১১ বল আগেও চিত্রটা ছিল স্বস্তির। ভারতের স্কোর তখন ৪ উইকেটে ১৫৩ রান। ক্রিজে আছেন বিরাট কোহলি। দক্ষিণ আফ্রিকার চেয়ে রোহিত শর্মার দলের লিড ৯৮ রানের।
১১ বল পরই ভোজবাজির মত বদলে গেল সব। ভারত অলআউট হয়ে গেল ১৫৩ রানেই! আর কোন রান যোগ না করে শেষ ৬ উইকেট হারিয়েছে তারা।
টেস্ট ইতিহাসে প্রথম
টেস্টের সুদীর্ঘ ইতিহাসে একই স্কোরে ৬ উইকেট হারানোর নজির নেই। কেপটাউনে হল সেটাই। এর নেতৃত্ব দিয়েছেন লুঙ্গি এনগিদি। ভারতের মহাধসের আগে ৫ ওভারে ৩০ রান দিয়েছিলেন তিনি। সেই এনগিদি টানা তিনটা মেডেন ওভারে নেন ৩ উইকেট।
ভারতীয় ইনিংসে ৬ জন আউট হন ০ রানে। আর মুকেশ কুমার অপরাজিত ছিলেন ০ রানে।
একটা প্রান্ত আগলে সতীর্থদের যাওয়া আসার মিছিল দেখা কোহলি ৪৬ করে আউট হন কাগিসো রাবাদার বলে। ৩৫তম ওভারে তিন উইকেট নিয়ে ভারতকে ১৫৩ রানে গুটিয়ে দেন তিনি। রোহিত শর্মা ৩৯ ও শুভমান গিল করেন ৩৬ রান। সমান ৩টি করে উইকেট রাবাদা, এনগিদি ও নন্দ্রে বর্গারের।
৩৪৯ বলে শেষ দুই ইনিংস
দিনের শুরুতে মোহাম্মদ সিরাজের আগুনে দক্ষিণ আফ্রিকা অলআউট হয়েছিল ৫৫ রানে। ভারত গুটিয়ে যায় ১৫৩-তে। দুই দল মিলে ২০ উইকেট হারায় মাত্র ৩৪৯ বলে। টেস্টে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ কম বলে দুই ইনিংস গুটিয়ে যাওয়ার রেকর্ড এটা। ১৯০২ সালে মেলবোর্ন টেস্টে ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়া অলআউট হয়েছিল ২৮৭ বলে।
দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমেও স্বস্তিতে নেই দক্ষিণ আফ্রিকা। ৪৫ রানেই হারায় প্রথম ৩ উইকেট। আউট হয়ে গেছেন ডিন এলগার। ক্যারিয়ারের শেষ টেস্টে প্রথম দিনেই দুইবার ব্যাট করতে হয়েছে তাকে। বিদায়ী ইনিংসে করেন ১২ রান। মুকেশ কুমারের বলে বিরাট কোহলির তালুবন্দী হয়ে ফেরেন তিনি।