গত কয়েকদিন ধরেই কয়েকটি সংবাদমাধ্যমে খবর প্রকাশ হচ্ছে সাবেক পুলিশ প্রধান বেনজীর আহমেদকে নিয়ে; সেই প্রতিবেদনগুলোতে দাবি করা হয়েছে, অবৈধ সম্পদের পাহাড় গড়েছেন তিনি।
প্রতিবেদনগুলোতে বেনজিরের কোনও বক্তব্য আসেনি; বলা হয়েছে, তার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
এর মধ্যেই ফেইসবুকে মুখ খুলেছেন বেনজীর। তিনি মঙ্গলবার এক পোস্টে লিখেছেন- “দু একজন অনেক ক্ষিপ্ত, খুবই উত্তেজিত হয়ে এক্ষুনি সম্পাদকীয়, উপসম্পাদকীয়, প্রবন্ধ লিখে ফেলছেন। দয়া করে সামান্য ধৈর্য্য ধরুন। ঘোষণাই তো আছে “কুৎসার কিসসা আভি ভি বাকি হ্যায়।”
তার এই পোস্টের নিচে ২৪ ঘণ্টায় মন্তব্য জমা পড়েছে ৩ হাজার ৮০০টি, রিঅ্যাক্ট করেছেন ১৪ হাজার জন। ৫৩৬ জন শেয়ার করেছেন পোস্টটি।
মন্তব্যের ঘরে কেউ লিখেছেন- বাকি ‘কিসসা’ দেখার অপেক্ষায় রয়েছেন। কেউ মন্তব্য করেছেন, মনে হচ্ছে কোনও কোনও মিডিয়া তার পিছু লেগেছে। কেউ কেউ বসুন্ধরা গ্রুপের নাম নিয়েছেন।
এই বিষয় নিয়ে সংবাদমাধ্যমে মুখ না খোলা বেনজীর ফেইসবুক পোস্টে কারও নাম উল্লেখ করেননি। তবে ইঙ্গিতটি যে বসুন্ধরা গ্রুপের সংবাদমাধ্যমগুলোকে নিয়ে তা মন্তব্যগুলোতে স্পষ্ট হয়ে যায়।
গত ৩১ মার্চ বসুন্ধরা গ্রুপের সংবাদপত্র কালের কণ্ঠে প্রকাশিত হয় বিশেষ প্রতিবেদন ‘বেনজীরের ঘরে আলাদীনের চেরাগ’। কয়েকটি প্রতিবেদনে বিভিন্ন স্থানে ‘অবৈধ সম্পদের’ বিবরণ তুলে ধরা হয়। গোপালগঞ্জে তার রিসোর্টের কথাও বলা হয়। গাজীপুরে বনভূমি দখলের অভিযোগও করা হয়। তার চাকরি জীবনের আয়ের সঙ্গে এই সম্পদের মালিক হওয়া অসঙ্গতিপূর্ণ বলেও দাবি করা হয়।
বসুন্ধরা গ্রুপের আরও দুটি সংবাদ মাধ্যম বাংলাদেশ প্রতিদিন ও বাংলানিউজেও একই শিরোনামে প্রতিবেদনগুলো প্রকাশিত হয়।
গোপালগঞ্জে সন্তান বেনজীর দুই বছর পুলিশ মহাপরিদর্শকের দায়িত্ব পালনের পর ২০২২ সালে অবসর নেন। আইজিপির দায়িত্ব পালনের আগে তিনি র্যাবের মহাপরিচালকের দায়িত্বে ছিলেন। তারও আগে তিনি ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার ছিলেন।
গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে ২০২১ সালে যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার তালিকায় র্যাবের যে সাতজন সাবেক ও বর্তমান কর্মকর্তার নাম আসে, তার মধ্যে বেনজীরও ছিলেন।