ওয়ানডে সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের সামনে দাঁড়াতেই পারেনি শ্রীলঙ্কা। ওয়েলিংটনের প্রথম ম্যাচ ৯ উইকেটে ও হ্যামিল্টনের দ্বিতীয় ম্যাচ হেরেছিল ১১৩ রানের বড় ব্যবধানে। তাতে হোয়াইটওয়াশ করার উপলক্ষ সামনে এসেছিল কিউইদের। কিন্তু অকল্যান্ডের শেষ ওয়ানডেতে উল্টো নিজেরাই লজ্জায় ডুবল নিউজিল্যান্ড।
একটুর জন্য কিউইদের বিপক্ষে সর্বোচ্চ ব্যবধানের জয়ের রেকর্ডটা গড়া হয়নি শ্রীলঙ্কার। অকল্যান্ডের ম্যাচটি সফরকারীরা জিতেছে ১৪০ রানে। ফলে ২০০৭ সালে এই অকল্যান্ডেই কিউইদের বিপক্ষে তাদের ১৮৯ রানের জয়ের রেকর্ডটা অক্ষুন্ন থাকল। সেবার স্বাগতিকরা অলআউট হয়েছিল মাত্র ৭৩ রানে।
এবার এর চেয়েও কম রানে অলআউট হওয়ার শঙ্কা জেগেছিল নিউজিল্যান্ডের। ২১ রানেই যে হারিয়ে বসেছিল ৫ উইকেট। তবে মার্ক চ্যাপম্যানের চমৎকার ব্যাটিংয়ে বড় লজ্জার হাত থেকে রক্ষা পেয়েছে কিউইরা। যদিও হার এড়াতে পারেনি। নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৮ উইকেটে ২৯০ রান করেছিল শ্রীলঙ্কা। এই রান তাড়া করতে নেমে ২৯.৪ ওভারে অলআউট হওয়ার আগে স্বাগতিকরা করতে পারে ১৫০ রান। এই ম্যাচ হারলেও নিউজিল্যান্ড সিরিজ জিতে নিয়েছে ২-১ ব্যবধানে।
Sri Lanka avoid ODI series whitewash with a big win in the final match against New Zealand
— ICC (@ICC) January 11, 2025
📝 #NZvSL :https://t.co/Lj17Af7qzE pic.twitter.com/f5fElgX894
প্রথম দুই ম্যাচে অসহায় আত্মসমর্পণ করা লঙ্কানরা শেষ ম্যাচে জ্বলে উঠেছিল। উদ্বোধনী জুটিতে দারুণ শুরু পায় তারা। তবে পাথুম নিসাঙ্কা আঘাত পেয়ে মাঠ ছাড়লে ছন্দপতন ঘটে। খানিক পর শ্রীলঙ্কার প্রথম উইকেট হারায় আভিষ্কা ফার্নান্ডোর (১৭) বিদায়ে। তবে কুশল মেন্ডিস ও কামিন্দু মেন্ডিসে রানের চাকা সচল থাকে। কুশল ৫৪ ও কামিন্দু করেন ৪৬ রান। অধিনায়ক চারিথ আসালঙ্কা রানের খাতা খুলতে পারেননি।
এর মধ্যে নিসাঙ্কা মাঠে ফিরে খেলে যান দলীয় সর্বোচ্চ ৬৬ রানের ইনিংস। ৪২ বলের ইনিংসটি তিনি সাজান ৬ চার ও ৫ ছক্কায়। লোয়ার মিডল অর্ডারে দারুণ অবদান রেখেছেন জানিথ লিয়ানাগে। তিনি ৫২ বলে করেন ৫৩ রান।
— BLACKCAPS (@BLACKCAPS) January 11, 2025
নিউজিল্যান্ডের সবচেয়ে সফল বোলার ম্যাট হেনরি। এই পেসার ১০ ওভারে ৫৫ রান দিয়ে নেন ৪ উইকেট। ২ উইকেট পেয়েছেন অধিনায়ক মিচেল স্যান্টনার।
১৯১ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে শ্রীলঙ্কান বোলারদের সামনে বিধ্বস্ত নিউজিল্যান্ড ব্যাটাররা। ২১ রানে হারিয়ে বসে ৫ উইকেট। ওই জায়গা থেকে দলের হারের ব্যবধান কমিয়েছেন চ্যাপম্যান। এই ব্যাটার ৮১ বলে ১০ চার ও ১ ছক্কায় খেলেন ৮১ রানের ইনিংস।
শ্রীলঙ্কার তিন বোলার- আসিথা ফার্নান্ডো, মাহিশ থিকশানা ও ইশান মালিঙ্গা প্রত্যেকে নেন ৩টি করে উইকেট। ম্যাচসেরার পুরস্কার জিতেছেন আসিথা। আর সিরিজসেরা হয়েছেন ৯ উইকেট পাওয়া ম্যাট হেনরি।