মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া ফেরিঘাটে ডুবে যাওয়া ফেরি ‘রজনীগন্ধা’ উদ্ধারে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) উদ্ধারকারী জাহাজ ‘প্রত্যয়’ ও ‘নির্ভীক’ নারায়ণগঞ্জ থেকে পাটুরিয়ার উদ্দেশে রওনা হয়েছে।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন করপোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) বাণিজ্য শাখার পরিচালক এস এম আশিকুজ্জামান বুধবার সকাল সন্ধ্যাকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এছাড়া ফেরিডুবির ঘটনায় পাঁচ সদস্যর তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
আশিকুজ্জামান জানান, ‘রজনীগন্ধা’ ফেরিটি ২০১৪ সালে নির্মাণ করা হয়। ফেরিটির ওজন প্রায় ২৫০ টন। ফেরিটি নদীর তলদেশ থেকে তোলার সক্ষমতা বিআইডব্লিটিএর উদ্ধারকারী জাহাজ ‘হামজা’ ও ‘রুস্তম’-এর নেই। তাই ফেরি উদ্ধারের জন্য উদ্ধারকারী জাহাজ ‘প্রত্যয়’ ও ‘নির্ভীক’কে নারায়ণগঞ্জ থেকে আনা হচ্ছে। ‘হামজা’ ও ‘রুস্তম’কে ডুবে যাওয়া ট্রাকগুলো তোলার কাজে ব্যবহার করা হবে।
বুধবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া ঘাটের ৫ নম্বর ফেরিঘাটের কাছে ‘রজনীগন্ধা’ ফেরিটি ডুবে যায় বলে জানান বিআইডব্লিউটিসির পাটুরিয়া ঘাটের সহকারী ব্যবস্থাপক আব্দুস সালাম।
বুধবার সকালে তিনি জানান, ফেরিতে নয়টি ট্রাক ছিল। মঙ্গলবার রাত ১টার দিকে ফেরিটি রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ঘাট থেকে ছেড়ে আসে। ঘন কুয়াশায় পথ দেখতে না পেয়ে ফেরিটি অনেক ক্ষণ মাঝ নদীতে আটকে ছিল। পরে কুয়াশা কেটে গেলে নদীর তীরে ভেড়ার সময় সকাল সাড়ে ৭টার দিকে বালু বোঝাই বাল্কহেডের ধাক্কায় ৫ নম্বর ঘাট এলাকার কাছাকাছি ফেরিটি ডুবে যায়।
তবে ডুবে যাওয়ার সময় ফেরিটি নোঙর করা ছিল জানিয়ে ফরিদপুর অঞ্চলের নৌপুলিশ সুপার মুশফিকুর রহমান বলেন, “ফেরিটি যেখানে ডুবেছে সেখানে অন্য কোনও নৌযানের অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যায়নি। ফেরি রজনীগন্ধা বেশ পুরোনো এবং ওভারলোটেড ছিল। তাই ফেরির নিচের কোনও অংশ প্রচণ্ড চাপে ফেটে গিয়ে যেখানে নোঙর করা ছিল সেখানেই ধীরে ধীরে ডুবে যায়।”
এই নৌপুলিশ কর্মকর্তার সঙ্গে মিল রেখে ফেরি থেকে উদ্ধার হওয়া একটি ট্রাকের সহকারী শহিদুল ইসলাম বলেন, “ফেরিটি ডুবে যাওয়ার পেছনে ফেরির স্টাফদের গাফিলতি ছিল। নিচ দিয়ে ফেরি ফেটে গেছে, ওরা কাউকে জানায়নি। আমরা ফেরিতে কোনও বালুবাহী জাহাজের ধাক্কা জাতীয় কোনও কিছুর আলাপ পাইনি। ফেরিটি ধারণা করি নিচের থেকে ফেটে গিয়ে ডুবেছে।”