অভিষেকেই মায়াঙ্ক যাদব তুলেছিলেন গতির ঝড়। পাঞ্জাবের বিপক্ষে একটা বলের গতি ছিল ঘণ্টায় ১৫৫.৮ কিলোমিটার। আজ (মঙ্গলবার) রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর বিপক্ষে ছাড়িয়ে গেলেন নিজেকেই। লক্ষ্ণৌ সুপার জায়ান্টের এই পেসার বল করলেন ১৫৬.৭ কিলোমিটার গতিতে। এবারের আইপিএলের এটাই সবচেয়ে বেশি গতির বল।
মায়াঙ্কের গতিতে দিশেহারা বিরাট কোহলি, ফাফ দু’প্লেসিস, গ্লেন ম্যাক্সওয়েলদের বেঙ্গালুরু হারল ২৮ রানে। লক্ষ্ণৌ সুপার জায়ান্টের ৫ উইকেটে ১৮১ রানের জবাবে ১৫৩ রানে গুটিয়ে যায় তারা।
৩ উইকেট নিয়ে টানা দ্বিতীয় ম্যাচে সেরার পুরস্কার মায়াঙ্কের। আইপিএল ইতিহাসে প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে অভিষেকের পর টানা দুই ম্যাচে সেরা হলেন তিনি।
আজ (মঙ্গলবার) ৪ ওভারে তার খরচ মাত্র ১৪ রান। ডট বলই করেছেন ১৫টির বেশি। ভারতীয় ক্রিকেট নতুন তারকাই পেল এবারের আইপিএলে। ম্যাচ সেরার পুরস্কার হাতে বললেন, ‘‘এই পুরস্কারের চেয়ে বেশি খুশি হয়েছি দল জেতায়। আমার স্বপ্ন এখন জাতীয় দলে খেলা।’’
গ্লেন ম্যাক্সওয়েলকে আজ ঘণ্টায় ১৫১ কিলোমিটার গতির বলে ফেরান মায়াঙ্ক। ক্যামেরন গ্রিনকে যে বলে বোল্ড করেছেন সেটা দেখে দক্ষিণ আফ্রিকার সাবেক গতি তারকা ডেল স্টেইন মুগ্ধতা জানিয়েছেন এক্সে।
আইপিএল ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি ঘণ্টায় ১৫৭.৭ কিলোমিটার বেগে বলের রেকর্ড শন টেইটের। সেই রেকর্ড ভাঙা হয়ত সময়ের অপেক্ষা মায়াঙ্কের। আজ ম্যাচের বিশ্লেষণের সময় অস্ট্রেলিয়ার সাবেক তারকা ব্রেট লি বলেছেন,‘‘আরও ৪ কিলোমিটার বেশি গতিতে বল করা সম্ভব মায়াঙ্কের জন্য। এটা করতে হলে বল ছাড়ার সময় মাথার অবস্থান ঠিক করতে হবে।’’
লক্ষ্ণৌর হয়ে ৫৬ বলে ৮১ করেছিলেন কুইন্টন ডি কক আর নিকোলাস পুরান করেন ২১ বলে ৪০। বেঙ্গালুরুর পক্ষে বিরাট কোহলি ১৬ বলে ২২ আর মহিপাল লমরোর করেছিলেন ১৩ বলে ৩৩। তবে সবটুকু আলো ছিল মায়াঙ্কের ওপরই।