দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর এবার দেশের দুই সিটি করপোরেশনে ভোটের প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এগুলো হলো-ময়মনসিংহ সিটিতে হবে সাধারণ নির্বাচন, কুমিল্লায় মেয়র পদে উপনির্বাচন।
আগামী ৯ মার্চ এ দুটি ভোট শেষ করতে চায় কমিশন। পাশাপাশি কাছাকাছি সময়ে কিছু পৌরসভা ও জেলা পরিষদ নির্বাচনও সেরে ফেলার পরিকল্পনা চলছে। আর এসব ক্ষেত্রে ব্যালট নয়, ব্যবহার করা হবে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম)।
সোমবার (২২ ডিসেম্বর) ঢাকার আগারগাওঁয়ে নির্বাচন ভবনে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এসব কথা জানান কমিশনার আনিছুর রহমান।
দেশের দ্বাদশ সিটি করপোরেশন হিসেবে গেজেট প্রকাশের পর ২০১৯ সালের ৫ মে ময়মনসিংহে প্রথম নির্বাচন হয়। নিয়ম অনুযায়ী এই সিটি ভোটের ক্ষণ গণনা শুরু হয়েছে গত বছরের ২০ ডিসেম্বর। চলতি বছর ১৯ জুনের মধ্যে যা শেষ করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে।
অন্যদিকে, ২০২২ সালের ১৫ জুন কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের নির্বাচনে মেয়র নির্বাচিত হন মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আরফানুল হক রিফাত। তবে গত ১৩ ডিসেম্বর তার মৃত্যু হয়। ফলে মেয়র পদে উপনির্বাচন করতে হচ্ছে নির্বাচন কমিশনকে।
আনিছুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, “৯ মার্চ সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত টানা ভোটগ্রহণ চলবে। একইদিনে তিন-চারটি পৌরসভায় নির্বাচন হবে।
“এছাড়া, ওইদিন কিছু উপজেলা, জেলা পরিষদে উপনির্বাচন হবে। এর বাইরেও মৃত্যুজনিত কারণে কিছু ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন হবে।”
সবশেষ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ব্যালট পেপারে করা হলেও স্থানীয় সরকারের কিছু ভোটে কমিশন ইভিএম ব্যবহার করতে চায় বলে জানান এই কমিশনার।
তিনি বলেন, “ইভিএমের মাধ্যমে পৌরসভা, জেলা পরিষদ এবং সিটি করপোরেশনের ভোটগ্রহণ করা হবে। ৎবাকি নির্বাচনগুলো ব্যালট পেপারের মাধ্যমে করা হবে। আনুষ্ঠানিক তফসিল দিলে আরও বিস্তারিত জানা যাবে।”
ঈদের পরে উপজেলা ভোট
এসএসসি পরীক্ষা ও রোজার কারণে ঈদের পরেই উপজেলা ভোটের পরিকল্পনা করছে কমিশন। উপজেলা পরিষদ নির্বাচন নিয়ে কমিশন এখনও পর্যালোচনা করছে এবং দেখছে বলে জানান নির্বাচন কমিশনার আনিছুর রহমান।
তিনি বলেন, “আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে এসএসসি পরীক্ষা শুরু হবে এবং ১২ মার্চে শেষ হবে। আবার ১০ বা ১১ মার্চ রোজা শুরু হবে। এইসব বিষয়গুলো বিবেচনা করতে হচ্ছে।”
উপজেলা পরিষদের প্রথম ধাপে যে নির্বাচনগুলো করতে হবে, সেগুলো ৩০ এপ্রিলের মধ্যে কিছু হবে বলে মনে করছেন এই কমিশনার।
তিনি বলেন, “বাকিগুলো কয়েকটা ধাপে মে মাসে করা হবে। কারণ জুন মাসে আবার এইচএসসি পরীক্ষা। এজন্য আমরা এই সময়টাকে কাজে লাগাতে চাই। উপজেলার যেই তালিকা আমরা পেয়েছি, সেগুলো যাচাই-বাছাই করছি। ঈদের আগে উপজেলা পরিষদের নির্বাচন হওয়ার সম্ভবনা নেই। তবে ৩০ এপ্রিলের মধ্যেই কিছু সংখ্যক নির্বাচন করব। প্রায় ১০০ উপজেলার নির্বাচনের জন্য এ সপ্তাহেই সিদ্ধান্ত হতে পারে।”
জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত আসনের নির্বাচন বিষয়ে জানতে চাইলে এই কমিশনার বলেন, “সংরক্ষিত আসনের ভোট নিয়ে যাচাই-বাছাই হচ্ছে। সহসাই হয়ে যাবে। যেহেতু আইনের বাধ্যবাধকতা আছে যে, সংসদ নির্বাচনের এক মাসের মধ্যে এটা করতে হবে।”