সৌম্যর আউট হওয়া না হওয়া নিয়ে শুরু হয়েছে নতুন বিতর্ক। লঙ্কান দল অফিসিয়ালি লিখিত অভিযোগ জানাবে এ নিয়ে। উত্তেজনার সময় চতুর্থ আম্পায়ারের কাছে যেতে দেখা যায় লঙ্কান কোচ ক্রিস সিলভারউড ও দুই ম্যাচ নিষিদ্ধ থাকা অধিনায়ক হাসারাঙ্গাকেও।
সে সময় ড্রেসিংরুমে বাংলাদেশি অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তও ঠিক ‘শান্ত’ ছিলেন না। তবে সংবাদ সম্মেলনে আগুনে ঘি ঢালেননি তিনি, ‘‘আমি ওয়ার্মআপ করছিলাম। আর এমনি কথা বলছিলাম। আউট বা ওই বিষয় নিয়ে কোনো কথা বলি নাই। ক্লিয়ারলি তো ওটা থার্ড আম্পায়ারের ডিসিশন ছিল, ফিল্ড আম্পায়ারের না। সো এটা নিয়ে মনে হয় না যে কোনো কমেন্ট করার প্রয়োজন আছে।’’
টি-টোয়েন্টিতে ১১ ইনিংস পর ফিফটি পেলেন নাজমুল হোসেন। তাতে জিতেছেন ম্যাচ সেরার পুরস্কারও। এ নিয়ে প্রশ্ন করলে শান্তর হেসে জবাব, ‘‘এত পরিসংখ্যান কেমনে দেখেন আপনারা! পঞ্চাশ করাটা গুরুত্বপূর্ণ না, দলের জন্য যতটা ইফেকটিভ ততটা করতে পেরে খুশি। ভালো লেগেছে। সবচেয়ে বেশি ভালো লেগেছে খেলাটা শেষ করে আসতে পেরেছি। চেষ্টা করছি সামনে এটি কন্টিনিউ করার।’’
পুরো বিপিএলে একটাও ছক্কা ছিল না শান্তর। আজ (বুধবার) মেরেছেন দুটি ছক্কা। শেষ ছক্কায় জিতেছে দল, হয়েছে তার চতুর্থ ফিফটি।
তবে ছক্কার নেশায় থাকেন না বলেই জানালেন শান্ত, ‘‘মনে নেই, আসলেই মনে নেই (শেষ কবে ছক্কা মেরেছি। শুনতেছিলাম বিপিএলে একটা ছয়ও মারতে পারিনি, আপনাদের মাধ্যমেই শুনেছি। নিজেও জানতাম না, সত্যি বলছি। কিন্তু এটাও সত্য যে ছয় মারাও এতটা ইমপরটেন্ট না। অনেক সময় দেখা যায় যে আমি কতটা লো রিক্সে বা মিডিয়াম রিক্সে কতটা ভালো ব্যাটিং করছি উইথ ভালো স্ট্রাইক রেটে। এটা নিয়েও বিপিএলে স্ট্রাগল করেছি, স্ট্রাইক রেট অতটা ভালো ছিল না। আজকে দুটি ছয় মারতে পেরেছি, অবশ্যই ভালো লেগেছে। তবে এটা নিয়ে খুব বেশি চিন্তা করছি না যে ছয় মারতে পারছি কি পারি নাই।’’
প্রথম ম্যাচ হারলেও দলে কোন পরিবর্তন আনেনি বাংলাদেশ। পুরো দলের ওপর বিশ্বাস থাকার কথাই শোনালেন শান্ত, ‘‘ম্যাচ জিতে ভালো লাগছে। আমরা দুইটা ম্যাচেই ভালো ক্রিকেট খেলেছি। দুর্ভাগ্য ছিল শেষ ম্যাচটি জিততে পারিনি। কিন্তু দুইটা ম্যাচেই টিম হিসেবে খেলতে পেরে খুবই খুশি। হ্যাঁ বিপিএলটা ভালো যায়নি। ব্যাটিং নিয়ে কাজ করছি। চেষ্টা করছি যে ঘাটতি ছিল সেটা নিয়ে কাজ করার। আজকে আলহামদুলিল্লাহ একটু ভালো হয়েছে। চেষ্টা করব সামনে আরও কন্টিনিউ করার।’’
শান্ত আরও যোগ করেন,‘‘ অবশ্যই দেখেন এটা একটা দলে খুব গুরুত্বপূর্ণ। কারণ যেটা বললাম যে, প্রথম ম্যাচটাও আমরা ভালো ক্রিকেট খেলেছি। লাস্ট ওভারে গিয়ে হারছি, তিন রানে হারছি। আমার মনে হয় খুব বেশি ঘাটতি ছিল না ওই ম্যাচে। অবশ্যই ইমপ্রুভের জায়গা ছিল। কিন্তু যে জিনিসটা ভালো লেগেছে, সবাই টিমের জন্য চেষ্টা করেছে। এই জন্য আমি, কোচিং স্টাফ যারা ছিলেন তারা খুব বেশি চিন্তা করিনি, কিন্তু এটা অবশ্যই কাজে দিয়েছে।’’
ম্যাচের আগে অনুশীলনে ব্যাটিং কোচ ডেভিড হেম্পের সঙ্গে কাজ করাতেই কি ফিরলেন রানে? শান্ত সেটা মনে করছেন না, ‘‘ কি নিয়ে কাজ করছিলাম সেটা বলতে চাই না। টেকনিক্যাল বিষয়। সেই কাজটা করাতেই যে আজকের ম্যাচে সাফল্য পেয়েছি, এমন কিছুও না। নিজের থেকে একটা জিনিস চেষ্টা করছি, আস্তে আস্তে কাজ করছে।’’
টানা দুই টস জিতেছেন শান্ত। শেষ টসটাও কি জিততে চান? তার হাসি, ‘‘ম্যাচটা জিততে চাই। টসের ব্যাপারটি জানি না। ম্যাচটা জিততে চাই।’’