Beta
শুক্রবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৫
Beta
শুক্রবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৫

রাষ্ট্রীয় শোক প্রত্যাখ্যান করে ভিন্ন কর্মসূচি বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের

শহীদ মিনারের সামনে জড়ো হওয়া কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরতরা। ছবি : সকাল সন্ধ্যা
গত ১৬ জুলাই শহীদ মিনারে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরতরা। ফাইল ছবি : সকাল সন্ধ্যা
[publishpress_authors_box]

কোটা সংস্কারের আন্দোলনে নিহতদের স্মরণে সরকার রাষ্ট্রীয় শোক পালনের ঘোষণা দিলেও তা প্রত্যাখ্যান করে নয় দফা দাবি আদায়ে নতুন কর্মসূচি দিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।

সোমবার রাতে সংবাদ বিজ্ঞপ্তি পাঠিয়ে মঙ্গলবার লাল কাপড় মুখে ও চোখে বেঁধে ছবি তুলে তা অনলাইনে প্রচারের আহ্বান জানানো হয় আন্দোলনকারীদের পক্ষ থেকে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “চলমান কোটা সংস্কার আন্দোলনে দেশজুড়ে সাধারণ শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক দাবিকে কেন্দ্র করে নির্বিচারে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর গুলিতে শত শত শিক্ষার্থীর মৃত্যু ও হাজার হাজার ছাত্র-জনতা আহত হয়ে যখন মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে, তখনও শিক্ষার্থীদের দাবি মেনে না নিয়ে মধ্য রাতে বাসা বাড়িতে ব্লক রেইডের মাধ্যমে নিরপরাধ শিক্ষার্থীদের তুলে নিয়ে রিমান্ডের নামে মধ্যযুগীয় কায়দায় বর্বর নির্যাতন চালানো হচ্ছে।

“বর্তমান সরকারের কর্তাব্যক্তিরা সংকট নিরসনে শিক্ষার্থীদের দাবি মেনে না নিয়ে প্রতিদিনই নির্মমভাবে শিক্ষার্থীদের দমন নিপীড়ন ও মানুষের জীবন থেকে রাষ্ট্রীয় সম্পদকে অধিক গুরুত্ব দিয়ে সরকারের নিয়ন্ত্রিত মিডিয়ায় প্রচার করছে এবং মিডিয়ার সামনে দেওয়া সরকারের কর্তাব্যক্তিদের মায়া কান্না প্রচার করছে।

“রাষ্ট্রীয় বাহিনীর গণহত্যা ও নির্যাতনের বিচার না করে সাধারণ শিক্ষার্থীদেরকে নিয়ে প্রতিদিন যে নির্মম উপহাস করা হচ্ছে। তার প্রতিবাদে শিক্ষার্থীদের দাবী আদায়ের লক্ষ্যে রাষ্ট্রীয় শোককে প্রত্যাখান করে আগামীকাল লাল কাপড় মুখে ও চোখে বেঁধে ছবি তোলা এবং অনলাইনে ব্যাপক প্রচার কর্মসূচি করার জন্য অনুরোধ করছি।”

বিজ্ঞপ্তিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষ থেকে নয় দফা দাবি তুলে ধরা হয়। এতে সরকারের কর্তাব্যক্তি কয়েকজনের পদত্যাগ, কয়েকজন পুলিশ কর্মকর্তাকে বরখাস্ত, কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি এবং প্রক্টরদের পদত্যাগ, নিহত এবং আহতদের পরিবারকে অতিদ্রুত সময়ের মধ্যে যথাযথ ক্ষতিপূরণ দেওয়া, বিশ্ববিদ্যালয়ে দলীয় লেজুড়বৃত্তিক ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ করে ছাত্র সংসদ কার্যকরের বিষয়গুলো প্রাধান্য পেয়েছে।

এছাড়া বিজ্ঞপ্তিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দাবির সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করায় শিক্ষক, সাংবাদিক, বুদ্ধিজীবী, পেশাজীবি, শ্রমজীবী ও গণমানুষের প্রতি কৃতজ্ঞতাও জানানো হয়।

গোয়েন্দা পুলিশের হেফাজতে থাকা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ছয় সমন্বয়কের মাধ্যমে আন্দোলন কর্মসূচি প্রত্যাহারের যে ঘোষণা এসেছে, তা উপেক্ষা করছে বাইরে থাকা সমন্বয়করা। তাদের ভাষ্য, ছয় সমন্বয়ককে জোর করে আন্দোলন প্রত্যাহারের ঘোষণা দিতে বাধ্য করা হয়েছে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত