নতুন সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের প্রথম অগ্রাধিকার রপ্তানি বহুমুখী করা। রপ্তানি বহুমুখী করতে এখন আমদানিও বহুমুখী করতে আগ্রহী মন্ত্রণালয়।
বুধবার ফিনল্যান্ডের অনাবাসিক রাষ্ট্রদূত কিমো লাহদেভির্তা বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটুর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি এ কথা জানান।
বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, রপ্তানি পণ্য বহুমুখী করতে কাজ করছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। এজন্য রপ্তানির সঙ্গে আমদানিকে বহুমুখী করতে হবে।
সরকার ব্যবসার সুবিধায় জাতীয় লজিস্টিক নীতি ২০২৪ করেছে জানিয়ে তিনি বলেন, বি টু বি যোগাযোগের মাধ্যমে একাধিক দেশের সাথে সুসম্পর্ক বাড়াতে কাজ হচ্ছে।
কাস্টমস হাউস ও শুল্ক স্টেশনের শুল্কায়ন মূল্যের হিসাব অনুযায়ী, ২০২২-২৩ অর্থবছরে সব মিলিয়ে ৬ লাখ ২০ হাজার কোটি টাকার পণ্য আমদানি হয়েছে। বিশ্বের ২১৫টি দেশ থেকে আমদানি করা হয় এসব পণ্য। এর মধ্যে ৬৫ শতাংশ বা ৪ লাখ কোটি টাকার পণ্যই এসেছে ৯ দেশ থেকে। দেশগুলো হলো চীন, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, যুক্তরাষ্ট্র, ব্রাজিল, মালয়েশিয়া, রাশিয়া, জাপান ও সিঙ্গাপুর। প্রত্যেকটি দেশ এককভাবে সরবরাহ করেছে ২০ হাজার কোটি টাকারও বেশি পণ্য।
আগামী বিশ্বের কূটনীতি বাণিজ্য ও বিনিয়োগ নিয়ে হতে যাচ্ছে মন্তব্য করে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী টিটু বলেন, মাতারবাড়ী সমুদ্রবন্দর, পায়রা বন্দর দেশের বাণিজ্যিক সম্ভাবনাকে উচু করেছে। বাংলাদেশের অর্থনীতি আরও এগিয়ে যাচ্ছে। ব্যবসা সম্প্রসারণে আসিয়ান দেশের সঙ্গে সুসম্পর্ক তৈরি হচ্ছে।
বৈঠকে বাংলাদেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতির প্রশংসা করে ফিনল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত কিমো লাহদেভির্তা বলেন, ফিনল্যান্ড-বাংলাদেশের দীর্ঘসময় ধরে সুসম্পর্ক রয়েছে। বাংলাদেশ অর্থনৈতিকভাবে একধাপ এগিয়ে যাচ্ছে। তিনি জানান, আগামী অক্টোবরে বিনিয়োগে আগ্রহী এমন ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদের একটি দল বাংলাদেশে আসবে।
ফিনল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশের সমজাতীয় ব্যবসায়ীদের সঙ্গে অংশীদার হয়েও ব্যবসাতে আগ্রহ আছে। সে লক্ষ্যে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতা প্রয়োজন।
এ সময় ফিনল্যান্ডের কাউন্সিলর সানা ওরাভা, অতিরিক্ত সচিব মো. নাভিদ শফিউল্লাহ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।