ভারত এবারের বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে উঠলে খেলবে গায়ানায়, এটা আগে থেকে ঠিক করে রেখেছে আইসিসি।
৯৫ পৃষ্ঠার প্লেয়িং কন্ডিশনের ২৪ নম্বর পৃষ্ঠায় ১০ নম্বর পয়েন্টের ৬ নম্বর সাব-পয়েন্টে ভারতের ম্যাচটাকে বলা হয়েছে দ্বিতীয় সেমিফাইনাল, যা হবে ২৭ জুন। সেমিফাইনালের আরেক ভেন্যু ত্রিনিদাদ অ্যান্ড টোবাগোয় কেন খেলবে না এর ব্যাখ্যা নেই কোনও।
গায়ানায় দ্বিতীয় সেমিফাইনাল শুরু হবে স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ১০টায়। ভারতে তখন স্থানীয় সময় রাত ৮টা, আইপিএলের ম্যাচগুলো সেই সময়েই হয়। আর গায়ানার ভেন্যুটাও স্পিন বান্ধব, সেটা মাথায় রেখে হয়ত দলে চার স্পিনার ভারতের। আর ত্রিনিদাদের প্রথম সেমিফাইনাল স্থানীয় সময় রাত সাড়ে ৮টায়, ভারতের তখন সকাল ৬টা।
এত সকালে কি ভারতীয় দর্শকরা ঘুম থেকে জেগে ম্যাচ দেখবেন? সেই ভয়েই সূচিটা এরকম। তাছাড়া গ্রুপ পর্ব’র সূচিতেও বাড়তি সুবিধা দেওয়া হয়েছে ভারতকে। তাদের সব ম্যাচই স্থানীয় সময় সকালে। অথচ টি-টোয়েন্টি মানেই রাতের খেলা। তাছাড়া শ্রীলঙ্কা যেখানে গ্রুপের ম্যাচ খেলছে চারটা আলাদা ভেন্যুতে, তাদের রাখাও হয়েছে স্টেডিয়াম থেকে দূরে। সেখানে ভারত খুব বেশি ভেন্যুতে খেলছে না। তারা আছে স্টেডিয়ামের খুব কাছের হোটেলে।
তাই প্রশ্নটা উঠেছে ভারতের সূচি ও বাড়তি সুবিধা নিয়ে। বিশ্বকাপের সহ-স্বাগতিক ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট বোর্ড-এর সিইও জনি গ্রেভ মেনেই নিলেন ভারতীয় দর্শকদের কথা মাথায় রেখে সূচি তৈরির কথা। ‘ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস’কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে গ্রেভ বলেছেন, “ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় বাজার ভারত, এতে কোন সন্দেহ নেই। সেখান থেকেই আয় সবচেয়ে বেশি। তাই ভারতীয় দর্শকদের কথা মাথায় রেখে বিশ্বকাপের সূচি তৈরি হয়েছে। অর্ধেক ম্যাচ আমাদের এখানে সকালে হচ্ছে। তাতে একটা সুবিধাও আছে, স্কুলের ছেলে-মেয়েরা খেলা দেখতে আসতে পারছে।”
রাতের বদলে স্থানীয় সময় সকালে টি-টোয়েন্টি নিয়েও আপত্তি নেই জনি গ্রেভের , ‘‘টি-টোয়েন্টি হয়তো রাতেই খেলা হয়। তবে ক্রিকেটারেরা সকালে খেলেও অভ্যস্ত (ওয়ানডে-টেস্ট)। তাই ক্রিকেটারদের সমস্যা হওয়া উচিত নয়। গত কয়েক বছরে আইসিসির বেশির ভাগ টুর্নামেন্ট ভারত, ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া আর আরব আমিরাতে হয়েছে। আমাদেরও সুযোগ দিতে হবে। আইসিসি সেটা দিচ্ছে। এজন্য ভারতের বাজারের কথাও ভাবতে হবে আমাদের।”