লিওনেল মেসির কোলে লামিন ইয়ামাল। ছবিটা ভাইরাল রীতিমতো। তখনও মেসি তারকা হননি। ইয়ামালের বাবা তাই বলেছেন,‘‘কে জানে হয়তো মেসিই আমার ছেলের আশীর্বাদপুষ্ট।’’
ইয়ামালের যখন বার্সেলোনা ক্যারিয়ার শুরু ততদিনে মেসি ছেড়ে গেছেন নিজের প্রিয় ক্লাব। ইয়ামালে কাতালানরা স্বপ্ন দেখছে মেসির শূন্যতা পূরণের। এবারের ইউরোর সেরা তরুণের খেলোয়াড় জেতা সেই ইয়ামাল মুখোমুখি হচ্ছেন মেসির। সেটা আগামী বছর ফিনালিসিমায় (তারিখ ঠিক হয়নি এখনও)।
ইউরো চ্যাম্পিয়ন আর কোপার চ্যাম্পিয়নরা খেলে এই ম্যাচ। গত ইউরোর চ্যাম্পিয়ন ইতালিকে ৩-০ গোলে বিধ্বস্ত করে এই শিরোপা জিতেছিল আর্জেন্টিনা। আজ কলম্বিয়াকে হারিয়ে কোপা জেতায় আবারও ফিনালিসিমায় মেসির দল। এবার তারা মুখোমুখি হবে ইউরোজয়ী স্পেনের। তাই মুখোমুখি হচ্ছেন মেসি-ইয়ামালও।
সেই ম্যাচের দিনক্ষণ ঠিক হয়নি এখনও। তবে ম্যাচটা নিয়ে উত্তেজিত আর্জেন্টিনার কোচ লিওনেল স্কালোনি। কারণ পরিবার নিয়ে তিনি থাকেন স্পেনেই। ম্যাচটিতে যে তার পরিবার দুই ভাগ হয়ে যাবে সেই শঙ্কা মজা করে জানালেন স্কালোনি, ‘‘স্পেন জেতায় আমি খুশি। আমার পরিবার স্পেনেই থাকে। তবে ফিনালিসিমায় আমার পরিবার দুই ভাগ হয়ে যাবে! দারুণ একটা ম্যাচের অপেক্ষায় আমরা।’’
একটা সময় আর্জেন্টিনার সঙ্গে সম্পর্ক শেষ করতে চেয়েছিলেন স্কালোনি। তবে কোপা জয়ের পর লক্ষ্যটা গেছে বদলে, ‘‘আমার আরও দুই বছর চুক্তি আছে। এখন আমার প্রেসিডেন্টকে (তাপিয়া) বলা উচিত চুক্তিটা ১৫ বছর বাড়িয়ে প্রস্তাব দিন, আমি স্বাক্ষর করে দিব।’’
ফিনালিসিমায় আর খেলা হবে না আনহেল দি মারিয়ার। আন্তর্জাতিক ফুটবল থেকে অবসর নিয়েছেন এই কিংবদন্তি। তাকে শুভকামনা জানালেন স্কালোনি, ‘‘আজ দি মারিয়া নিজের অন্যতম সেরা ম্যাচটা খেলেছে। দৌড়ানোর সময় মনে হচ্ছিল ওর বয়স ২৫ বছর। ওর ক্যারিয়ারটা আসলে সিনেমার মতো, আমাদের কিংবদন্তি দি মারিয়া। তবে ও আর ফিরবে না।’’
শিরোপা জিতে এভাবে বিদায় নিতে পারায় খুশি দি মারিয়াও। টানা চারটা শিরোপা জয় যে সহজ ছিল না বিদায় বেলায় সেই কথা্ও বললেন তিনি, ‘‘এটাকে অনেক সহজ মনে হতে পারে, তবে ব্যাপারটা খুব কঠিন। এই প্রজন্মের কাছে আমি চিরকৃতজ্ঞ, তারা নিজেদের সবটুকু বিলিয়ে দিয়েছে (এই সাফল্যের জন্য)। এটাই লেখা ছিল আর এভাবেই লেখা ছিল। আমি এই সবকিছুর স্বপ্ন দেখেছি, আর ছেলেদের এটা বলেছি। অনেক সুন্দর স্মৃতি এটা।’’
দি মারিয়ার জন্য শিরোপাটা জিততে চেয়েছিলেন লিওনেল মেসি। চোটের জন্য সেই তিনি ছেড়ে যান মাঠ। কাঁদতে থাকেন অঝোরে। মেসিকে ছাড়াও শিরোপাটা জেতায় তাই খুশি দি মারিয়া, ‘‘গোঁড়ালির সমস্যায় মেসিকে চলে যেতে হয়েছিল। শেষ পর্যন্ত আমরা তাকে কিছু আনন্দ দিতে পেরেছি।”
দি মারিয়ারা আনন্দ দিয়েছেন পুরো আর্জেন্টিনাকেই।
