বাংলাদেশের বিপক্ষে শেষ ওভারে নাটকীয় জয় পেয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। অল্পের জন্য রক্ষা পাওয়া সেই প্রোটিয়ারা এবার আরও কঠিন পরিস্থিতিতে ম্যাচ জিতল। আইসিসির সহযোগী দেশ নেপালের বিপক্ষে শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচে পেয়েছে ১ রানে নাটকীয় জয়।
শনিবার (১৫ জুন) কিংসটাউনের আর্নোস ভেল গ্রাউন্ডে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১১৫ রান করে দক্ষিণ আফ্রিকা। সেই রান তাড়া করতে নেমে তীরে গিয়ে তরী ডুবিয়েছে নেপাল। শেষ ওভারে ওটনিল বার্টমানের চমৎকার বোলিংয়ে ২০ ওভারে ৭ উইকেটে করতে পারে ১১৪ রান।
শেষ ওভারে জিততে ৮ রান দরকার ছিল নেপালের। স্নায়ুচাপের ওই মুহূর্তে বল তুলে নেন বার্টমান। প্রথম দুই বল দেন ডট। কিন্তু তৃতীয় বলে বাউন্ডারি আদায় করে নেন গুলশান ঝা। চতুর্থ বলে আসে ২ রান। অর্থাৎ, শেষ ২ বলে ২ রান নিলেই নেপালের ঐতিহাসিক জয়।
সহজ এই হিসাব মেলাতে পারেনি নেপাল। বার্টমানের পঞ্চম বলে কোনও রান আসেনি। তারপরও ১ বলে ২ রান নেওয়া কঠিন ছিল না, অন্তত ১ রান করলে সুপার ওভার পর্যন্ত নেওয়া যেত ম্যাচ। কিন্তু শেষ বলে রান নিতে গিয়েই রানআউট হয়ে যান গুলশান। এ বলে কোনও রান না আসায় ১ রানের জয়ের আনন্দে মাতোয়ারা প্রোটিয়ারা।
এর আগে ওপেনিং জুটিতে দারুণ শুরু এনে দিয়েছিলেন আসিফ শেখ (৪৯ বলে ৪২) ও কুশল ভুর্টেল (২১ বলে ১৩)। এরপর অনিল শাহ ২৪ বলে ২৭ রান করলে লক্ষ্যের পথে এগিয়ে যায় নেপাল। কিন্তু শেষে এসে অভিজ্ঞতার কাছে হেরেছে হিমালয়ের দেশটি।
বার্টমান শেষ ওভারের নায়ক হলেও নেপালকে বেঁধে রাখতে সবচেয়ে বেশি ভূমিকা তাবরেজ শামসির। বাঁহাতি রিস্ট স্পিনার ৪ ওভারে মাত্র ১৯ রান দিয়ে নেন ৪ উইকেট। দারুণ বোলিংয়ে ম্যাচসেরার পুরস্কার উঠেছে তার হাতে।
ব্যাটিংয়ের আগে বোলিংয়েও আলো ছড়িয়েছে নেপাল। দক্ষিণ আফ্রিকার বিশ্বমানের ব্যাটারদের আটকে রেখেছে অল্পতে। রিজা হেনড্রিকস ৪৯ বলে খেলেন সর্বোচ্চ ৪৩ রানের ইনিংস। এছাড়া ট্রিস্টান স্টাবসের ১৮ বলে খেলা অপরাজিত ২৭ রান ভূমিকা রেখেছে।
নেপালের সবচেয়ে সফল বোলার কুশল। ৪ ওভারে ১৯ রান খরচায় তার শিকার ৪ উইকেট। দীপেন্দ্র সিং আইরি ৪ ওভারে ২১ রান দিয়ে নেন ৩ উইকেট। অন্যদিকে জেল থেকে ছাড়া পেয়ে প্রথমবার আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নামা সন্দীপ লামিচানে উইকেট না পেলেও রানের লাগাম টেনে ধরেন। ৪ ওভারে খরচ করেছেন মাত্র ১৮ রান।