ঈদের দিন ঢাকায় বৃষ্টির সম্ভাবনা ছিল। ধারণা করা হয়েছিল, বৃষ্টি হলে গরম কিছুটা কমবে। কিন্তু বৃষ্টি তো হয়নি, বরং একদিন পর অসহ্য গরম অনুভব করছেন ঢাকাবাসী।
আবহাওয়ার গতিপ্রকৃতি জানায় এমন ওয়েবসাইটগুলোর মধ্যে অ্যাকুওয়েদার ও ওয়েদার ডট কমের তথ্য অনুযায়ী, মঙ্গলবার বিকাল ৫টার পর ঢাকার তাপমাত্রা ছিল ৩০ থেকে ৩৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তবে তা অনুভূত হচ্ছিল ৩৮-৩৯ ডিগ্রি।
সেইসঙ্গে তীব্র গরমের কারণ হলো বাতাসের আদ্রতা বেড়ে যাওয়া। অ্যাকুয়েদারের হিসাব বলছে, ঢাকার বাতাসে আদ্রতা ছিল ৭০ শতাংশ, ওয়েদার ডট কমেই সেই হিসাব দেওয়া হয়েছে ৮২ শতাংশ।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ তরিফুল নেওয়াজ কবিরও সকাল সন্ধ্যাকে বললেন, বাতাসের আর্দ্রতাই এই তীব্র গরম বোধের কারণ।
সাধারণত তাপমাত্রা ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস হলে তাকে হিটওয়েভ বলা হয়, কিন্তু ঢাকায় আজ তাপমাত্রা ৩২ ডিগ্রি হলেও আর্দ্রতার তারণে অনুভূত হচ্ছে অনেক বেশি, যোগ করেন তিনি।
মৌসুমি বায়ু সক্রিয় থাকায় বৃষ্টির সম্ভাবনাও ক্রমে বাড়ছে বলে জানান তিনি। তবে কখন ঢাকায় বৃষ্টি হবে তা নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না।
বিকাল পর্যন্ত ঢাকায় বৃষ্টি না হলেও ঈদের দিনের মতোই আকাশ মেঘলা হয়ে আছে। ভ্যাপসা গরমে অস্থির হয়ে আছে জনজীবন।
মঙ্গলবার থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার পূর্বাভাসে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, ফের সক্রিয় হয়েছে মৌসুমি বায়ু। আর এর প্রভাবে দেশের কয়েকটি বিভাগে ভারি থেকে অতি ভারি বৃষ্টি হতে পারে।
তরিফুল নেওয়াজ কবির বলেন, “উত্তর ও উত্তরপূর্বাঞ্চলে বিশেষ করে, রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেটে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা অনেক বেশি, সেখানে মাঝারি থেকে ভারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। পাশাপাশি ঢাকা, চট্টগ্রাম ও বরিশালেও বৃষ্টি হতে পারে। সিলেটে আগামী আরও দুই দিন বৃষ্টি হতে পারে।”
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানাচ্ছে, গত ৩০ মে দেশে মৌসুমি বায়ু প্রবেশ করে, কিন্তু পুরোদেশ জুড়ে বৃষ্টি হয়নি। বরং তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে পাবনা, যশোর ও চুয়াডাঙ্গায়।
তরিফুল নেওয়াজ কবির জানান, আজ সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল পাবনা, চুয়াডাঙ্গা ও যশোরে ৩৬ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এই তাপমাত্রা অব্যাহত থাকতে পারে। গত ৬ ঘণ্টায় অর্থাৎ সকাল ৬ থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত কিশোরগঞ্জের নিকলিতে বৃষ্টি হয়েছে ঘণ্টায় ১২৫ মিলিমিটার, নেত্রকোণায় ১৯৫ মিলিমিটার।