।
গত ৭ জানুয়ারি, ২৯৯টি আসনে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটগ্রহণ হয়। আওয়ামী লীগ ২২২টি, জাতীয় পার্টি ১১ ও স্বতন্ত্র প্রার্থীরা ৬২টি আসনে জয় পেয়েছেন।
আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোটের শরিকরা- ওয়ার্কার্স পার্টি ও জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ) ১টি করে আসন পেয়েছে। নির্বাচনে একটি আসনে জয় পেয়েছে বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি।
মঙ্গলবার ২৯৮ জন সংসদ সদস্যের তালিকাসহ গেজেট প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
সংবিধান অনুযায়ী, নির্বাচনের ফলের সরকারি গেজেট প্রকাশের পর, স্পিকার নবনির্বাচিত সংসদ সদস্যদের শপথবাক্য পাঠ করাবেন।
গেজেট প্রকাশের তিন দিনের মধ্যে স্পিকার সংসদ সদস্যদের শপথ পড়াতে অক্ষম বা অনিচ্ছুক হলে, প্রধান নির্বাচন কমিশনার পরবর্তী তিন দিনের মধ্যে শপথ পাঠ করাবেন।
যদি কোনও সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর সংসদের প্রথম বৈঠকের তারিখ থেকে ৯০ দিনের মধ্যে শপথ না নেন, তাহলে তার আসন শূন্য হবে। সাধারণত সংখ্যাগরিষ্ঠ আসনপ্রাপ্ত দলের এমপিরা প্রথমে শপথ নেন ও পরবর্তীতে অন্যরা।