Beta
শুক্রবার, ৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫
Beta
শুক্রবার, ৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫

সংসদে ৮৫ নতুন মুখ, স্বতন্ত্রই ৪০

Untitled design
[publishpress_authors_box]

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোট শেষ হলো নানা আলোচনা-সমালোচনার মধ্যে। ঘোষিত ফল অনুযায়ী, ২২২ আসন জিতেছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। নির্বাচনে অংশ নিয়ে প্রথমবারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন ৮৫ জন, যার মধ্যে ৪৩ জন নৌকার ব্যানারে।

বাকি ৪২ জনের মধ্যে স্বতন্ত্র প্রার্থী ৪০ জন। আর দুইজন জাতীয় পার্টি ও বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির। অর্থাৎ দ্বাদশ সংসদে প্রথমবারের মতো যারা বসতে যাচ্ছেন, তাদের প্রায় অর্ধেকই স্বতন্ত্র।          

নৌকা প্রতীকে প্রথমবারেই যারা জয়ী-

সাকিব আল হাসান

প্রথমবারের মতো জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিয়ে জয়ের দেখা পেয়েছেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। মাগুরা-১ (শ্রীপুর ও সদরের একাংশ) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী সাকিব নৌকা প্রতীকে পেয়েছেন ১ লাখ ৮৫ হাজার ৩৮৮ ভোট। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বাংলাদেশ কংগ্রেসের কাজী রেজাউল হোসেন ডাব প্রতীকে পেয়েছেন ৫ হাজার ৯৭৩ ভোট।

সাঈদ খোকন

এবারই প্রথম সংসদ সদস্য হলেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন। ঢাকা-৬ আসনে ৬১ হাজার ৭০৩ ভোট পেয়ে জয় লাভ করেছেন তিনি। 

সোলায়মান সেলিম

বাবার পরিবর্তে মনোনয়ন পেয়েই সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন হাজী সেলিমের ছেলে মোহাম্মদ সোলায়মান সেলিম। ঢাকা-৭ আসন থেকে বিজয়ী এই প্রার্থী পেয়েছেন ৬৩ হাজার ৮১৭ ভোট।  

ফেরদৌস আহমেদ

প্রথমবার নির্বাচনে অংশ নিয়েই চমক দেখিয়েছেন চিত্রনায়ক ফেরদৌস আহমেদ। ঢাকা-১০ আসনে বিজয়ী হয়েছেন তিনি। নৌকা প্রতীকে পেয়েছেন ৬৫ হাজার ৮৯৮ ভোট।

ওয়াকিল উদ্দিন 

বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. ওয়াকিল উদ্দিনও প্রথমবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। ঢাকা-১১ আসনে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ওয়াকিল ৮৪ হাজার ৫৩ ভোট পেয়েছেন। 

মাইনুল হোসেন খান নিখিল

এবারই প্রথম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. মাইনুল হোসেন খান নিখিল। ঢাকা-১৪ আসনে ৫৩ হাজার ৫৪০ ভোট পেয়েছেন তিনি।

আবদুস সবুর 

কুমিল্লা-১ আসনে বিজয়ী আওয়ামী লীগ প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার আবদুস সবুর এবারই প্রথম সংসদ নির্বাচন করেছেন। তিনি পেয়েছেন ১ লাখ ১৩ হাজার ৯০৭ ভোট। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী ব্যারিস্টার নাঈম হাসান পেয়েছেন ১৬ হাজার ৫৮০ ভোট। 

আবু জাফর মোহাম্মদ শফি উদ্দিন

কুমিল্লা-৮ (বরুড়া) আসনে আবু জাফর মোহাম্মদ শফি উদ্দিন নৌকা প্রতীকে নির্বাচন করে প্রথমবারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। পেয়েছেন ৭ লাখ ৭২৭ ভোট।

