Beta
বৃহস্পতিবার, ১২ জুন, ২০২৫
Beta
বৃহস্পতিবার, ১২ জুন, ২০২৫

বিশ্বকাপ প্রস্তুতিতে সন্তুষ্টি নাজমুলের

শান্ত
[publishpress_authors_box]

টি-টোয়েন্টি লিগ ও আন্তর্জাতিক ক্রিকেট; দুটোর মধ্যে পার্থক্য অনেক। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সব দলের কথা বিবেচনা করে উইকেট তৈরি করা হয়। যে কোন টি-টোয়েন্টি লিগে ওই দেশের বোর্ডের চাহিদা, হোম ম্যাচে ওই দলের চাহিদা মেনে উইকেট তৈরি হয়। তাই দুই খেলার মধ্যে রানের পার্থক্যটাও হয় বেশি। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে দেশের মাটিতে সিরিজ শেষে এই ব্যাপারগুলো বলছিলেন নাজমুল হোসেন শান্ত।

বিশ্বকাপের উদ্দেশ্যে দেশ ছাড়ার আগে প্রস্তুতিটা কেমন হলো? এই প্রশ্নের উত্তরে নিজের সন্তুষ্টির কথাই জানিয়েছেন শান্ত। বর্তমানে টি-টোয়েন্টিতে নিয়মিত দুইশো রান হচ্ছে। কিন্তু বাংলাদেশ নিজেদের দলীয় সংগ্রহকে সেই উচ্চতায় নিতে পারছে না। বাংলাদেশ অধিনায়ক এ নিয়ে চিন্তিত নন। বরং আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টের মানের স্কোর করতে পেরে খুশি তিনি।

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ৪-১ ব্যবধানে জেতা সিরিজ শেষে শান্ত বলেছেন, “আইপিএলের সঙ্গে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট মেলানোই যাবে না। আন্তর্জাতিকে আমি যতটুকু জানি ১৬০ থেকে ১৭৫-১৮০ হয়, ২০০ রান যদি কোনো দল করে এটা খুব ভালো স্কোর। এটা (২০০) সচরাচর রেগুলার কিন্তু দেখা যায় না। আমার মনে হয় বিশ্বকাপে এরকমই রান হবে, ১৬০-৮০ এর মধ্যেই থাকবে ভালো উইকেটে। এর ভেতরই বোলারদের ডিফেন্ড করতে হবে বা রান চেজ করতে হবে। আইপিএলের সঙ্গে তুলনা করাটা আমার মনে হয় না কখনোই যৌক্তিকতা।”

শুধু আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্ট গুলোতেই ভালো উইকেটে খেলতে পারে বাংলাদেশ। যা সত্যিকার অর্থে স্পোর্টিং উইকেট। কিন্তু নিজেদের দেশে ওই উইকেটে খেলতে পারেননা শান্তরা। অনভ্যস্ততার কারণে বড় টুর্নামেন্টে নিয়মিত ভালো করতে পারে না বাংলাদেশ।

শান্ত তাই দেশেরও নিয়মিত ভালো উইকেট চাইলেন। যা গত এক বছরে তারা পাচ্ছেন। তাই এই ব্যাটার সময় চাইলেন আরও কিছু দিন, “আমাদের দেশে স্ট্রাইক রেট নিয়ে অনেক কথা হয়। আমরা সম্প্রতি ভালো উইকেটে খেলা শুরু করেছি। আমাদের সময় দিতে হবে। আমরা যদি লম্বা সময় ধরে ভালো উইকেটে খেলা শুরু করি দুই বছর দেখবেন প্রত্যেকটা ব্যাটসম্যান ভালো স্ট্রাইক রেটে ব্যাটিং করছে। বিপিএলে খেলি ওই জায়গাতেও ভালো উইকেটে খেলতে হবে অনেক লম্বা সময় ধরে তারপর আপনি এই পার্থক্যটা দেখতে পাবেন।”

স্ট্রাইকরেটে বা বিশাল স্কোরের আক্ষেপ থাকলেও বিশ্বকাপ পরিকল্পনা সামনে রেখে জিম্বাবুয়ে সিরিজে বাকি পরিকল্পনায় সফল হয়েছেন শান্তরা। অধিনায়ত জানিয়েছেন, “তৃপ্তির জায়গা এটা বলব যে আমরা যে যে পরীক্ষাগুলো করেছিলাম, যেগুলো আমাদের দেখার দরকার ছিল যে আমরা ক্লোজ ম্যাচ জিতেছি। টপ অর্ডাররা একটা ম্যাচে খুব ভালো শুরু দিয়েছে। আজকের ম্যাচ যদি দেখেন, মিডল অর্ডার একটু ব্যাটিংয়ের সুযোগ পেয়েছে। এই রকম বেশ কিছু জায়গা আছে। রিশাদ পুরা সিরিজটাতে আমার মনে হয় খুব ভালো বোলিং করেছে। এই রকম যদি চিন্তা করা যায় তাহলে অবশ্যই অনেক ইতিবাচক দিক আছে এবং আমরা যে জিনিসগুলো আশা করেছিলাম, প্রায় ওই জিনিসগুলোর কাছাকাছি যেতে পেরেছি।”

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত