Beta
শনিবার, ৯ নভেম্বর, ২০২৪
Beta
শনিবার, ৯ নভেম্বর, ২০২৪

রিজভীর লাঠি মিছিল, ১২ দলের ‘কারফিউ’

রুহুল কবির রিজভীর লাঠি মিছিল। ছবি: সকাল সন্ধ্যা
রুহুল কবির রিজভীর লাঠি মিছিল। ছবি: সকাল সন্ধ্যা
Picture of প্রতিবেদক, সকাল সন্ধ্যা

প্রতিবেদক, সকাল সন্ধ্যা

[publishpress_authors_box]

নির্বাচনে নেই বিএনপি, ভোটের দিন হরতালও ডেকেছে। সেই কর্মসূচির সমর্থনে ঢাকায় লাঠি মিছিল বের করলেন দলটির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। অন্যদিকে ভোটের দিন ‘কারফিউ’ ঘোষণা করেছে বিএনপির মিত্র ১২ দলীয় জোট।

‘ডামি’ নির্বাচন বর্জনের দাবিতে শুক্রবার সকালে ঢাকার কারওয়ান বাজারে রুহুল কবির রিজভীর ডাকে ‌‌‘লাঠি’ মিছিলে অংশ নেয় প্রায় ১০০ নেতাকর্মী। এসময় তারা ‌‘অবৈধ নির্বাচন মানি না মানব না’, ‘ডামি নির্বাচন মানি না মানব না’, ‘একতরফা নির্বাচন মানি না মানব না’- বলে স্লোগান দেয়। পাশাপাশি লিফলেটও বিতরণ করা হয়।

মিছিল শেষে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‌“আজকে দেশে দুটি ধারা বিদ্যমান। একটি সত্য ও ন্যায়ের পক্ষে, মানুষের ভোটাধিকার ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতার পক্ষে। অন্যটি টাকা পাচার ও লুটেরাদের পক্ষে, মানুষের অধিকার হরণের পক্ষে। আমরা যারা ন্যায়ের পক্ষে আছি তাদের বিজয় অবশ্যম্ভাবী।”

তিনি বলেন, “অবৈধ নির্বাচন জনগণ মেনে নেবে না। লুটেরাদের নির্বাচন জনগণ মেনে নেবে না।” এসময় বিএনপির সকল পর্যায়ের নেতাকর্মীসহ দেশবাসীকে অবৈধ নির্বাচন বর্জনের আহ্বান জানান রুহুল কবির রিজভী।

১২ দলের ‘কারফিউ’

ভোটের দিন ‘গণ-কারফিউ’ ঘোষণা করেছে ১২ দলীয় জোট। এদিন সবাইকে ঘর থেকে বের না হওয়ার আহ্বান জানান তারা।

ভোটের দিন ‘ভারতীয় অনুপ্রবেশকারীরা ভোট কেন্দ্রগুলোতে ভোটারের ভূমিকা পালন করতে পারে’। এমন আশঙ্কা প্রকাশ করে জোটের নেতারা বলেছেন, বাংলাদেশে নির্বাচন এলেই ভারতীয়রা খুব তৎপর হয়ে উঠে। আন্তর্জাতিক মহলের কাছে ভোটার উপস্থিতি সন্তোষজনক দেখাতে গত পনের বছর ধরে বাংলাদেশে অবস্থানরত ভারতীয় অনুপ্রবেশকারীরা আবারও সক্রিয় হচ্ছে।

শুক্রবার দুপুরে ঢাকার প্রেসক্লাব ও পল্টন এলাকায় ১২ দলীয় জোটের গণসংযোগ ও পদযাত্রা শেষে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে নেতারা এসব কথা বলেন। দেশবাসীকে সতর্ক থাকার আহ্বানও জানান তারা।

১২ দলীয় জোটের মুখপাত্র ও বাংলাদেশ এলডিপির মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম বলেন, ‘১৯৯৬ সালে শেখ হাসিনা গণ-কারফিউ ঘোষণা করেছিলেন। ২০২৪ সালে জনগণের গণ-কারফিউ শেখ হাসিনাকে পদত্যাগে বাধ্য করবে।

“৭ তারিখ ১২ দলীয় জোট সকাল-সন্ধ্যা গণ-কারফিউ পালন করবে। আমরা জনগণকে আহ্বান জানাচ্ছি আপনারা ঘর থেকে বের হবেন না। ভোট দিতে যাবেন না।”

১২ দলীয় জোটের প্রধান সমন্বয়ক ও জাগপার সহ-সভাপতি রাশেদ প্রধান বলেন, “আগামী ৭ তারিখ ফেলানী হত্যা দিবসে অবৈধ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। আফসোস হয়! ফেলানীকে দিল্লি যেভাবে কাটাতারে ঝুলিয়ে রেখেছিল, একই ভাবে ৭ তারিখের নির্বাচনের পর বাংলাদেশকেও দিল্লির দাদাবাবুরা ঝুলিয়ে রাখার ষড়যন্ত্র করছে।

‌“দিল্লির প্রেসক্রিপশনে আগামী ৭ তারিখ পুতুল খেলা নির্বাচন বাংলার মাটিতে হতে দেওয়া হবে না ইনশাআল্লাহ।”

সমমনা জোটের লিফলেট বিতরণ

নির্বাচন বর্জনের দাবিতে রাজধানীতে লিফলেট বিতরণ করেছে জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট।

শুক্রবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে থেকে শুরু করে পল্টন, বিজয়নগর হয়ে আল-রাজি কমপ্লেক্স পর্যন্ত লিফলেট বিতরণ করে জোটের কর্মীরা।

লিফলেট বিতরণ শেষে জোটের প্রধান সমন্বয়ক ও এনপিপি চেয়ারম্যান ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ বলেন, “এই অবৈধ সরকার ক্ষমতা টিকিয়ে রাখতে বিরোধী দলসহ বিরোধী মতাদর্শের জনগণের ওপর নির্যাতন চালিয়ে যাচ্ছে। এবার একতরফা ডামি নির্বাচনের মধ্য দিয়ে সরকার প্রকাশ্যে জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান নিচ্ছে।”

ফরহাদ বলেন, “সহিংস রাজনীতিতে বিশ্বাসী আওয়ামী লীগ নির্বাচনী মাঠে বিএনপিকে না পেয়ে এখন নিজেরা রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে লিপ্ত হচ্ছে। নির্বাচনে দলীয় স্বতন্ত্র প্রার্থী উম্মুক্ত করা হয়েছে নাটকের একটি অংশ হিসেবে।

“শুধুমাত্র ভোটার উপস্থিতি বাড়াতে এই নাটক। যাতে করে জনগণের ভোট চুরি করে ভোটের পার্সেন্টেজ বাড়ানো যায়। তাদের এই কূটকৌশল আজ শুধু দেশবাসীর কাছে নয়, বিদেশীদের কাছেও পরিস্কার হয়ে গেছে।”

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

ad

সর্বাধিক পঠিত