সবশেষবার যখন শ্রীলঙ্কা ভারতকে ওয়ানডে সিরিজে হারিয়েছিল, তখন ওয়ানডেতে ২৩০-৪০ অনেক রান। বলা হচ্ছে ১৯৯৭ সালের কথা। যখন শেষবার ভারতের সঙ্গে ওয়ানডে সিরিজ জিতেছিল শ্রীলঙ্কা। ঠিক সেই স্মৃতি ফিরিয়ে আনতে যাচ্ছে লঙ্কানরা।
নিজেদের মাঠে ভারতের বিপক্ষে তিন ম্যাচ সিরিজের দ্বিতীয়টিতে রোববার ৩২ রানে জিতেছে শ্রীলঙ্কা। প্রথম ম্যাচে টাই হওয়ায় এই সিরিজে লঙ্কানদের হারের সম্ভাবনা নেই। তাতেও ভারতের বিপক্ষে ২০০৬ এর পর সিরিজ ভাগাভাগি করা হবে তাদের। আর জিতলে ১৯৯৭ এর পর প্রথম সিরিজ জয়।
আরও একটি ভাবে অতীতের স্মৃতি ফিরে এসেছে। বর্তমান সময়ে ওয়ানডেতেও ৪০০ রান তাড়া করে জয়ের নজীর আছে। তাই ২০০-২৫০ করে জয়ের ভাবনা দূর অলীক। কিন্তু এই সিরিজে তা ফিরিয়ে এনেছে লঙ্কানরা। আগের ম্যাচে মাত্র ২৩০ রান করেও শক্তিশালি ভারতের ব্যাটিং লাইনকে আটকে দিয়েছিল তারা। এবার ২৪০ রান করেই স্বাগতিকদের ম্যাচ জয়।
রোববার লঙ্কানদের জয়ের নায়ক জেফরি ভ্যান্ডারসে। ক্যারিয়ার সেরা স্পেল উপহার দিয়ে এই স্পিনার তুলে নেন ভারতের শুরুর ৬ ব্যাটারকেই। ভানিন্দু হাসারাঙ্গার ইনজুরিতে এই ম্যাচে সুযোগ পেয়েছেন ভ্যান্ডারসে। সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে ৩৩ রানে ৬ উইকেট নিয়ে দলকে জেতালেন।
ভ্যান্ডারসের ঘূর্নিতে ২৪০ রানের তাড়ায় নেমে বিনা উইকেটে ৯৭ করেও ২০৮ এর বেশি করতে পারেনি ভারত। অধিনায়ক রোহিত শর্মা মাত্র ৪৪ বলে ৬৪ রান করে দলকে উড়ন্ত সূচনা এনে দেন। তবে উইকেট হারানো শুরু হলে মিডলঅর্ডারে ৪৪ বলে ৪৪ রান করে অক্ষর প্যাটেল ছাড়া আর কেউ প্রতিরোধ গড়তে পারেননি।
লঙ্কানদের হয়ে ২৪০ রানের পথে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন লোয়ার অর্ডারের কামিন্দু মেন্ডিস ও দুনিথ ভেল্লালাগে। দুজনের সপ্তম উইকেটের ৭২ রানের জুটিতে লড়াইকু সংগ্রহ পায় লঙ্কানরা। শেষদিকে ৪৪ বলে ৪০ রান করেন কামিন্দু। ভেল্লালাগে করেন ৩৫ বলে ৩৯। এছাড়া আভিস্কা ফার্নান্দোর ৪০ ও কুশল মেন্ডিস ৩০ রান করেন।
এই সিরিজ দিয়ে ভারত ও শ্রীলঙ্কার হয়ে নতুন দুই কোচের শুরু হয়েছে। গৌতম গম্ভীর প্রথম ওয়ানডে সিরিজেই হারের মুখে। আর লঙ্কানদের কোচ হয়ে শুভসূচনার অপেক্ষায় সানাথ জয়াসুরিয়া। ১৯৯৭ সালে সবশেষ ভারতকে হারানো সিরিজটিতেও ছিল জয়াসুরিয়ার অবদান। সেবার ২১০ রান ও ৫ উইকেট নিয়ে সিরিজ সেরা হয়েছিলেন এই লঙ্কান কিংবদন্তী।