সেলিম মাহমুদ

প্রথমবারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচনে অংশ নিয়ে বাজিমাত করেছেন সেলিম মাহমুদ। চাঁদপুর-১ আসনে নৌকা প্রতীকে তিনি পেয়েছেন ১ লাখ ৫১ লাখ ৩৮৩ ভোট। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী চেয়ার প্রতীকের মো. সেলিম প্রধান পেয়েছেন ৫ হাজার ৭৩৪ ভোট। 

আলাউদ্দিন আহমেদ চৌধুরী নাসিম

ফেনী-১ আসনে জয় পেয়েছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আলাউদ্দিন আহমেদ চৌধুরী নাসিম। পেয়েছেন ১ লাখ ৮২ হাজার ৭৬০ ভোট। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী লাঙ্গল প্রতীকের শাহরিয়ার ইকবাল পেয়েছেন ৪ হাজার ১৯৫ ভোট।

মিয়া গোলাম ফারুক

লক্ষ্মীপুর-৩ (সদর) আসনে জয়ী হয়েছেন মিয়া গোলাম ফারুক। জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম ফারুক পেয়েছেন ১ লাখ ২০ হাজার ৫৯৯ ভোট। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির প্রার্থী মোহাম্মদ রাকিব হোসেন পেয়েছেন ৩ হাজার ৮৪৬ ভোট।

মাহবুব উর রহমান রুহেল

প্রথমবারের মতো জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিয়ে জয়ের দেখা পেয়েছেন রাজনীতিবিদ, ব্যবসায়ী ও চলচ্চিত্র প্রযোজক মাহবুব উর রহমান রুহেল। নৌকা প্রতীকে চট্টগ্রাম-১ (মীরসরাই) আসনে তিনি পেয়েছেন ৮৯ হাজার ৬৪ ভোট। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী গিয়াস উদ্দিন পেয়েছেন ৫২ হাজার ৯৯৫ ভোট।

মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরী

চট্টগ্রাম-১২ (পটিয়া) আসনে নৌকা প্রতীকে ১ লাখ ২০ হাজার ৩১৩ ভোট পেয়েছেন মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরী। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী সামশুল হক চৌধুরীর ভোট ৩৫ হাজার ২৪০।

নাঈমুজ্জামান ভুইয়া মুক্তা

পঞ্চগড়-১ আসনে নৌকা প্রতীকে ১ লাখ ২৪ হাজার ৭৪২ ভোট পেয়ে নিবার্চিত হয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি নাঈমুজ্জামান ভুইয়া মুক্তা। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী আনোয়ার সাদাত সম্রাট ট্রাক প্রতীকে পেয়েছেন ৫৭ হাজার ২১০ ভোট। 

মাজহারুল ইসলাম সুজন

আওয়ামী লীগের মাজহারুল ইসলাম সুজন ঠাকুরগাঁও-২ আসনে নৌকা প্রতীকে ১ লাখ ১৫ হাজার ৪১৬ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী আলী আসলাম জুয়েল ট্রাক প্রতীকে পেয়েছেন ৫৭ হাজার ২৪৫ ভোট।

মতিয়ার রহমান

উপজেলা চেয়ারম্যানের পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে নির্বাচনে অংশ নিয়ে জয় পেয়েছেন আওয়ামী লীগ নেতা মতিয়ার রহমান। লালমনিরহাট-৩ আসনে নৌকা প্রতীকে তিনি পেয়েছেন ৭৬ হাজার ৪৪৯ ভোট। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাভেদ হোসেন পেয়েছেন ১২ হাজার ৮০৯ ভোট। এই আসনে একাদশ সংসদের এমপি জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের। তিনি এবার এই আসন থেকে নির্বাচন করেননি।

সৌমেন্দ্র প্রসাদ পান্ডে

কুড়িগ্রাম-৩ (উলিপুর) আসন থেকে প্রথমবার জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিয়ে বিজয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী সৌমেন্দ্র প্রসাদ পান্ডে। ৫৩ হাজার ৩৬৭ ভোট পেয়েছেন তিনি। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী ডা. আক্কাছ আলী সরকার ট্রাক মার্কা নিয়ে পেয়েছেন ৩৫ হাজার ৫১৫ ভোট।

