সবশেষ ২০১০ সালে উইন্ডিজে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ হয়েছিল। সেই আসরে পাকিস্তানের নেতৃত্বে ছিলেন শহিদ আফ্রিদি। ১৪ বছর পর আরেকটি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে উইন্ডিজ সহ-আয়োজক। উইন্ডিজে খেলা বলেই নিজের সময়ের কথা মনে পড়ছে পাকিস্তানের সাবেক তারকা অলরাউন্ডারের।
২০১০ আসরে সেমিফাইনাল খেলেছিল আফ্রিদির পাকিস্তান। অস্ট্রেলিয়ার কাছে মাত্র ১ বল বাকি থাকতে হার হজম করতে হয়। পাকিস্তানকে সেদিন কান্নায় ভাসিয়েছিলেন ২৪ বলে ৬০ রান করা মাইকেল হাসি।
বিশ্বকাপ উপলক্ষ্যে আইসিসিতে লেখা কলামে ওই আসরের স্মৃতিচারণ করেছেন আফ্রিদি। বলেছেন, “উইন্ডিজ নাম শুনলেই আমার মনে একটা রোমাঞ্চ কাজ করে। আমি খুশি যে বিশ্বকাপ সেখানে আবার ফিরেছে। ২০১০ সালে আমার নেতৃত্বেই উইন্ডিজে বিশ্বকাপ খেলেছিল পাকিস্তান। সেবার আমরা সেমিফাইনালে খেলেছিলাম। ভালো খারাপ মিলিয়ে ওই আসরের দারুণ কিছু স্মৃতি আছে আমার।”
আমেরিকানদের কাছে ক্রিকেট নতুন খেলা। সেখানে ফুটবল থাকলেও তাদের নিজস্ব ঘারানার একটা ফুটবল আছে। যার নাম সকার। যে খেলাতে বল হাতে নিয়ে দৌড়ান খেলোয়াড়রা। ওই ফুটবলের দেশে পেলে-ম্যারাডোনার খেলাটিও জনপ্রিয়তায় পিছিয়ে। সেখানে ক্রিকেট জনপ্রিয় হবে কি করে?
শহিদ আফ্রিদি অবশ্য একটা উপায় বের করেছেন। ফুটবলে ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা যেমন সুপার ক্লাসিকো, রিয়াল-বার্সা এল ক্লাসিকো বা ম্যান ইউ-ম্যান সিটি কিংবা মিলান ডার্বি খেলাগুলো চরম উত্তেজনার। তেমনি ক্রিকেট ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ সবচেয়ে সেরা দ্বৈরথ। আমেরিকান ফুটবলেও এমন দ্বৈরথ আছে। তারা ওই লড়াইয়ের নাম দিয়েছে “সুপার বোল”। আর আমেরিকান ফুটবলে এই ম্যাচে লড়াই করে ডালাস কাউবয়েজ ও ফিলাডেলফিয়া ইগলস ফুটবল দল।
আফ্রিদি ভারত-পাকিস্তান ম্যাচটিকে সুপার বোল এর মতো করে দেখার আহবান জানিয়েছেন আমেরিকানদের কাছে। ম্যাচ দেখতে মাঠে আসার অনুরোধও করেছেন, “আমি আমেরিকায় ক্রিকেট খেলেছি। সেখানে এশিয়ানদের কাছে ক্রিকেটের প্রতিচরম ভালোবাসা আছে এবং এটাই স্বাভাবিক। স্থানীয়রাও ক্রিকেট খেলা সম্পর্কে জানতে চায়। আমি তাদের বলব, পাকিস্তান-ভারত ম্যাচ হলো আমাদের সুপার বোল। মাঠে আসলে আবহ দেখলেই তারা বুঝতে পারবে।”
এবারের বিশ্বকাপে স্পষ্ট কোন ফেভারিট নেই আফ্রিদির কাছে। তবে পাকিস্তানকে রোমাঞ্চকর দল হিসেবে এগিয়ে রাখছেন সাবেক অলরাউন্ডার।