জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রত্যাশা মতো টানা দ্বিতীয় ম্যাচে জিতলো বাংলাদেশ। তাদের দেয়া ১৩৯ রানের লক্ষ্য ৬ উইকেট হাতে রেখে টপকেছে স্বাগতিকরা। ১৮.৩ ওভারে বাংলাদেশের বোর্ডে ছিল ৪ উইকেটে ১৪২ রান। খালি চোখে আরও একটি সহজ জয় হলেও বিশ্বকাপ প্রস্তুতির জায়গায় প্রশ্ন উঠতেই পারে – সঠিক প্রস্তুতি কি হচ্ছে?
ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে ব্লেসিং মুজারাবানিকে উইকেট ছেড়ে স্কুপ করলেন লিটন দাস। উইকেটকিপারের মাথার উপর দিয়ে বিশাল ছক্কা। এর আগে প্রথম ওভারেই ফ্লিক করে এক চারও মেরেছেন। পরের ওভারে আরও এক চারে ৯ বলে ১৭ রানে পৌঁছে যান এই ব্যাটার।
লিটনের ইনিংসের শুরুটা দেখে বলাই যায় ব্যাটিং ছন্দ ফিরে পেয়েছেন এই ওপেনার। কিন্তু রানের ফ্লো আটকে গেল সেখানেই। গর্জে ওঠা লিটনের ব্যাট হুট করেই চুপসে গেল। ৯ বলের ১৭ রান নেয়া লিটন পরের ১৫ বলে নিতে পেরেছেন মাত্র ৬ রান। তাও ৬টি সিঙ্গেল। এর মধ্যে সিকান্দার রাজার বলে একবার আউট হওয়া থেকে বেঁচে যান।
১৫ বলে বাউন্ডারী না পাওয়ার চাপ হয়তো জেঁকে ধরেছিল লিটনকে। চাপ মুক্ত হতে ব্যাট ছুঁড়ে দেন অনেকটা বাইরের বলে। পঞ্চম স্ট্যাম্পের বলে ড্রাইভ করতে গিয়ে ২৫ বলে ২৩ রানে ক্যাচ আউট হলেন পয়েন্টে। লিটনের এই ব্যাটিং পারফরম্যান্সের মতো খেলেছেন বাকি টপঅর্ডাররা।
আগের ম্যাচে ফিফটি করা তানজিদ হাসান তামিম এক ছক্কা ও এক চারে দারুণ শুরু করেন ১৯ বলে ১৮ রানের বেশি করতে পারেননি। এক ছক্কায় ১৫ বলে ১৬ রান করে ফিরেছেন অধিনায়ক শান্ত। অধিনায়কের পর ১০ম ওভারের শেষ বলে লিটন আউট হলে বৃষ্টিতে খেলা বন্ধ হয়। ওই সময় বৃষ্টি আইনে তিন রানে পিছিয়ে ছিল বাংলাদেশ।
বৃষ্টি দ্রুত থেমে যাওয়ায় বৃষ্টি আইনের বাগড়ায় পড়তে হয়নি। জাকের আলি ও তাওহিদ হৃদয়ের ওপর ম্যাচ শেষ করে আসার দায়িত্ব থাকলেও ব্যর্থ হন জাকের। বিশাল এক ছক্কায় ইনিংস শুরু করা জাকের এনগারাভার স্লোয়ারে পরাস্ত হন ১২ বলে ১৩ রান করে।
এরপরে অবশ্য খেলা শেষ করতে বেশি সময় নেননি হৃদয় ও মাহমুদউল্লাহ। দুজনের ৪ ওভারে ৪৬ রানের জুটিতে জিতল বাংলাদেশ। হৃদয় ২৫ বলে ৩ চার ও ২ ছক্কায় ৩৭ ও মাহমুদউল্লাহ ১৬ বলে দুই চার ও এক ছক্কায় ২৬ রানে অপরাজিত থাকেন।
সিরিজে টানা দ্বিতীয় ম্যাচ জিতে ২-০ তে এগিয়ে গেছে বাংলাদেশ। তবে সত্যিকার অর্থে বিশ্বকাপ প্রস্তুতির মতো খেলতে পেরেছে কিনা সেই প্রশ্ন থাকছেই। প্রথমত আজ টসে জিতে ব্যাটিং নিয়ে দুইশো রান করার লক্ষ্য রাখতে পারতো বাংলাদেশ। কিন্তু স্বাগতিকরা সেই পরিকল্পনায় যায়নি তা স্পষ্ট অধিনায়ক বোলিং নিলে।
পরেন প্রথম ম্যাচের মতো আরও একবার সহজ সংগ্রহ তাড়া করতে বাংলাদেশ ব্যাটারদের ইনিংসের ১৯তম ওভার পর্যন্ত খেলতে হয়। বিশ্বকাপের এক মাসেরও কম সময় বাকি। এখনও ১৩৯ তাড়া করতে বাংলাদেশের প্রায় পুরো ইনিংস লেগে যাওয়া একটু দুশ্চিন্তারই।