কিছুদিন আগে নাজমুল হোসেন শান্ত দারুণ একটি কথা বলেছিলেন। তা যে বৃহস্পতিবার এভাবে ফলে যাবে এমনটা কেউ কল্পনাও করেনি।
টেস্টে মুশফিকুর রহিম ও মুমিনুল হকদের অভিজ্ঞতা কাজে লাগাতে চেয়েছেন শান্ত। পাকিস্তান সিরিজে টেস্ট অধিনায়কের ভরসার জায়গা তারা। চট্টগ্রামে চলমান অনুশীলন ম্যাচেও এই ভরসার পাত্ররাই মুখ রক্ষা করা পারফরম্যান্স করেছেন। বাকিরা টেস্ট খেলার মতো সামর্থ্য দেখাতে ব্যর্থ।
বাংলাদেশ টাইগার্স ও এইচপি দলের ক্রিকেটারদের নিয়ে টেস্ট দলের সদস্যদের তিনটি তিনদিনের ম্যাচ খেলার কথা ছিল। যা হবে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের জন্য আসন্ন পাকিস্তান সিরিজের প্রস্তুতি। কোটা সংস্কার আন্দোলনের কারণে তা দুই ম্যাচে নেমে আসে এবং শুরু একটি হবে তিনদিনের এবং টেস্ট ক্রিকেটাররা ওই ম্যাচে খেলবেন।
তবে জাতীয় দলের যারা টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে খেলেননি তারা আগেই প্রস্তুতিতে নেমেছেন। ২৯ জুলাই তিনদিনের ম্যাচের আগে ২৫-২৬ দুইদিনের ম্যাচ খেলছেন মুশফিকুর রহিম-মুমিনুল হক-মেহেদি হাসান মিরাজ-খালেদ আহমেদরা। ওই ম্যাচেই বলার মতো পারফরম্যান্স করলেন মুশফিক ও মুমিনুল।
লাল ও সবুজ দলে ভাগ হয়ে চট্টগ্রামে মাঠে নামেন ক্রিকেটাররা। সেখানে লাল দল অলআউট হয়েছে মাত্র ১৩১ রানে। লাঞ্চের সময় দলটির স্কোর ছিল ৭ উইকেটে ৭১ রান। জবাবে সবুজ দল নিজেদের প্রথম ইনিংসে ৪ উইকেটে ১৪৬ রানে দিন শেষ করে।
দুই দলের হয়েই সর্বোচ্চ স্কোরার মুশফিক-মুমিনুল। লাল দলের হয়ে ১৫১ মিনিট উইকেটে থেকে ৮৪ বলে সর্বোচ্চ ৫০ রান অভিজ্ঞ ব্যাটার মুশফিকের। নিজের দিকে বোলার শফিকুল ইসলাম ৩০ রান না করলে আরও কমে গুটিয়ে যেত লাল দল।
এই দলে খেলছেন অভিজ্ঞ এনামুল হক বিজয়। কিন্তু ১৩ বলের ইনিংসে মাত্র ১ রান করেছেন এই ওপেনার। এছাড়া আগে টেস্ট খেলা সাইফ হাসান ২২ বলে ৯, অধিনায়ক মিরাজ ২৬ বলে ৬ রান করেন। দলটির হয়ে সর্বোচ্চ সময় উইকেটে থেকেছেন মুশফিক।
সবুজ দলের খালেদ আহমেদ ৩ ও টেস্ট খেলা অফস্পিনার নাঈম হাসান ৪ উইকেট নেন। এছাড়া এই দলের অধিনায়ক তাইজুল ইসলাম ১টি ও রুয়েল মিয়া ২ উইকেট নেন।
জবাবে প্রথম ইনিংসে নেমে সবুজ দলের হয়ে নাঈম শেখ ভালো শুরু পেয়েছিলেন। ৪৫ বলে ৩৪ রানের ইনিংসটি অবশ্য আর বাড়াতে পারেননি। মুমিনুল হক ১১৬ মিনিট উইকেটে থেকে ৭৮ বলে ৪৭ রানে ব্যাট করছেন। তার সঙ্গে অপরাজিত ২৯ বলে ১৮ করা প্রিতম কুমার। টেস্ট দলে এক সময় নিয়মিত থাকা ইয়াসির আলি রাব্বি করেন ৪৭ বলে ২৬ রান।
