Beta
বুধবার, ৩০ এপ্রিল, ২০২৫
Beta
বুধবার, ৩০ এপ্রিল, ২০২৫

নির্বাচন নিয়ে ১০ হলিউড সিনেমা

Politics Cinema
[publishpress_authors_box]

বিংশ শতকের শুরু থেকেই নির্বাচনকে বিষয়বস্তু করে রাজনৈতিক সিনেমা বানানো শুরু।  সে সময়ের  লন্ডনভিত্তিক পত্রিকা ‘কাইনেমাটোগ্রাফ উইকলির’ দাবি ১৯০৭ সালে লন্ডন কাউন্টি কাউন্সিল নির্বাচনকে ঘিরে প্রথমবারের মতো চলচ্চিত্র দেখানো হয়েছিল। নির্বাক সেই সিনেমার নাম অবশ্য জানা যায়নি।

চলচ্চিত্র ইতিহাসবিদদের দাবি,  মূলত ১৯১০ সাল থেকে ব্রিটেনে এ ধরনের নির্বাচনকেন্দ্রিক সিনেমার চল জোরেশোরে শুরু হয়। যদিও এর সবই ছিল নির্বাক। তখন রাজনৈতিক বক্তৃতার পাশাপাশি সমাবেশগুলোতে নির্বাক চলচ্চিত্র দেখানো হতো। একশ বছরেরও বেশি সময় ধরে নতুন নতুন প্রযুক্তি সিনেমাকে আজকের দিনে অন্য জায়গায় নিয়ে গেছে। এমনকি নির্বাচন কেন্দ্র করে রাজনৈতিক সিনেমার ধারায় যোগ হয়েছে বেশকিছু ক্লাসিক সিনেমা। 

ভোট দিয়ে এসে নির্বাচনের দিন এই সিনেমাগুলো দেখে নিতে পারেন, যা চলচ্চিত্রপ্রেমিদের কাছে ইতিমধ্যেই প্রশংসা পেয়েছে।

দ্য মাঞ্চুরিয়ান ক্যান্ডিডেট

রিচার্ড কনডনের ১৯৫৯ সালে প্রকাশিত উপন্যাস অবলম্বনে পলিটিক্যাল থ্রিলারধর্মী সিনেমা। এর পরিচালক জন ফ্রাঙ্কেনহাইমার। ১৯৬২ সালে নির্মিত এই সিনেমার মূল চরিত্রে অভিনয় করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের বিখ্যাত গায়ক ফ্রাঙ্ক সিনাত্রা। সিনাত্রা এখানে রবার্ট শ লরেন্স চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন। 

সিনেমায় রবার্ট শ লরেন্স একজন ‘ওয়ার হিরো’। কোরিয়ার যুদ্ধ শেষে যিনি আন্তর্জাতিক কমিউনিস্ট ‘ষড়যন্ত্রের’ অংশ হয়ে উঠেন এবং প্রেসিডেন্টশিয়াল নির্বাচনকে কেন্দ্র করে খুনের ঘটনায় জড়িয়ে পড়েন।   ২০০৪ সালে সিনেমাটি রিমেক করেন পরিচালক জনাথন ডেম যাতে অভিনয় করেন ডেনজেল ওয়াশিংটন, মেরিল স্ট্রিপ, লিয়েভ শ্রাইবার ও জন ভইট।

দ্য বেস্ট ম্যান (১৯৬৪) 

১৯৬৪ সালে নির্মিত পলিটিক্যাল ড্রামাধর্মী একটি সিনেমা। এর পরিচালক ফ্র্যাঙ্কলিন জে. শ্যাফনার। সিনেমার মূল অংশে অভিনয় করেন হেনরি ফন্ডা, ক্লিফ রবার্টসন এবং লি ট্রেসি। এই সিনেমায় প্রাক্তন সেক্রেটারি অব স্টেট উইলিয়াম রাসেলের ভূমিকায় অভিনয় করেন হেনরি ফন্ডা এবং সিনেটর জো ক্যান্ট ওয়েল এর চরিত্রে অভিনয় করেন ক্লিফ রবার্টসন। এই দুজনের রাষ্ট্রপতি মনোনয়নের প্রতিদ্বন্দ্বিতাকে কেন্দ্র করে সিনেমার চিত্রনাট্য এগিয়েছে।

মিডিয়াম কুল

পরিচালক হাসকেল ওয়েক্সলার নির্মিত এ সিনেমাটি মুক্তি পায় ১৯৬৯ সাল। অভিনয় করেন রবার্ট ফরস্টার, ভার্না ব্লুম, পিটার বোনার্জ, মারিয়ানা হিল এবং হ্যারল্ড ব্ল্যাঙ্কেনশিপ এর মতো অভিনয় শিল্পীরা। মূলত টিভি ক্যামেরাপারসন জন ক্যাসেলিস (রবার্ট ফরস্টার)- এর একটি রাজনৈতিক সম্মেলন কাভার করাকে কেন্দ্র করে সিনেমার কাহিনী এগিয়েছে। শিকাগোতে ১৯৬৮ সালের ডেমোক্রেটিক ন্যাশনাল কনভেনশনকে উপজীব্য করে কাহিনী এগিয়েছে।  সিনেমায় দেখানো হয়, সিঙ্গেল মাদার ইলিন (ভার্না ব্লুম) এর সাথে ক্যামেরাপার্সন জনের পরিচয় হয় কনভেনশনেই। সেখানে ইলিনের বাচ্চা হারিয়ে যাওয়াকে কেন্দ্র করে তৈরি হয় দুর্দান্ত ক্লাইমেক্স।

