দিনের শুরুটা ছিল দুর্দান্ত। শুরুতেই বিপক্ষকে ব্যাকফুটে ঠেলে দেওয়া সকাল টেস্টে খুব কমই পেয়ে থাকে বাংলাদেশ। সেরকমই একটি দিন এসেছে বুধবার, চোখ কপালে তোলা সব ক্যাচের কল্যানে। এমন সুন্দর সব ক্যাচ বাংলাদেশ ফিল্ডারদের অনেকদিন ধরতে দেখা যায়নি।
অবশ্য দিনের শুরুর গতি সময়ের সঙ্গে ধীর হয়েছে। সৌদ শাকিল, সাইয়াম আইয়ুব ও মোহাম্মদ রিজওয়ানের দৃঢ়তায় প্রথমদিন শুরুর দাপট শেষে হারিয়েছে বাংলাদেশ। রাওয়ালপিন্ডি টেস্টের প্রথম দিন শেষে বাংলাদেশের চাপ সামলে পাকিস্তান ৪ উইকেটে ১৫৮ রান তুলেছে।
অপরাজিত ছিলেন ৫৭ রান করা শাকিল ও ২৪ রান করা রিজওয়ান। বাংলাদেশের দুই পেসার শরিফুল ইসলাম ও হাসান মাহমুদ দুটি করে উইকেট নিয়েছেন।
বৃষ্টির কারণে মাঠ ভেজা থাকায় টেস্টের প্রথম দিন পুরো ওভার খেলা হয়নি। ৯০ ওভারের মধ্যে মাত্র ৪১ ওভার হতে পেরেছে। ৪৭ ওভার খেলার কথা থাকলেও আলোর স্বল্পতার কারণে ৬ ওভার আগেই দিনের খেলা থামিয়ে দেন আম্পায়াররা।
বৃষ্টির কারণে আগের রাত থেকেই কাভারের নিচে ছিল পিচ। সকালের ময়েশ্চার মিলিয়ে দিনের শুরুটা ছিল পেসারদের স্বর্গরাজ্য। সেই সুযোগটা ভালোই কাজে লাগিয়েছেন বাংলাদেশের দুই পেসার শরিফুল ও হাসান মাহমুদ। পেস ও সুইংয়ের পাশাপশি বুদ্ধিদীপ্ত সেট-আপ করা বোলিংয়ে উইকেট নিয়েছেন দুজনে।
মাত্র ৯ ওভারের মধ্যে পাকিস্তানের তিন উইকেট পেয়ে যায় বাংলাদেশ। শরিফুল দুটি আর হাসান নেন এক উইকেট। দ্রুত আউট হওয়া আবদুল্লাহ শফিক ও বাবর আজমের দারুণ দুটি ক্যাচ নেন যথাক্রমে জাকির হাসান ও লিটন দাস। দুই ক্যাচের জন্য দুই ফিল্ডারকে উড়ন্ত বাজপাখি হতে হয়েছে। এমন ঝাঁপিয়ে পড়া ক্যাচ নিতে বাংলাদেশ ফিল্ডারদের অনেকদিন দেখা যায়নি।
দ্রুত তিন উইকেট হারিয়ে ৬৫ রানের জুটি গড়ে দলকে লাঞ্চে নিয়ে যান শাকিল ও সাইয়াম। পরে এ জুটি বিচ্ছিন্ন হয় দলীয় ১১৪ রানে। দুজনে ৯৮ রান যোগ করেন দলের বোর্ডে। দ্বিতীয় টেস্ট খেলতে নামা ওপেনার সাইয়াম পেয়ে যান ক্যারিয়ারের প্রথম হাফসেঞ্চুরি। ৫৬ রান করে হাসানের বলে থার্ড স্লিপে ক্যাচ দেন হাসান।
এ উইকেটের পর বাকি ১০ ওভার দেখে শুনে কাটিয়ে দেন পাকিস্তানের দুই ব্যাটার শাকিল ও রিজওয়ান। একজন দারুণ ফর্মে আছেন আর রিজওয়ান দলের অন্যতম অভিজ্ঞ ব্যাটার।
সংক্ষিপ্ত স্কোর (প্রথম দিন শেষে) :
পাকিস্তান : ১৫৮/৪ (শাকিল ৫৭*, সাইয়াম ৫৬, রিজওয়ান ২৪*; শরিফুল ২/৩০, হাসান ২/৩৩)।