ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা ১৫ আগস্টকে ঘিরে যেন ‘নাশকতা’ করতে না পারে সেজন্য ঢাকার শাহবাগে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।
বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা থেকে ঢাকার বিভিন্ন এলাকা থেকে ছোট ছোট দল নিয়ে শাহবাগের ফুল মার্কেট ও আশপাশের বিভিন্ন ফুটপাতে অবস্থান নেন তারা।
দুপুরের দিক থেকে জমায়েত বাড়তে থাকে। সেসময় শাহবাগে উপস্থিত হন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ।
এর আগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে অবস্থান করছিলেন আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক সারজিস আলম। সেখানে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, “আমরা বিগত ১৬ বছর ধরে শুনে এসেছি, দেশে যাই হোক তা ওই এক মানুষের ইশারায় হয়। তাহলে বিগত দেড় মাসে যা ঘটেছে তার হুকুমদাতাও হাসিনা।
“ফলে খুনি হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে এনে বিচারের মুখোমুখি করতে হবে। এ নিয়ে কোন তাল-বাহানা সহ্য করা হবে না।”
শেখ হাসিনার বিচার নিয়ে কোনও প্রশ্ন আসুক তা চান না জানিয়ে সারজিস বলেন, “আমরা চাই তার বিচার এমনভাবে হবে যাতে কেউ প্রশ্ন করতে না পারে। তাই আমরা আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের মাধ্যমে তার বিচার করার দাবিতে রাজপথে আছি।”
পরে দুপুর ২টার দিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মীরা মিছিল নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের দিকে চলে যায়।
ওই সময় জামায়াত-শিবিরেরও কয়েকশ নেতাকর্মীকে শাহবাগের ফুল মার্কেটের সামনে অবস্থান করতে দেখা গেছে। তাদের প্রায় বেশিরভাগের হাতেই প্লাস্টিকের পাইপ ছিল, যার মাথায় বাঁধা জাতীয় পতাকা।
এর আগে বুধবার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ বলেছিলেন, “১৫ আগস্ট ঘিরে ফ্যাসিবাদি আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা যাতে সংগঠিত হয়ে সন্ত্রাস ও নাশকতা করতে না পারে, সেজন্য আমরা অবস্থান নিয়েছি। আমাদের রেজিস্ট্যান্স উইক চলছে। চার দফা দাবি নিয়ে আমরা রাজপথে থাকব। আওয়ামী লীগের নেতারা যেই প্রতিবিপ্লব করার স্বপ্ন দেখছেন তা এরই মধ্যে ভেস্তে গেছে। এখন যেন তারা কোনও নাশকতা না করতে পারে তাই আমরা রাজপথে আছি।”