মেসি-রোনালদো, তাদের শ্রেষ্ঠত্বে দ্বৈরথ থাকতে পারে। সাফল্যের তালিকাও দুজনের দুই রকম। কিন্তু একটি ঘটনা এক বিন্দুতে মিলিয়ে দিল লিওনেল মেসি ও ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোকে। ফাইনাল, দুই মহা তারকার কান্না এবং শেষে শিরোপা জয়ের হাসি।
কোপা আমেরিকায় হয়তো এটাই শেষ ম্যাচ লিওনেল মেসির। ফাইনালে মাঠে থেকে শিরোপা উদযাপন করতে চেয়েছিলেন এই কিংবদন্তী। কিন্তু ইনজুরি তাকে আটকে দেয়। পা মচকে যাওয়ায় দৌড়াতে পারছিলেন না। বেঞ্চে গিয়ে বসতে হয়।
ইনজুরির শুরু থেকে কান্নার শুরু মেসির। সাতবারের বর্ষসেরা তারকা হতাশায় বেঞ্চে সামনে গিয়ে বুট ছুড়ে মেরেছেন মাটিতে। বেঞ্চে বসার মতো আরও ভেঙে পড়েন। শিশুর মতো কেঁদেছেন ফুঁপিয়ে।
ঠিক ৮ বছর আগে একই চিত্র ছিল ফ্রান্সের প্যারিসে। সেবার ফ্রান্সের বিপক্ষে ইউরো ফাইনালে ইনজুরিতে পড়েছিলেন রোনালদো। সেবার এই তারকাও কেঁদেছিলেন অঝোরে। বেঞ্চে বসে ফাইনালের বাকি সময়টা দলকে সমর্থন করে যাওয়া ছাড়া কিছুই করার ছিল না পর্তুগাল কিংবদন্তীর।
তবে দুজনই ফাইনালের শেষ বাঁশির পর হেসেছেন। কষ্টের শেষে তাদের হাসি ফুটেছে। মেসি জিতলেন শীর্ষ ক্যারিয়ারের তৃতীয় শিরোপা। আর রোনালদো জিতেছিলেন প্রথম।
Messi has given his country so much and is in absolute tears not to be on the field to provide Argentina with just one more win.
— herculez gomez (@herculezg) July 15, 2024
Let’s hope it’s not severe. Legend #Messi
pic.twitter.com/IPkrLuH6FX
ম্যাচের ৬৭ মিনিটে কলম্বিয়ান এক ফুটবলারের পেছনে বল দখলের জন্য ছুটতে গিয়ে পা মচকে পড়ে যান মেসি। বিপক্ষের কোন ফুটবলারই তাকে ট্যাকল করেননি। আর্জেন্টিনার ফিজিও ছুটে এসে প্রাথমিক শুশ্রুষা করেন। কিন্তু উঠে দাঁড়ালেও দৌড়াতে পারছিলেন না মেসি। তাই নির্ধারিত সময়ের ২৩ মিনিট আগে মাঠ থেকে উঠে যেতে হয় তাকে।
রোনালদো ইনজুরিতে পড়েছিলেন ইউরো ফাইনালের ১৭ তম মিনিটে। ফ্রান্সের দিমিত্রি পায়েত পেছন থেকে ট্যাকল করেন তাকে। হাঁটুতে চোট পাওয়ায় পড়ে যান রোনালদো। কিছু পরে উঠে দাঁড়ালে খেলা শুরু করেন। কিন্ত বুঝতে পারেন আর সম্ভব না। তাই আবার মাঠে বসে পড়েন। আর এবার কান্না ভেজা চোখে মাঠ ছাড়েন।