খেলার সঙ্গে নাকি রাজনীতির সম্পর্ক নেই। তবে ইংল্যান্ডের ২০ বছর বয়সী স্পিনার শোয়েব বশিরের ভিসা বাতিল হল রাজনীতির কারণেই। পাকিস্তানি বংশোদ্ভুত হওয়ায় বেন স্টোকসের দলের এই স্পিনারকে ভিসা দেয়নি ভারতীয় সরকার। তিনি ফিরে গেছেন আরব আমিরাত থেকেই।
এর রেশ গড়িয়েছে বহুদূর। ডেইলি মেইল কাল (মঙ্গলবার) শিরোনাম করেছিল, ‘কি দুঃসাহস ভারতের’। বুধবার এতে সম্পৃক্ত হল ঋষি সুনাকের ব্রিটিশ সরকারও।
ভারতকে হুঁশিয়ারি দিয়ে যুক্তরাজ্য সরকারের এক মুখপাত্র বলেছিলেন, ‘‘আশা করব ভিসার ক্ষেত্রে সব ব্রিটিশ নাগরিকের সঙ্গে সমান ব্যবহার করবে ভারত। পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ নাগরিকদের ভিসা পাওয়া নিয়ে সমস্যা তৈরি হয়েছে এর আগেও । তেমন কেউ ভারতে যাওয়ার ভিসা পাওয়ার ক্ষেত্রে সমস্যায় পড়েছেন। লন্ডনে ভারতীয় দূতাবাসে সেটা জানানো হয়েছে।”
বশিরের ভিসা না হওয়ায় ক্ষোভ চেপে রাখেননি ইংলিশ অধিনায়ক বেন স্টোকসও, ‘‘অধিনায়ক হিসাবে এমন ঘটনার মুখোমুখি হয়ে আমি হতাশ। ডিসেম্বরের মাঝামাঝি আমরা দল ঘোষণা করেছি। এখন এসে বশির জানতে পারছে যে ও ভিসা না পাওয়ার কারণে ভারতে আসতে পারবে না। ওর জন্য আমি হতাশ। এমন ঘটনা তৈরি হওয়াই অবাঞ্ছনীয়। আমি জানি ইংল্যান্ডের হয়ে খেলার সুযোগ পাওয়া কত কঠিন। বশিরের জন্য আমার খারাপ লাগছে।’’
এর আগে গত বিশ্বকাপে পাকিস্তান দলের ভিসা হয়েছিল দেশ ছাড়ার আগের দিন। এজন্য দুবাইয়ে প্রাক মৌসুম অনুশীলন বাতিল করতে হয় পাকিস্তানকে।
অস্ট্রেলিয়ান ওপেনার উসমান খাজাও ভিসা সমস্যায় গত বছর ভারত পৌঁছেছিলেন দেরিতে। তার জন্ম পাকিস্তানে হওয়ায় ভিসা দিতে গড়িমসি করে ভারত সরকার।