Beta
সোমবার, ২৮ এপ্রিল, ২০২৫
Beta
সোমবার, ২৮ এপ্রিল, ২০২৫

বিশ্রাম থেকে ফেরা লিটনের ব্যাটে জয় আবাহনীর

লিটন আবাহনী
[publishpress_authors_box]

বিশ্রামটা তাহলে সত্যিই দরকার ছিল লিটন দাসের। শ্রীলঙ্কা সিরিজে ছন্দ হারানো লিটন বিশ্রাম শেষে ফিরেছেন মাঠে। ফিরেই হাফসেঞ্চুরি করেছেন। তার সাবধানী ইনিংসে সুপার লিগের প্রথম ম্যাচে প্রাইম ব্যাংকের বিপক্ষে ৫ উইকেটে জিতেছে আবাহনী।

আগে ব্যাট করে প্রাইম ৩৯.৩ ওভারে ১৭৮ রানে অলআউট হয়। জবাবে ৩৮.৩ ওভারে ৫ উইকেটে ১৮৩ রান করে বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা।

প্রিমিয়ার লিগে আবাহনীর হয়ে দুটি ম্যাচ খেলেননি লিটন। ঈদের আগে একটি ও ঈদের পর একটি। ৩ এপ্রিল শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টেস্ট শেষ হওয়ার পর তাই লম্বা ছুটি পেয়েছেন এই ব্যাটার। ১৯ দিন ছুটি শেষে বেশ ঝরঝরে হয়েই ফিরেছেন ফর্ম হারানো লিটন।

তবে তার ইনিংসটি ঠিক লিটন সুলভ ছিল না। এতটা ঠান্ডা মাথায় তাকে ব্যাট করতে দেখা যায়নি অনেকদিন। নিজেকে ফিরে পেতেই যেন ১০৬ বলে ৫৬ রানের ইনিংস খেললেন। ইনিংসে ছিল মাত্র ৭টি চার। দুঃসময় কাটাতে অনেক ব্যাটারই ধীরে খেলে রানে ফিরতে চান। লিটনও সেই পথে হাঁটলেন।

জাতীয় দলের ব্যস্ততা শেষে কোচ খালেদ মাহমুদ সুজনের কাছ থেকে ছুটি নিয়েছিলেন এই ব্যাটার। সুজন আশা করেছিলেন ছুটি শেষে ভালো ফর্মে ফিরবেন তার ব্যাটার। ঠিক নিজের মতো ফর্মে না ফিরলেও রানে ফিরতে পেরেছেন এই ওপেনার।

লিটনের পাশাপাশি ইনফর্ম ব্যাটার তাওহিদ হৃদয়ের ঝড়ো ফিফটিতে আবাহনীর জয় সহজ হয়। হৃদয় মাত্র ২৭ বলে ৪ চার ও ৫ ছক্কায় ৫৫ রান করেন। শিরোপা নিশ্চিত করতে আর একটি জয় চাই আবাহনীর।

আবাহনীর প্রতিপক্ষ প্রাইম ব্যাংক বড় টার্গেট দিতে পারেনি শুরুর বিপর্যয়ে। তামিম ইকবাল ১, পারভেজ হোসেন ইমন ০ ও শাহাদাত হোসেন দিপু ৪ উইকেটে দ্রুত ফিরলে বিপদে পড়ে প্রাইম। ৫ রানে ৩ উইকেট হারানোর পর মুশফিকুর রহিম ও জাকির হাসান ১১২ রানের জুটি গড়েন।

জাকির ৬৮ ও মুশফিক ৪৪ রানে ফিরলে নিচের দিকে মোহাম্মদ মিঠুন ও শেখ মাহেদি দলের হাল ধরতে ব্যর্থ হন।

রিশাদের অলরাউন্ড নৈপুণ্যে শাইনপুকুরের দারুণ জয়

দল ডুবছে, অথচ রিশাদ হোসেন উল্টো সাঁতরে যাচ্ছেন। তার দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সের বিপক্ষে হারা ম্যাচ ১৩ রানে জিতেছে শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাব।

আগে ব্যাট করে মাত্র ১৩৮ রানে অলআউট হয় শাইনপুকুর। জবাবে ১২৫ রানে অলআউট হয় গাজী গ্রুপ।

শাইনপুকুরের হয়ে আট নম্বরে নেমে রিশাদ ১০২ রানে ৭ উইকেট হারানো দলের হয়ে ২৬ বলে ৪ ছক্কা ও ১ চারে করেন ৩৩ রান।

পরে বল হাতে ঘূর্নি জাদু দেখান। ৮ ওভারে ৩১ রানে ৪ উইকেট তুলে নেন। সঙ্গে আরাফাত সানির ২ ও হাসান মুরাদের ২ উইকেটে গাজী গ্রুপের ব্যাটিং লাইন একদম ভেঙ্গে যায়।   

ফিরে আসার দারুণ গল্প মোহামেডানের

ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে এমন রান তাড়া করে জেতা ম্যাচ খুব কমই দেখা যায়। কালেভদ্রে হওয়া সেই চমক দেখিয়ে দিল মোহামেডান। শেখ জামালের দেয়া ২৬০ রানের লক্ষ্য নির্ধারিত ৫০ ওভারের ২ বল হাতে রেখে ছুঁয়েছে তারা। ৫ উইকেটের জয়ে মোহামেডানের স্কোর ৫ উইকেটে ২৬৩।

ফিরে আসার এই গল্পের দিনে হয়েছে তিন সেঞ্চুরি। শেখ জামালের হয়ে সাইফ হাসান লিগে নিজের দ্বিতীয় সেঞ্চুরি করেন। ১৪৬ বলে ৭ চার ও ৬ ছক্কায় ১২০ রান তার। সঙ্গ দিয়েছেন ১১৪ বলে ৭ চার ও ৩ ছক্কায় ১০২ রান করা তাইবুর রহমান। দুজনের ২১৮ রানের জুটিতে বড় স্কোর গড়েছিল শেখ জামাল।

সাইফ-তাইবুরের সেঞ্চুরির জবাব জোড়া সেঞ্চুরিতেই দিতে পারতো মোহামেডান। ৬৯ রানে তিন উইকেট হারানোর পর ১৭৯ রানের জুটিতে ম্যাচ সহজ করে তোলেন মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। অঙ্কন ১০২২ বলে ৫ চার ও ৬ ছক্কায় ১০১ রান করলেও অভিজ্ঞ মাহমুদউল্লাহ ফিরেছেন ৮৮ বলে ৩টি করে চার ও ছক্কায় ৮৭ রানে। তাই জোড়া সেঞ্চুরি হয়নি মোহামেডানের ইনিংসে।

তবে সুপার লিগটা আবাহনীর মতো জয়ে শুরু করে রানার্সআপ হওয়ার দৌড়ে বেশ ভালো অবস্থানে ফিরল মোহামেডান।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত