ডাকাতি হয়েছে বান্দরবানের রুমায় সোনালী ব্যাংকে। পাহাড়ি সংগঠন কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট এই ডাকাতি করেছে বলে স্থানীয়দের দাবি।
সশস্ত্র হামলাকারীরা কোটি টাকারও বেশি অর্থের পাশাপাশি নিরাপত্তার জন্য রাখা ১৪টি আগ্নেয়াস্ত্র লুট করেছে পুলিশ জানিয়েছে।
রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংটির ওই শাখার ব্যবস্থাপক (ম্যানেজার) মো. নেজাম উদ্দিনকেও অপহরণ করে নিয়ে গেছে হামলাকারীরা।
মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৮টায় উপজেলা সদরের সোনালী ব্যাংকে ডাকাতরা হানা দেয় বলে পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়।
রুমা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান উহ্লাচিং মারমা স্থানীয়দের বরাত দিয়ে সাংবাদিকদের জানান, রাত সাড়ে ৮টায় তারাবি নামাজ চলার সময় শতাধিক কেএনএফ সদস্য চতুর্দিকে ঘেরাও করে সবার মোবাইল কেড়ে নিয়ে ব্যাংকের নিরাপত্তায় থাকা পুলিশ ও আনসার সদস্যের অস্ত্র লুট করে ম্যানেজার নিজাম উদ্দিনকে তুলে নিয়ে যায়।
রুমার ভারপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দিদারুল আলম জানান, ডাকাতরা ১৪টি আগ্নেয়াস্ত্র ও ব্যাংক ম্যানেজারকে অপহরণ করে নিয়ে গেছে।
কোটি টাকার মতো অর্থ লুটের খবর এলেও এ বিষয়ে প্রশ্নে ইউএনও বলেন, লুট হওয়া অর্থের পরিমাণ এখনও তিনি নিশ্চিত হতে পারেননি।
ব্যাংক শাখাটি বর্তমানে সেনাবাহিনী ও পুলিশ নিয়ন্ত্রণে রেখেছে।
এই ডাকাতির বিষয়ে কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট বা কেএনএফের কোনও বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
পার্বত্য চট্টগ্রামে ছয়টি নৃ-গোষ্ঠীর জন্য স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল প্রতিষ্ঠার দাবিতে গড়ে ওঠা সংগঠন কেএনএফ কয়েক বছর আগে আলোচনায় উঠে আসে ইসলামী জঙ্গি সংগঠনগুলোর সঙ্গে তাদের ‘যোগসাজশের’ কারণে।
দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ঘরছাড়া একদল তরুণের সন্ধানে নেমে র্যাব জানতে পারে, তারা জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়া নামে একটি জঙ্গি দলে ভিড়েছে। আর পাহাড়ে তাদের আশ্রয় এবং সশস্ত্র প্রশিক্ষণ দেয় কেএনএফ।
পার্বত্য চট্টগ্রামে পাহাড়িদের আগের সক্রিয় সংগঠনগুলোও সন্দেহের চোখে দেখে কেএনএফকে।
এদিকে কেএনএফের সঙ্গে শান্তি আলোচনার উদ্যোগও নিয়েছে স্থানীয় সরকারি প্রশাসন। এজন্য বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের উদ্যোগে গঠিত হয়েছে শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটি। গত মাসে কেএনএফের সঙ্গে শান্তি কমিটির দ্বিতীয় দফা বৈঠক হয়।