বিপ্লব হাসান পলাশ

কুড়িগ্রাম-৪ (রৌমারী, রাজিবপুর ও চিলমারী) আসনে নৌকা প্রতীকের অ্যাডভোকেট বিপ্লব হাসান পলাশ ৮৬ হাজার ৬৫৮ ভোট পেয়ে জয়ী হন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী ঈগল প্রতীকের মজিবুর রহমান বঙ্গবাসী ১২ হাজার ৬৮৪ ভোট পেয়েছেন।

এএসএম নাজমুল হক সাগর

মেহেরপুর-২ (গাংনী) আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ডা. এএসএম নাজমুল হক সাগর ৭২ হাজার ৭২৮ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক সংসদ সদস্য মকবুল হোসেন ট্রাক প্রতীকে পেয়েছেন ৪৯ হাজার ৫৯৩ ভোট।

সালাহ উদ্দিন মিয়াজী

সালাহ উদ্দিন মিয়াজী প্রথমবার নির্বাচনে অংশ নিয়ে জয়ের দেখা পেয়েছেন ঝিনাইদহ-২ আসন (মহেশপুর-কৌটচাঁদপুর) থেকে। পেয়েছেন ৮৩ হাজার ১৫ ভোট। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ট্রাক প্রতীকের শফিকুল আজম খাঁন পেয়েছেন ৬৪ হাজার ৯০৯ ভোট।

আসাদুজ্জামান আসাদ

এবারই প্রথম সংসদ সদস্য নির্বাচিত হলেন মোহা. আসাদুজ্জামান আসাদ। রাজশাহী-৩ আসনে নৌকা প্রতীকে ১ লাখ ৫৪ হাজার ৯০৯ ভোট পেয়েছেন তিনি। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির আব্দুস সালাম খান পেয়েছেন ৫ হাজার ২৭৪ ভোট। 

আবুল কালাম আজাদ

রাজশাহী-৪ আসনে জয় পেয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী মো. আবুল কালাম আজাদ। নৌকা প্রতীকে তিনি ১ লাখ ৪৭ হাজার ৯৮৩ ভোট পেয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. এনামুল হক পেয়েছেন ৫৩ হাজার ৮১২ ভোট।

জান্নাত আরা হেনরী

আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়ে প্রথমবারেই সংসদ সদস্য নির্বাচিত হলেন মোছা. জান্নাত আরা হেনরী। সিরাজগঞ্জ-২ আসনে ১ লাখ ৮৪ হাজার ৮৫৮ ভোট পেয়েছেন তিনি। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির মো. আমিনুল ইসলাম ঝন্টু পেয়েছেন ৪ হাজার ৫৮০ ভোট।

গালিবুর রহমান শরীফ

পাবনা-৪ আসনে বিজয়ী হয়েছেন নৌকার প্রার্থী গালিবুর রহমান শরীফ। পেয়েছেন ১ লাখ ৬৭ হাজার ৪৪৩ ভোট। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী পাঞ্জাব আলী বিশ্বাস ঈগল মার্কা নিয়ে পেয়েছেন ১৪ হাজার ৬৬৩ ভোট। 

নূর মোহাম্মদ

জামালপুর-১ আসন থেকে প্রথমবার সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত নূর মোহাম্মদ নৌকা প্রতীকে পেয়েছেন ২ লাখ ২৮ হাজার ২৪৭ ভোট। 

তৌহিদুজ্জামান তুহিন

নৌকা প্রতীকে নির্বাচন করে প্রথমবারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন ডা. তৌহিদুজ্জামান তুহিন। 

ফিরোজ আহমেদ স্বপন 

আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়ে প্রথম নির্বাচনেই সাতক্ষীরা-১ আসনে (তালা-কলারোয়া) জয়ী হয়েছেন ফিরোজ আহমেদ স্বপন।  

আতাউল হক দোলন

সাতক্ষীরা-৪ আসনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী আতাউল হক দোলন ১ লাখ ৩৬ হাজার ৩৯৫ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। 