দ্য ক্যান্ডিডেট

রাজনৈতিক কমেডি-ড্রামা ‘দ্য ক্যান্ডিডেট’ ১৯৭২ সালে মুক্তি পায়। পরিচালক মাইকেল রিচি। রবার্ট রেডফোর্ড এখানে বিল ম্যাককে-র চরিত্রে অভিনয় করেন। অস্কারজয়ী এই সিনেমায় বিল ম্যাককে একজন রাজনীতিবিদ, যিনি প্রেসিডেন্টশিয়াল নির্বাচনের পদপ্রার্থী। ম্যাককের নির্বাচন, নির্বাচনী প্রচারণা আর নির্বাচনকেন্দ্রিক নানা ঘটনার আবহে সিনেমার গল্প এগিয়ে যায়।

শ্যাম্পু

হ্যাল অ্যাশবি পরিচালিত ‘শ্যাম্পু’ ১৯৭৫ সালে মুক্তি পায়।  ওয়ারেন বিটি, জুলি ক্রিস্টি, গোল্ডি হান, লি গ্রান্ট, জ্যাক ওয়ার্ডেন, টনি বিল এবং ক্যারি ফিশার এই কমেডিধর্মী সিনেমায় অভিনয় করেন। ১৯৬৮ সালের আমেরিকার প্রেসিডেন্টশিয়াল ইলেকশনের পটভূমিতে নির্মিত এই সিনেমায় উঠে এসেছে যৌনতার রাজনৈতিক ও সামাজিক দিক।

অল দ্য প্রেসিডেন্টস ম্যান

‘অল দ্য প্রেসিডেন্টস ম্যান’-কে বলা হয় সর্বকালের অন্যতম সেরা রাজনৈতিক চলচ্চিত্র। সিনেমায় ‘দ্য ‘ওয়াশিংটন পোস্টে’র সাংবাদিকের ভূমিকায় অভিনেতা রবার্ট রেডফোর্ড এবং ডাস্টিন হফম্যান অনবদ্য অভিনয় করেন। ক্ষমতায় থাকা প্রেসিডেন্ট রিচার্ড নিক্সনের ইলেকশন কমিটির সাথে জড়িয়ে ওয়াটারগেইট কেলেঙ্কারির ঘটনাপ্রবাহ নিয়ে এই সিনেমাটি তৈরি। এলান জে পাকুলা সিনেমাটির পরিচালক।

বব রবার্টস

মকুমেন্টারি ফিল্ম ‘বব রবার্টস’ এর পরিচালক টিম রবিন্স।  তিনি নিজেই এটি লিখেছেন, পরিচালনা করেছেন এবং এতে অভিনয়ও করেছেন। যুক্তরাষ্ট্রের সিনেট নির্বাচনের প্রার্থী রবার্টস জুনিয়রকে নিয়ে নির্মিত এ সিনেমাটি মুক্তি পায় ১৯৯২ সালে। মূলত রবার্টস জুনিয়রের রাজনৈতিক উত্থান নিয়েই নির্মিত হয় মকুমেন্টারিটি।

দ্য ওয়ার রুম

ডকুমেন্টারি ফিল্ম ‘দ্য ওয়ার রুম’ নির্মাণ করেছেন ক্রিস হেডেগাস এবং ডি এ পেনেবেকার।  ১৯৯৩ সালের যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে বিল ক্লিনটনের নির্বাচনী প্রচারণা নিয়ে সিনেমাটি নির্মিত হয়। ১৯৯৩ সালে ডিসেম্বরে মুক্তি পাওয়া সিনেমাটি সেরা ডকুমেন্টারি ফিচার বিভাগে অস্কারের জন্য মনোনীত হয়েছিল।

দ্য আমেরিকান প্রেসিডেন্ট

রোমান্টিক কমেডি-ড্রামা জনরার একটি সিনেমা ‘দ্য আমেরিকান প্রেসিডেন্ট’। প্রেসিডেন্টশিয়াল নির্বাচনের প্রেক্ষাপটে নির্মিত এই সিনেমায় প্রেসিডেন্ট অ্যান্ড্রু শেফার্ডের চরিত্রে অভিনয় করেছেন  মাইকেল ডগলাস। সিনেমায় একজন আত্মবিশ্বাসী প্রেসিডেন্ট অ্যান্ড্রু শেফার্ড। যিনি জানেন তার জনসমর্থন তাকে পুননির্বাচনের নিশ্চয়তা দেবে। কিন্তু দৃশ্যপটে লবিস্ট সিডনি অ্যালেন ওয়েডের প্রবেশ ঘটলে (অ্যানেট বেনিং) ঘটনা ভিন্নখাতে প্রবাহিত হতে থাকে। সিনেমাটির পরিচালক রব রেইনার। 

ইলেকশন

ব্ল্যাক কমেডি ধারার সিনেমা ‘ইলেকশন’। ১৯৯৪ সালে লেখা টম পেরোটার উপন্যাস অবলম্বনে আলেকজান্ডার পেইন সিনেমাটি নির্মাণ করেন। সিনেমার প্লট একটি ছাত্র সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে আবর্তিত হয়। এতে নির্বাচন ঘিরে প্রতিদ্বন্দ্বিতা, প্রচারণা, ভোট কারসাজি ইত্যাদি বিষয় উঠে আসে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত