Beta
বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর, ২০২৪
Beta
বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর, ২০২৪
‘ব্রেইন ডেড’ মানুষের কিডনি প্রতিস্থাপন

শামীমার ভাইর অভিযোগ বিএসএমএমইউর বিরুদ্ধে

শামীমা ইসলাম; ব্রেইন ডেড সারাহ ইসলামের কিডনি নিয়েছিলেন তিনি, তবে বাঁচলেন না।
শামীমা ইসলাম; ব্রেইন ডেড সারাহ ইসলামের কিডনি নিয়েছিলেন তিনি, তবে বাঁচলেন না।
[publishpress_authors_box]

বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো ‘ব্রেইন ডেড’ মানুষের কিডনি প্রতিস্থাপন করা হয়েছিল দুজনের শরীরে। তাদের মধ্যে হাসিনা আক্তারের মৃত্যু হয়েছিল গত বছরের অক্টোবর মাসে। ১৬ মাস পর শামীমা আক্তারও মারা গেলেন।

ঢাকার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার রাতে শামীমার (৩৪) মৃত্যু হয় বলে তার ভাই শাহজাদা হোসেন সকাল সন্ধ্যাকে জানিয়েছেন। বোনের মৃত্যুর জন্য হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে নিয়েও অভিযোগ করেছেন তিনি।

বুধবার সকালে শাহজাদার সঙ্গে যখন কথা হয়, তখন তিনি বোনের লাশ নিয়ে রাজবাড়ী জেলার গোয়ালন্দে যাচ্ছেন। সেখানেই দাফন করা হবে শামীমাকে।

শাহজাদা সকাল সন্ধ্যাকে বলেন, “খুব আশা ছিল বোনটা বাঁচবে, কষ্ট থেকে মুক্তি পাবে। কিন্তু সেই মুক্তি যে জীবন থেকে চলে গিয়ে, সেটা বুঝিনি।”

কিডনি প্রতিস্থাপনের পর শামীমার নানা জটিলতা দেখা দিয়েছিল জানিয়ে তিনি বলেন, “অনেক কিছু হচ্ছিল, যা কিডনি নেওয়ার আগে ছিল না। সবকিছু মিলিয়ে হাসপাতালে আনা হয়, কিন্তু টিকলো না।”

বিএসএমএমইউ কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে শাহজাদা বলেন, “অনেককিছু বলেছিল হাসপাতাল থেকে। কিন্তু তারা কথা রাখেননি, সহযোগিতা করেনি। এমনকি আইসিইউতে লাশটা পর্যন্ত আটকে রাখছিল।”

ঢাকায় ফিরে এনিয়ে কথা বলবেন বলে জানিয়েছেন তিনি।

২০২৩ সালের ১৮ জানুয়ারি বিএসএমএমইউর আইসিইউতে ‘ব্রেইন ডেথ’ ঘোষিত সারাহ ইসলামের দুটি কিডনি ও দুটি কর্নিয়া চারজন মানুষের শরীরে প্রতিস্থাপন করা হয়। তার দান করা দুটি কিডনির একটি শামীমা, অন্যটি হাসিনার শরীরে প্রতিস্থাপন করা হয়েছিল।

কিডনি প্রতিস্থাপনের অস্ত্রোপচারে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন বিএসএমএমইউর ইউরোলজি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. হাবিবুর রহমান।

তিনি সকাল সন্ধ্যাকে বলেন, “কিডনি প্রতিস্থাপন অনেক বড় একটি বিষয়। প্রতিস্থাপনের পরেও চিকিৎসকের কাছে যেতে হয়, সেখানে অনেক ‘ফলো আপের’ বিষয় রয়েছে। গত প্রায় মাস ছয়েক হলো শামীমার সেটা হচ্ছিল না।

“এরপর সেটা সিভিয়ার (গুরুতর) হলে গত তিন সপ্তাহ আগে ফের হাসপাতালে আনা হয়। তখন দেখা যায়, তার ফুসফুসে ইনফেকশন এবং হেপাটাইটিস সি। এরপর থেকে তিনি এখানেই চিকিৎসাধীন ছিলেন। কিন্তু অবস্থার কোনও উন্নতি না হওয়াতে চার দিন আগে তাকে আইসিইউতে নেওয়া হয়। কিন্তু বাঁচানো গেল না।”

শাহজাদার অভিযোগের বিষয়ে এই চিকিৎসক বলেন, “আমার মনে হয়, তিনি ঠিক বলেননি। তবুও আমি দেখব। কালও (গতকাল) বলেছি, তাদের কোনও টাকা-পয়সা লাগবে কি না?”

২০ বছরের সারাহ ইসলাম টিউবেরাস স্ক্লেরোসিস রোগে আক্রান্ত ছিলেন। মৃত্যুর আগে তিনি তার সব অঙ্গ চিকিৎসা কিংবা গবেষণার কাজে লাগানোর ইচ্ছা জানিয়ে গিয়েছিলেন।

আইসিইউতে চিকিৎসাধীন সারাহকে ২০২৩ সালের ১৮ জানুয়ারি ‘ব্রেইন ডেড’ ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। সেদিন রাতেই তার কিডনি প্রতিস্থাপন করা হয় দুজন নারীর শরীরে আর কর্নিয়া দেওয়া হয় আরও দুজনকে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত