গোপনীয়তা রক্ষা না করে প্রকাশ্যে ভোট দেওয়ায় নির্বাচন কমিশনে (ইসি) গিয়ে ক্ষমা চাইলেন ধর্মমন্ত্রী ফরিদুল হক খান দুলাল। জামালপুর ২ আসনের এই সংসদ সদস্য সোমবার ঢাকার আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে উপস্থিত হয়ে তার অবস্থান ব্যাখ্যা দিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন।
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে গত ৭ জানুয়ারি ইসলামপুর উপজেলায় পলবান্ধা ইউনিয়নে সিরাজাবাদ উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রকাশ্যে ভোট দেন নৌকার প্রার্থী ফরিদুল। এরপর ১১ জানুয়ারি এক চিঠির মাধ্যমে ১৫ জানুয়ারি তাকে স্বশরীরে উপস্থিত হতে নির্দেশ দেয় কাজী হাবিবুল আউয়াল নেতৃত্বাধীন কমিশন। শুনানিতে ইসির সব কমিশনার ও সচিব উপস্থিত ছিলেন।
সাংবাদিকদের ধর্মমন্ত্রী বলেন, ‘‘আমি আইনের ঊর্ধ্বে নই। কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নয়। অতএব বিধান অনুসারে আমাদের নির্বাচন কমিশন থেকে তারা আমাকে উপস্থিত হওয়ার জন্য বলা হয়।
‘‘আমি উপস্থিত হয়েছি এবং আমি আমার কথা বলেছি উনাদের কাছে। আমার যতটুকু বিশ্বাস মেজর কোনও অপরাধ যদিও নাও বা থাকে তারপরও আমি বলেছি, আমি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। অতএব ক্ষমাশীল দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রেখে আমি আমার কথা শেষ করে চলে এসেছি।’’
তিনি বলেন,‘‘কমিশন বলল যে, আমরা দেখব বিষয়টা। এটা তাদের বিষয়। আমি তো বলতে পারি না যে, আমাকে রেজাল্ট দেন।’’
আপনার এই কর্মকাণ্ডের জন্য আওয়ামী লীগ বিব্রত কি না—এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘‘না, আওয়ামী লীগ বিব্রত না। আওয়ামী লীগ বিব্রত না, কেউ বিব্রত না।’’
প্রকাশ্যে ভোট দেওয়া কি আপনার অপরাধ ছিল-এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি আরো বলেন,” যতটুকু বলার আমি বলেছি আপনাদের। এর চাইতে বেশি কিছু বলার কোনো সুযোগ নাই এখানে।”