নভেম্বরে ভারতের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচের টেস্ট সিরিজ অস্ট্রেলিয়ার। এই সিরিজের আগে পাকিস্তানের বিপক্ষে সীমিত ওভারের ম্যাচ খেলবে তাসমান সাগর পাড়ের দেশটি। এশিয়ার দুই পরাশক্তির বিপক্ষে লড়াইয়ে ভারতকেই বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে অস্ট্রেলিয়া। ভারত সিরিজের কথা মাথায় রেখে পাকিস্তানের বিপক্ষে কুড়ি ওভারের সিরিজে অস্ট্রেলিয়ার গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়রা খেলবেন না বলে জানিয়েছে ক্রিকইনফো।
২২ নভেম্বর শুরু হবে অস্ট্রেলিয়া-ভারতের প্রথম টেস্ট। অন্যদিকে পাকিস্তানের বিপক্ষে অস্ট্রেলিয়ার তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ ১৪ থেকে ১৮ নভেম্বর পর্যন্ত। অর্থাৎ, পাকিস্তানের বিপক্ষে কুড়ি ওভারের সিরিজ শেষ হওয়ার তিন দিন পর শুরু ভারতের বিপক্ষে টেস্টের লড়াই। এই অল্প সময়ের মধ্যে লংগার ভার্সনের জন্য প্রস্তুতি ও বিশ্রামের কথা চিন্তা করে দলের গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়দের পাকিস্তান সিরিজে রাখবে না অস্ট্রেলিয়া।
ভারতের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ সামনে রেখে ঘরোয়া ক্রিকেটের ‘প্রস্তুতি’ শুরু করবে অস্ট্রেলিয়া। পাঁচ ম্যাচের টেস্ট সিরিজে নামার আগে সুযোগ পাবে চারটি শেফিল্ড শিল্ড ম্যাচ খেলার। ৮ অক্টোবর থেকে শুরু হবে শেফিল্ড শিল্ডের লড়াই।
ওই সময় শুরু হবে পাকিস্তানের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ। স্বাভাবিকভাবেই এই সিরিজে প্রভাব ফেলবে শেফিল্ড শিল্ডের লড়াই। কারণ অস্ট্রেলিয়ার সব খেলোয়াড় ব্যস্ত থাকবেন ঘরোয়া এই প্রতিযোগিতায়। যেহেতু লক্ষ্য থাকবে তাদের ভারতের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজের, ফলে পাকিস্তানের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজের দল অস্ট্রেলিয়া কীভাবে গঠন করবে, সেটা সময়ই বলে দেবে।
তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ শুরু হবে ৪ নভেম্বর, মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে। এরপর ৮ ও ১০ নভেম্বর শেষ দুটি ম্যাচ হবে যথাক্রমে অ্যালিলেড ও পার্থে।
৫০ ওভারের লড়াই শেষে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলবে বাবর আজমরা। এই সিরিজে অস্ট্রেলিয়ার প্রধান ক্রিকেটাররা খেলবেন না বলেই খবর ক্রিকইনফোর। তারা জানিয়েছে, ভারতের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজের দলে যারা থাকবেন না, তাদের নিয়েই সাজানো হবে পাকিস্তানের টি-টোয়েন্টি সিরিজের দল।