সাত বছর পর সিরাজগঞ্জে শিশু সুবর্ণাকে (৮) দল বেঁধে ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনার রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) সিরাজগঞ্জ। এই ঘটনায় দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, সুবর্ণার ফুফাতো ভাই ও সিরাজগঞ্জের চৌহালী থানার দত্তকান্দি গ্রামের মো. ছাব্বির হোসেন ও একই গ্রামের মো. শাকিব খান।
গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সোমবার পিবিআই জানিয়েছে, গত ১৯ এপ্রিল দত্তকান্দি গ্রামের সোলের বাজার থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারের পর তারা ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
জানা যায়, ২০১৭ সালের ২৬ মার্চ বিকালে দত্তকান্দি গ্রামের মো. শুকুর আলীর মেয়ে সুবর্ণা স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠান দেখার জন্য দত্তকান্দি হাই স্কুলে যায়। পরদিন একই উপজেলার মধ্যশিমুলিয়া চরের মাঠের মধ্যে মোঃ বুলবুলের ফসলি জমি থেকে সুবর্ণার লাশ উদ্ধার করা হয়।
এই ঘটনায় ওই দিনই চৌহালী থানায় মামলা দায়ের করেন শুকুর আলী। পরে চৌহালী থানা পুলিশ মামলার চূড়ান্ত রিপোর্ট দাখিল করলে বাদী আদালতে নারাজি আবেদন করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে ২০২০ সালের ৪ ডিসেম্বর আদালত এ মামলাটি পিবিআই, সিরাজগঞ্জ জেলাকে তদন্তের আদেশ দেন। এরপর পিবিআই তদন্ত করে মামলাটির রহস্য উদঘাটন করে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও সিরাজগঞ্জ পিবিআইয়ের এসআই (নিঃ) আশিকুর রহমান বলেন, মামলার তদন্ত থেকে জানা যায় গ্রেপ্তার আসামিদের সঙ্গে আরও ৬ জন ২০১৭ সালের ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠান দেখতে দত্তকান্দি হাইস্কুল মাঠে যায়। সেখানে তারা সুবর্ণাকে দেখেই ধর্ষণের পরিকল্পনা করে।
পরিকল্পনা অনুযায়ী তারা ছাব্বিরকে তার মামাতো বোন অর্থাৎ সুবর্ণাকে নিয়ে ঘটনাস্থলে যেতে বলেন। সে আর শাকিব খান মিলে সুবর্ণাকে কৌশলে মধ্যশিমুলিয়া চরের মধ্যে মো. বুলবুলের ফসলী জমিতে নিয়ে যায়। সেখানেই ধর্ষকদের নির্যাতনের শিকার হয় সুবর্ণা। মারাত্মক আহত সুবর্ণা একথা সবাইকে বলে দিবে বললে, আসামিরা তাকে হত্যার পরিকল্পনা করে।
আশিকুর রহমান বলেন, তখন তারা সুবর্ণার পরনের ওড়না দিয়ে গলা পেঁচিয়ে তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করে। এরপর মৃতদেহের ওপর মাটি চাপা দিয়ে পালিয়ে যায়।