অবিশ্বাস্য বললেও অবশ্যই ভুল হবে না। ১০০ ওভারের ম্যাচ মাত্র ১৮ ওভারেই শেষ। ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে গাজী টায়ার্স ক্রিকেট অ্যাকাডেমি ও মোহামেডানের ম্যাচে এমন ঘটনা ঘটেছে।
বিকেএসপিতে আবু হায়দার রনির ২০ রানে ৭ উইকেটে মাত্র ৪০ রানে অলআউট হয় গাজী টায়ার্স। জবাবে ৬.২ ওভারে ৯ উইকেট হাতে রেখে ৪১ রান করে ম্যাচ জিতেছে মোহামেডান।
অবিশ্বাস্য জয়ের দিনে রনি তার ক্যারিয়ার সেরা স্পেল করেছেন। লিস্ট এ ক্রিকেটে এতদিন রনির সেরা বোলিং ছিল ৩৫ রানে ৬ উইকেট। শনিবার তা ছাড়িয়ে গেলেন ২০ রানে ৭ উইকেট নিয়ে।
এ স্পেলে রেকর্ড বইয়ে নাম তুলেছেন রনি। দেশের ইতিহাসে এক ম্যাচে সেরা বোলিং ২০১৭-১৮ মৌসুমে আবাহনীর বিপক্ষে গাজী গ্রুপের ইয়াসিন আরাফাতের ৪০ রানে ৮ উইকেট। এছাড়া ২০০৪ সালে জিম্বাবুয়ে “এ” দলের বিপক্ষে আবদুর রাজ্জাকের ১৭ রানে ৭ উইকেট দ্বিতীয় সেরা।
এরপরই রনির ২০ রানে ৭ উইকেট। তবে এই পেসার দেশের ইতিহাসে সেরা ফিগার করা বোলার হতে পারতেন। ২০১২ যুব এশিয়া কাপে কাতারের বিপক্ষে মাত্র ১০ রানে ৯ উইকেট নিয়েছিলেন রনি। তবে তা লিস্ট “এ” ম্যাচ ছিল না।
ঙ্গে ৩ উইকেট নিয়েছেন নাসুম আহমেদ। গাজীর ১২ ওভারের ইনিংসে এ দুই বোলারের বেশি আর কাউকে হাত ঘোরাতে হয়নি। গাজীর হয়ে ইফতিখার সাজ্জাদের ১৬ রান ছাড়া আর কারও দু’অঙ্কের ঘরে রান নেই।
৪০ রানে অলআউট হলেও অল্পের জন্য দেশের ইতিহাসে সর্বনিম্ন রানের লজ্জায় পড়তে হয়নি গাজী টায়ার্সকে। তবে দ্রুত শেষ হওয়া (মাত্র ১২ ওভার) ইনিংসের রেকর্ডটি এখন তাদেরই। সর্বনিন্ম রানের তালিকায় ২০০২ সালে জাতীয় লিগের ওয়ানডে ম্যাচে সিলেটের বিপক্ষে চট্টগ্রাম দেশের ইতিহাসে সর্বনিম্ন ৩০ রানে অলআউট হয়েছিল।
তালিকায় দ্বিতীয় ২০১৩ সালে ঢাকা লিগের ম্যাচে আবাহনীর বিপক্ষে ক্রিকেট কোচিং স্কুলের ৩৫। চার নম্বরে আছে ২০০৪ সালে জাতীয় লিগের ওয়ানডে ম্যাচে রাজশাহীর বিপক্ষে খুলনার ৪১। পাঁচে আছে ২০১৭ সালে ঢাকা লিগে খেলাঘরের বিপক্ষে ভিক্টোরিয়া স্পোর্টিংয়ের ৪৬। সবশেষ ২০১৯ সালে প্রাইম ব্যাংকের বিপক্ষে বিকেএসপি অলআউট হয়েছিল ৫০ রানে।