Beta
মঙ্গলবার, ১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫
Beta
মঙ্গলবার, ১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫

বগুড়া সদরে ভাইস চেয়ারম্যান পদে ভোট স্থগিত

high court
[publishpress_authors_box]

এবার আদালতের আদেশে স্থগিত হয়েছে বগুড়া সদর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ভোট।

এক রিটের শুনানি নিয়ে বৃহস্পতিবার বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও মুহাম্মদ মাহবুব উল ইসলামের হাইকোর্ট বেঞ্চ ঈদুল আজহার ছুটির পরের দুই সপ্তাহ পর্যন্ত এই নির্বাচন স্থগিতের নির্দেশ দিয়েছে।

বগুড়া সদর উপজেলা নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী ইফতারুল ইসলাম মামুনের পক্ষে আইনজীবী মিনহাদুজ্জামান লিটন ও তাওহীদুল ইসলাম হাইকোর্টে রিটটি করেন। 

গত ২৯ মে বগুড়া সদর উপজেলায় ভোট হয়। ওইদিন ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী ইফতারুল ইসলাম মামুন অভিযোগ করেন, তাকে নির্বাচন কমিশন থেকে বরাদ্দ দেওয়া প্রতীকের সঙ্গে ব্যালটে থাকা প্রতীকের মিল নেই।

মামুন জানান, প্রতীক বরাদ্দের দিনে তাকে কাঠি আইসক্রিম প্রতীক হিসেবে দেওয়া হয়। সেই প্রতীক নিয়ে প্রচার চালান তিনি। কিন্তু ভোটের দিন ব্যালট পেপারে তার প্রতীক হিসেবে দেওয়া হয় কোন আইসক্রিম।

এতে ভোটাররা তার প্রতীক চিনতে পারছে না বলে অভিযোগ করেন এই প্রার্থী।

ব্যালট পেপারে কাঠি আইসক্রিমের পরিবর্তে কোন আইসক্রিম।

পরে ভাইস চেয়ারম্যান পদে ভোট স্থগিত করে ৯ জুন পুনরায় ভোটগ্রহণের দিন ধার্য করে নির্বাচন কমিশন। তবে আদালত নতুন করে ভোট স্থগিত করায় ৯ জুন ভাইস চেয়ারম্যান পদে ভোট হচ্ছে না।

আদালতের স্থগিতাদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করে বগুড়া জেলা অতিরিক্ত নির্বাচন কর্মকর্তা সৈয়দ আবু সাইদ শুক্রবার সকালে সকাল সন্ধ্যাকে বলেন, ঈদুল আজহার ছুটির পরের দুই সপ্তাহ পর্যন্ত সদর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন হাইকোর্টে স্থগিত হয়েছে। 

রিটের বিষয়ে হাইকোর্টের আইনজীবী ও সোনাতলা উপজেলা চেয়ারম্যান মো. মিনহাদুজ্জামান লিটন জানান, ইফতারুল ইসলাম মামুনের প্রতীক ছিল কাঠি আইসক্রিম।

তবে নির্বাচনের দিন ব্যালটে তার প্রতীক দেখা যায় কোন আইসক্রিম। এমন অমিল পেয়ে সদর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ভোট স্থগিত করেছিল নির্বাচন কমিশন।

বরাদ্দ পাওয়া প্রতীকের নথি হাতে বগুড়া সদর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী ইফতারুল ইসলাম মামুন।

গত রবিবার নির্বাচন কমিশন এক চিঠিতে ৯ জুন পুনরায় ওই পদে ভোটগ্রহণের ঘোষণা দিলেও প্রতীক নিয়ে বিভ্রান্তির বিষয়ে কোনও সুরাহা হয়নি।

এ কারণে ৯ জুন বগুড়া সদর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন স্থগিত রেখে আসন্ন কোরবানির ছুটির পরের দুই সপ্তাহ পর্যন্ত ভোট স্থগিতের জন্য হাইকোর্টে আবেদন করা হয়, জানান আইনজীবী লিটন।

তিনি বলেন, হাইকোর্ট বিষয়টি আমলে নিয়ে নির্বাচন স্থগিতের নির্দেশ দেন। একই সঙ্গে প্রতীকে মিল না থাকার বিষয়ে নির্বাচন কমিশন যেন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়, সেই নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত