টপঅর্ডার ব্যর্থ। তা সামাল দিচ্ছেন মিডলঅর্ডাররা। গত কয়েক সিরিজ ধরে এটাই বাংলাদেশ ব্যাটিং লাইনের চিত্র। তার বদল হয়নি। যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে তিন ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথমটিতেও একই অবস্থা। টপঅর্ডারদের ব্যর্থতায় তাই হয়নি বড় সংগ্রহ। নির্ধারিত ওভারে ৬ উইকেটে ১৫৩ রানে থেমেছে বাংলাদেশ।
অচেনা কন্ডিশনে শুরুতেই ব্যাটিং করার চ্যালেঞ্জে পড়েছিলেন নাজমুল হোসেন শান্তরা। নতুন বলে সেই চ্যালেঞ্জটা বেশ কঠিনই ছিল। সেই সঙ্গে প্রচুর বাতাসে পেসারদের বাড়তি সুবিধা দিচ্ছিল বল সুইং করানোর। ইনিংসের শুরুটা তাই কঠিনই ছিল বাংলাদেশ ব্যাটারদের জন্য।
কঠিন অবস্থা আরও প্রকোট হয় লিটন দাস-নাজমুল হোসেন শান্তদের ব্যাটিং ব্যর্থতায়। অফফর্ম কাটিয়ে রানে ফিরতে পারেননি দুজনের কেউই। অবশ্য লিটন দুটি বাউন্ডারী শটে নিজের চেনা ছন্দে ফেরার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। কিন্তু ওই দুই বল বাদে ১৫ বলের ইনিংসের বাকি ১৩ বলেই বাজে সময়ের উদাহরণ দিচ্ছিল লিটনের ব্যাট।
দুই বলে ১০ রান নেয়া বাদে বাকি ১৩ বলে মাত্র ৪ রান নিতে পেরেছেন লিটন। এর মধ্যে একটি স্কুপ শট করতে গিয়ে আউট হওয়া থেকেও বেঁচে যান। তবে নড়বড়ে ইনিংস বেশি দূর এগোয়নি জাসদ্বীপ সিংয়ের ইনসুইংগারে। সরাসরি এলবি হয়েই ফেরেন লিটন।
শান্ত ফিরেছেন আরও করুণ আউট হয়ে। অফস্পিনার টেলরকে উইকেট ছেড়ে মারতে গিয়ে স্ট্যাম্পিং হন ১১ বলে ৩ রান করে চাপে থাকা অধিনায়ক। এ দুই উইকেটের মাঝে টেলরকে সুইপ করে ছক্কা মারতে গিয়ে ডিপ মিডউইকেটে ক্যাচ আউট হন ১৩ বলে ২০ রান করা সৌম্য। এ আউটে সৌম্যকে দুর্ভাগাই বলতে হয়।
তাওহিদ হৃদয়ের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝিতে ৬ রানে সাকিব আল হাসানের রান আউট বাংলাদেশকে বিরাট বিপদে ফেলে। ৬৮ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে নতুন দলের সঙ্গে ধুঁকছিল সফরকারীরা। ওই অবস্থা থেকে মিডলঅর্ডারের দৃঢ়তায় দেড়শ রানের পথ পায় বাংলাদেশ।
মাহমুদউল্লাহ ও হৃদয় ৬৭ রানের জুটি গড়েন। সাম্প্রতিক ধারাবাহিকতা মেনে মিডলঅর্ডারেই ভরসা হয়। হৃদয় তুলে নেন ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ফিফটি। ৪৭ বলে ৪ চার ও ২ ছক্কায় ৫৮ রান তার। মাহমুদউল্লাহ তার দায়িত্বটা ভালোই সামলেছেন। ১৪০.৯০ স্ট্রাইক রেটে ২২ বলে ২ চার ও ১ ছক্কায় ৩১ রানের ক্যামিও ইনিংস উপহার দেন।
হৃদয়ের দৃঢ়তায় শেষ ৫ ওভারে ৫১ রান নেয় বাংলাদেশ। তাতে দেড়শ পার করার স্বস্তিটাও মেলে।