মিয়ানমারের জান্তা বাহিনী গত বৃহস্পতিবার দেশটির দক্ষিণাঞ্চলীয় শান রাজ্যের সি সেংয়ের পা-ও শহরের উপর রাসায়নিক বোমা ফেলেছে বলে দাবি করেছে সেখানকার সশস্ত্র গোষ্ঠী পা-ও ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মি (পিএনএলএ)।
সি সেংয়ে গত সোমবার জান্তা বাহিনী এবং পিএনএলএ ও তাদের সহযোগীদের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। জানুয়ারির শেষের দিকে নিয়ন্ত্রণ হারানো শহরটি পুনরায় জান্তার সৈন্যরা দখলে নেওয়ার চেষ্টা করলে এই সংঘর্ষ বাধে।
পিএনএলএ বলছে, ৬ মার্চ জান্তা বাহিনী ড্রোনের সাহায্যে শহরটিতে রাসায়নিক বোমা ফেলেছে, যার ফলে পিএনএলএ’র যোদ্ধাদের অক্সিজেনের অভাব, ক্লান্তি, মাথা ঘোরা, দ্রুত শ্বাস-প্রশ্বাস ও চুলকানি দেখা দেয়।
দ্য ইরাবতীর এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে। তবে পিএনএলএ’র দাবির সত্যতা নিরপেক্ষ মাধ্যম থেকে যাচাই করতে পারেনি সংবাদমাধ্যমটি।
এর আগে গত বছরের ৩ ডিসেম্বর মিয়ানমারের দক্ষিণাঞ্চলীয় চিন রাজ্যের প্যালেত্তা শহরে ওয়াই-৮ ও ওয়াই-১২ মডেলের বিমানের সাহায্যে জান্তা বাহিনী রাসায়নিক বোমা ফেলেছিল বলে অভিযোগ করে আসছে আরেক বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মি।
তারও আগে গত নভেম্বরে মিয়ানমার ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্স আর্মি অভিযোগ করে, জান্তা বাহিনী সেনি শহর থেকে চারটি রাসায়নিক বোমা দিয়ে নান্ত জালাত পাহাড়ে তাদের একটি ঘাঁটিতে হামলা চালায়।
পা-ও ইয়ুথ অর্গানাইজেশনের (পিওয়াইও) এক সদস্য জানান, সি সেংয়ে ঘিরে থাকা জান্তা বাহিনীর ঘাঁটিগুলো থেকে সেখানে গোলাবর্ষণ করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, “প্রতিদিনই যুদ্ধ হচ্ছে। বুধবারে তা ছিল ব্যাপক। জান্তার ঘাঁটি থেকে বৃষ্টির মতো গোলা এসে শহরে পড়ে। কিছু দরিদ্র বাসিন্দা শহরটিতে আটকা পড়েছে।”
এই শহরটির ৭০ হাজারের বেশি মানুষ এখন বাস্তুচ্যুত উল্লেখ করে তিনি জানান, এক হাজারের কিছু বেশি বেসামরিক মানুষ এখন সি সেংয়ে অবস্থান করছে।