ইনিংসে টেস্ট হেরে কী লজ্জাতেই না পড়েছিল ভারত। কাঠগড়ায় উঠেছিল রোহিত শর্মাদের ব্যাটিং। সেই তারাই দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে গড়ল নতুন কীর্তি। ইতহাসের সংক্ষিপ্ত টেস্ট জিতে সিরিজ শেষ করল ১-১ সমতায়। আজ (বৃহস্পতিবার) কেপ টাউনে প্রোটিয়াদের ৭ উইকেটে হারিয়েছে সফরকারীরা।
একটা সময়সীমা বেঁধে দিয়ে কাজ করতে চান মন্ত্রী, ‘‘ ফেডারেশনগুলোকে মূলত আর্থিক সাপোর্ট দিব। তখন তাদেরকেও আমাকে একটা টার্গেট দিতে হবে। এখন কোথায় আছি, সামনে কোথায় যাব বলতে হবে। তারা ৫-১০ বছরের সময় নিতেই পারে। কিন্তু তিন বছর পর কোথায় যাব সেটা বলতে হবে। যাদের সাপোর্ট দিব তারা সেটা ঠিক মতো কাজে লাগতে পারছে কিনা সেটা দেখতে হবে। ”
দক্ষিণ আফ্রিকায় ভারতের টেস্ট ইতিহাস খুব একটা সমৃদ্ধ নয়। মাত্র ৪ টেস্ট জয়ের সুখস্মৃতি সঙ্গী করে নেমেছিল এবার। প্রথম টেস্ট হারলেও দ্বিতীয় টেস্টে ঘুরে দাঁড়াল দোর্দণ্ড প্রতাপ দেখিয়ে। কেপ টাউনে গড়ল নতুন ইতিহাস। সবচেয়ে সংক্ষিপ্ত টেস্ট নিজেদের করে দক্ষিণ আফ্রিকার এই মাঠ প্রথমবার জয় করল ভারত।
এতদিন টেস্টের সংক্ষিপ্ত ইনিংস ছিল ৬৫৬ বলের। ১৯৩২ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি অস্ট্রেলিয়া-দক্ষিণ আফ্রিকার মেলবোর্ন টেস্টের স্থায়ীত্ব গড়েছিল সবচেয়ে কম দৈর্ঘ্যের টেস্ট ম্যাচের রেকর্ড। লজ্জার সেই রেকর্ডে আবারও নাম জড়াল প্রোটিয়াদের। এবার ভারতের বিপক্ষে তাদের কেপ টাউন টেস্টের স্থায়ীত্ব মাত্র ৬৪২ বলের। মাত্র দেড় দিনেই শেষ পাঁচ দিনের খেলা।
৯২ বছর আগেও হেরেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। এবারও হারের হতাশা তাদের। প্রথম ইনিংসে স্বাগতিকরা গুটিয়ে গিয়েছিল মাত্র ৫৫ রানে। ইনিংসের দৈর্ঘ্য ছিল মাত্র ২৩.২ ওভারের। মোহাম্মদ সিরাজের তোপে (৬/১৫) দক্ষিণ আফ্রিকাকে অল্পতে গুটিয়ে ভারতও ব্যাটিংয়ে স্বস্তিতে থাকতে পারেনি। প্রোটিয়া পেসারদের তোপের মুখে ১৫৩ রানে অলআউট তারা। এরপরও ভারত পায় ৯৮ রানের লিড।
প্রথম দিনের চা বিরতির পরই দুই ইনিংস শেষ। ফলে দক্ষিণ আফ্রিকা ব্যাটিংয়ে নামার সময় এক দিনেই টেস্ট শেষ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়! যদিও হয়নি তা।
অবশ্য স্বাগতিক ব্যাটাররা আবারও হতাশায় মুখ লুকিয়েছেন। তারপরও প্রোটিয়ারা লিড পায় এইডেন মারক্রামের দুর্দান্ত সেঞ্চুরিতে।
ব্যাটারদের চরম পরীক্ষার মঞ্চে এই ওপেনার খেলেন ১০৬ রানের ইনিংস। তার কারণেই মূলত দ্বিতীয় ইনিংসে স্কোরে ১৭৬ রান জমা করতে পারে দক্ষিণ আফ্রিকা। মারক্রামের সঙ্গে ওপেনিংয়ে নামা ডিন এলগার খেলে ফেলেছেন ক্যারিয়ারের শেষ ইনিংস। মজার ব্যাপার হলো, ক্যারিয়ারের শেষ টেস্টে এক দিনেই দুইবার ব্যাটিংয়ে নামতে হয় তাকে! শেষ ইনিংসে করেন ১২ রান।
ভারতের লক্ষ্য ছিল খুব সহজ। মাত্র ৭৯ রানের। কিন্তু কেপ টাউনের উইকেট যেমন আচরণ করছিল, তাতে এই লক্ষ্যটাও কঠিন হয়ে দাঁড়ানোর শঙ্কা ছিল। যদিও সহজ জয়ই পেয়েছে ভারত। ১২ ওভারে মাত্র ৩ উইকেট হারিয়ে প্রথমবার কেপ টাউন জয় করে সফরকারীরা। সর্বোচ্চ ২৮ রান যশস্বী জয়সওয়ালের। শুভমান গিল ১২ ও বিরাট কোহলি করেন ১০ রান। জয় নিশ্চিত করে মাঠ ছাড়েন রোহিত শর্মা (১৬*) ও শ্রেয়াস আইয়ার (৪*)।
সংক্ষিপ্ত টেস্টের ইতিহাস গড়া এই টেস্টের ম্যাচসেরা সিরাজ। আর সিরিজসেরার পুরস্কার ভাগাভাগি করেছেন এলগার ও জসপ্রিত বুমরা।