জাতীয় দলে পুরোনো দায়িত্বে আবার ফিরতে যাচ্ছেন মোহাম্মদ সালাউদ্দিন। বিসিবির গত বোর্ড সভাতে তাকে সহকারী কোচ করার সিদ্ধান্তও হয়েছে। এবার শুধু আনুষ্ঠানিক ঘোষণার অপেক্ষা। বিসিবির পক্ষ থেকে সেই ঘোষণা আসবে সব কিছু নিশ্চিতের পর।
সেই নিশ্চয়তা অবশ্য ভিসা সংক্রান্ত। ভিসা না থাকায় আফগানিস্তানের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে সহকারী কোচ হিসেবে যাওয়া হয়নি সালাউদ্দিনের। আরব আমিরাতের ভিসা থাকলে নিক পোথাসের জায়গায় তাকেই দেখা যেত।
একই কারণে চলতি মাসে উইন্ডিজ সফরের দলে সালাউদ্দিনের যোগ দেওয়া আটকে আছে। যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা পেলে ওই সফরে দলের সঙ্গে দেখা যাবে তাকে। ভিসা না পেলে জাতীয় দলের সঙ্গী হতে আরও অপেক্ষা করতে হবে সালাউদ্দিনকে।
ভিসা প্রক্রিয়া সম্পন্নের জন্য ইতিমধ্যে বিসিবিতে নিজের পাসপোর্ট জমা দিয়েছেন সালাউদ্দিন। এ ব্যাপারে সকাল সন্ধ্যাকে নিশ্চিত করেছে বিসিবির একটি সূত্র। এবার শুধু যুক্তরাষ্ট্রের ভিসার অপেক্ষা।
এর আগে ২০০৬ থেকে ২০০৮ পর্যন্ত জাতীয় দলের সহকারী কোচ ছিলেন সালাউদ্দিন। পরে ২০০৮ থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত ছিলেন ফিল্ডিং কোচ। সালাউদ্দিনের পর বাংলাদেশ জাতীয় দলে আরও কোনও দেশি কোচ সহকারীর ভূমিকায় ছিলেন না। খালেদ মাহমুদ সুজন টিম ডিরেক্টর ও রাজিন সালেহ ফিল্ডিং কোচ ছিলেন।
ঘরোয়া ক্রিকেটে সবচেয়ে সফল সালাউদ্দিনকে জাতীয় দলের সঙ্গে যুক্ত করার দাবিটা ছিল অনেকদিন ধরেই। সালাউদ্দিন নিজেও আগ্রহী ছিলেন। তবে বিসিবি থেকে প্রস্তাব পাননি। সেই সঙ্গে কিছু ব্যক্তিগত শর্তও রেখেছিলেন।
তার শর্ত মেনে নাজমুল হাসান পাপন পরিচালিত বোর্ড কোচ হওয়ার প্রস্তাব পাঠায়নি সালাউদ্দিনকে। ফারুক আহমেদের অধীনে সেই প্রস্তাব পেয়েছেন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের হয়ে রেকর্ড চারবার বিপিএল জয়ী এই কোচ। জানা গেছে সহকারী কোচ হিসেবে মাসে ১২ লাখ টাকা করে পাবেন সালাউদ্দিন।