পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রথম টেস্টে বাংলাদেশের জয় এসেছিল পঞ্চম দিনে। প্রথম চারদিন কাঁধে কাঁধ ঠেকিয়ে লড়েছিল বাংলাদেশ। দ্বিতীয় টেস্টে দৃশ্য এমন ছিল না।
নিজেদের প্রথম ইনিংসে ২৬ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে ম্যাচ থেকে ছিঁটকে যায় বাংলাদেশ। ওই অবস্থায় চরম নার্ভাস ছিলেন ক্রিকেটাররা। তবে ম্যাচে ফেরার পথ তৈরি হয় ঘুরে দাঁড়ানোর বিশ্বাসে।
সিরিজ জয়ের পর সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন নাজমুল হোসেন শান্ত ও মেহেদি হাসান মিরাজ। একজন বিদেশের মাটিতে শক্তিশালি দলের বিপক্ষে প্রথম সিরিজ জয়ী অধিনায়ক। অপর জন ওই সিরিজের সেরা খেলোয়াড়। দুজনের কন্ঠেই একটি বিষয় মিলে গেল। প্রথমে নার্ভাস থাকা, এরপর বিশ্বাসের সাহস দিয়ে লক্ষ্য ছোঁয়া।
প্রথম ইনিংসে ব্যাকফুটে চলে যাওয়ার বিষয়টি সামনে এনে শান্ত বলেছেন, “আমি মিথ্যা বলব না, তখন অনেক পিছিয়ে ছিলাম আমরা, কিছুটা নার্ভাসও ছিলাম। তবে মিরাজ এবং লিটন যেভাবে ব্যাট করল ১০-১৫ ওভার পরে আমরা ভালো জায়গায় চলে যাই। বিশ্বাস ছিল তারা আমাদের ভালো জায়গায় নিয়ে যাবে।”
অধিনায়ক আরও যোগ করেন, “মিরাজ ব্যাট করতে যাওয়ার সময় একটি কথা বলেছিল। সে বলেছিল, সে এবং লিটন দলের জন্য কাজটা করে দিতে পারবে। তারা এটি আগেও করেছে। এটা দারুণ ব্যাপার। যে বিশ্বাসটা তাদের মধ্যে ছিল, ড্রেসিংরুমে যে বিশ্বাস ছিল আমাদের উপর। এবার অনেক ভিন্ন ছিল।”
সিরিজ জয়ের শটটি নিয়েছেন সাকিব আল হাসান। অপরপ্রান্তে ছিলেন মুশফিকুর রহিম। দেশের ক্রিকেটের অনেক সাফল্যের দুই সারথী আরেকটি অর্জনের সাক্ষী হলেন মাঠ থেকে।
শান্ত জানিয়েছেন সাকিব-মুশফিক ম্যাচটা শেষ করুক এমনটা তারাও চাইছিলেন, “মুশফিক ভাই সাকিব ভাই যখন ব্যাট করছিল আমরা চাচ্ছিলাম এই দুজনই খেলা শেষ করুক। এত বছর ধরে উনারা খেলছেন। কত ম্যাচ জিতিয়েছেন। এরকম ম্যাচ জেতানো বিশেষ। আমরা সবাই চাচ্ছিলাম এবং সবাই অনেক খুশি।”
সেই খুশিটা শেষ হচ্ছেই না শান্তর। বলেছেন, “জয়ের আবেগটা কেমন তা আসলে মুখে বলা মুশকিল। এ ধরনের অর্জন আমার কাছে বাংলাদেশের ক্রিকেটের অন্যতম সেরা মুহূর্ত।”
শান্ত অধিনায়ক হওয়ার পর ছয় টেস্টে তিনটি ম্যাচ জিতেছে বাংলাদেশ। পাকিস্তানের বিপক্ষে দুই জয়ের আগে ছিল নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে একটি জয়। তিন জয়ে বাংলাদেশের অন্যতম সফল অধিনায়কও হয়েছেন এই তরুণ অধিনায়ক।