টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ শেষে ভালো বিশ্রাম পেয়েছেন ক্রিকেটাররা। টি-টোয়েন্টি দলে থাকা টেস্টের ক্রিকেটারদের জন্য লম্বা বিশ্বকাপ শেষে বিশ্রামটা দরকার ছিল।
ঝরঝরে হয়ে ১৯ জুলাই থেকে জাতীয় দলের ক্যাম্পে যোগ দেওয়ার কথা আছে তাদের। নতুন মিশন টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে পাকিস্তান সিরিজ। যেখানে মুশফিকুর রহিম ও মুমিনুল হকদের মতো অভিজ্ঞদের দিকে তাকিয়ে নাজমুল হোসেন শান্ত।
আগামী আগস্টে পাকিস্তানের মাটিতে দুটি টেস্ট ম্যাচ খেলবেন শান্তরা। বরাবরের মতো এই সিরিজেও চিন্তার নাম ব্যাটিং। টি-টোয়েন্টি ব্যাটিং থেকে এবার টেস্ট ব্যাটিংয়ে মানিয়ে নিতে হবে।
ফরম্যাটের ভিন্নতার সঙ্গে নিজেদের মানিয়ে নেয়ার প্রশ্নে শান্ত তাকিয়ে অভিজ্ঞদের দিকে, “কেমন ব্যাটিং প্ল্যানিং হবে তা আমাদের মধ্যেই থাক। এটুকু বলব অবশ্যই অনেক চ্যালেঞ্জিং হবে। তারা (পাকিস্তান) খুবই ভালো দল কিন্তু এই ফরম্যাটে আমাদের বেশ কিছু অভিজ্ঞ ক্রিকেটার আছে।“
মঙ্গলবার ঢাকায় একটি অনুষ্ঠানে আসা শান্ত আরও যোগ করেন, “আমি যদি নাম বলি মুশফিক ভাই, মুমিনুল ভাই আরো বেশ কিছু প্লেয়ার আছে। আমরা যদি আমাদের ওই অভিজ্ঞতাটা দেখাতে পারি, ওই শক্তিমত্তা অনুযায়ী খেলতে পারি অবশ্যই এই সিরিজটা ভালো হবে।’
টি-টোয়েন্টির বাইরে থাকা ক্রিকেটাররা প্রস্তুতির দিক থেকে একটু এগিয়ে আছেন বলে জানিয়েছেন শান্ত, “যারা টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে ছিল না তারা অনেক আগে থেকেই প্রস্তুতি নিচ্ছে পাকিস্তান সিরিজের জন্য। এই সিরিজের আগে সবাই মোটামুটি একটা সময় পাচ্ছে প্রস্তুতি নেওয়ার জন্য সুতরাং আশা করছি ভালো কিছু হবে।”
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাংলাদেশের অন্যতম সেরা পারফরমার রিশাদ হোসেন। ছোট ফরম্যাটের মতো বড় ফরম্যাটেও লেগ স্পিনারের ভূমিকা দারুণ। কিন্তু রিশাদকে এখনও লাল বলের জন্য চিন্তা করছেন না অধিনায়ক।
রিশাদকে আরও পরিণত হিসেবে দেখতে চান শান্ত, “আমার মনে হয় না এই মুহূর্তে ও লাল বলের জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত।”
রিশাদের ভালো করায় বড় করে দেখা হচ্ছে স্পিন বোলিং কোচ মুশতাক আহমেদের ভূমিকা। শান্ত অবশ্য পেছনের কারিগর হিসেবে দেশী স্পিন কোচের নাম টানলেন, “খুবই ভালো কাজ করেছেন মুশতাক। রিশাদসহ অন্য স্পিনাররাও ওনার সঙ্গে স্বাচ্ছন্দ্যে ছিলেন। তবে আমি শুধু মুশতাক আহমেদকেই কৃতিত্ব দিতে চাই না। রিশাদ তারও আগে আমাদের স্থানীয় কোচ সোহেল ইসলামের সঙ্গে কাজ করেছেন।”