অন্তবর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের আন্তর্জাতিক বিষয় সংক্রান্ত বিশেষ দূত হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে লুৎফে সিদ্দিকী।
বুধবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।
লুৎফে সিদ্দিকী ছিলেন বিনিয়োগ ব্যবস্থাপনা পেশাদারদের আন্তর্জাতিক সংস্থা সিএফএ ইনস্টিটিউটের প্রথম বাংলাদেশি ব্যবস্থাপনা পরিচালক (রিজিওনস ও সোসাইটি রিলেশন)।
প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ দূত হিসেবে তাকে নিয়োগের শর্তে বলা হয়েছে, আন্তর্জাতিক বিষয় সংক্রান্ত বিশেষ দূত পদে দায়িত্ব পালন করার সময় তিনি উপদেষ্টা পদমর্যাদার বেতন-ভাতা ও আনুষঙ্গিক সুযোগ-সুবিধা পাবেন।
রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেনের সই করা প্রজ্ঞাপনে তার নিয়োগ অবিলম্বে কার্যকর হবে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মুখে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর গত ৮ আগস্ট ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে প্রধান করে গঠিত হয় অন্তর্বর্তী সরকার। যার সদস্য সংখ্যা এখন পর্যন্ত ২১ জন।
এছাড়া প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী হিসেবে দুজন ছিলেন, আজ আন্তর্জাতিক বিষয় সংক্রান্ত বিশেষ দূত হিসেবে লুৎফে সিদ্দিকী যুক্ত হলেন।
যুক্তরাজ্যের ইউনিভার্সিটি অব ইয়র্ক থেকে লুৎফে সিদ্দিকী ইকোনমেট্রিক্সে প্রথম শ্রেণিতে স্নাতক ও লন্ডন স্কুল অব ইকোনমিকস থেকে ইকোনমিক্সে স্নাতকোত্তর করেছেন। পাশাপাশি হার্ভার্ড এবং অক্সফোর্ডের লিডারশিপ সনদও রয়েছে তার ঝুলিতে।
২০২১ সাল থেকে সিএফএ ইনস্টিটিউটে দায়িত্ব পালনের সময় সংস্থার আঞ্চলিক দলগুলোর পাশাপাশি বিশ্বের ১৬১টি স্থানীয় সিএফএ সোসাইটির কাজ তদারকি করতেন তিনি।
লুৎফে সিদ্দিকী লন্ডন স্কুল অব ইকোনমিক্স অ্যান্ড পলিটিকাল সায়েন্সের ভিজিটিং প্রফেসর এবং ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব সিঙ্গাপুরে অ্যাডজাঙ্কট প্রফেসর হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি আর্থিক ও মুদ্রা নীতি সম্পর্কিত ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের ফিউচার কাউন্সিলের সদস্য।
এছাড়া তার ইউবিএস, বার্কলেস ক্যাপিটাল এবং ডয়চে ব্যাংকে কাজ করার অভিজ্ঞতা রয়েছে তার।
এছাড়া ইউবিএস ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংকে তার শেষ ভূমিকা ছিল গ্লোবাল হেড অফ ইমারজিং মার্কেট, ফরেন এক্সচেঞ্জ রেট এবং ক্রেডিট। এছাড়া তিনি ইউবিএস নলেজ নেটওয়ার্কেরও প্রতিষ্ঠাতা প্রধান।
বার্কলেস ক্যাপিটালে তিনি এশিয়া-প্যাসিফিকের ফরেন এক্সচেঞ্জ ডিস্ট্রিবিউশন এবং কর্পোরেট রিস্ক অ্যাডভাইসরির প্রধান ছিলেন। ইউবিএস এবং বার্কলেস ক্যাপিটালে তিনি সিঙ্গাপুর এবং যুক্তরাজ্য দুই স্থানেই নিয়জিত ছিলেন।
তার আগে, তিনি লন্ডনের ডয়চে ব্যাংকে ফরেন এক্সচেঞ্জ স্ট্রাকচারিংয়ের প্রধান ছিলেন।