রনজিত চন্দ্র সরকার

সুনামগঞ্জ-১ (ধর্মপাশা, মধ্যনগর, জামালগঞ্জ, তাহিরপুর) আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী অ্যাডভোকেট রনজিত চন্দ্র সরকার ১ লাখ ৯৯৮ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য মোয়াজ্জেম হোসেন রতন কেটলি প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৪৬ হাজার ৩৫২ ভোট।

এডিএম শহিদুল ইসলাম

শেরপুর-৩ আসনে ১ লাখ ২ হাজার ৪৪৬ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী এডিএম শহিদুল ইসলাম। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ট্রাক প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী এসএম আব্দুল্লাহেল ওয়ারেজ নাইম পেয়েছেন ৪৬ হাজার ৭২৮ ভোট।  

মোহাম্মদ সাদিক

সুনামগঞ্জ-৪ (সদর-বিশ্বম্ভরপুর) আসনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী ড. মোহাম্মদ সাদিক ৯০ হাজার ৫৯০ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির পীর ফজলুর রহমান মিসবাহ পেয়েছেন ৩১ হাজার ৭২১ ভোট।

ময়েজ উদ্দিন শরীফ রুয়েল

হবিগঞ্জ-২ (বানিয়াচং-আজমিরীগঞ্জ) আসনে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী অ্যাডভোকেট ময়েজ উদ্দিন শরীফ রুয়েল বিজয়ী হয়েছেন। পেয়েছেন ৯৯ হাজার ৯৪৩ ভোট। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী বর্তমান এমপি মো. আব্দুল মজিদ খান পেয়েছেন ৪৯ হাজার ৬০৬ ভোট।

জিল্লুর রহমান

মৌলভীবাজার-৩ (মৌলভীবাজার সদর-রাজনগর) আসনে নৌকার প্রার্থী মোহাম্মদ জিল্লুর রহমান পেয়েছেন ১ লাখ ৬৭ হাজার ৮৪৬ ভোট। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পাটির মো. আতাফুর রহমান পেয়েছেন ২ হাজার ৬৯৮ ভোট।  

শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল

প্রথমবার জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিয়ে জয়ের দেখা পেলেন শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল। মৌলভীবাজার-২ (কুলাউড়া) আসনে নৌকার এই প্রার্থী ৭২ হাজার ৭১৮ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী একে এম সফি আহমদ সালমান ট্রাক প্রতীকে পেয়েছেন ১৫ হাজার ৫৫২ ভোট।

মজিবর রহমান মজনু

বগুড়া-৫ আসনে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মজিবর রহমান মজনু এবারই প্রথম সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। পেয়েছেন ১ লাখ ৯৮ হাজার ১৫৬ ভোট।

মোস্তফা আলম নান্নু

বগুড়া-৭ আসনে নৌকা প্রতীকে ৯১ হাজার ২৯ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন ডা. মোস্তফা আলম নান্নু। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টি মনোনীত প্রার্থী এটিএম আমিনুল ইসলাম পেয়েছেন ৬ হাজার ৮০১ ভোট। 

সৌরেন্দ্র নাথ চক্রবর্ত্তী (সৌরেন)

নওগাঁ-৩ আসন থেকে আওয়ামী লীগ প্রার্থী সৌরেন্দ্র নাথ চক্রবর্ত্তী (সৌরেন) ১ লাখ ৩৮ হাজার ৫৬১ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন।

আব্দুল হাফিজ মল্লিক

বরিশাল-৬ আসনে (বাকেরগঞ্জ উপজেলা) আওয়ামী লীগের এই প্রার্থী পেয়েছেন ৬০ হাজার ১০৯ ভোট। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ট্রাক প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাম্মদ সামসুল আলম পেয়েছেন ৩৯ হাজার ৩৭৪ ভোট।

এসএম কামাল হোসেন

আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এসএম কামাল হোসেন প্রথমবারের মতো সংসদ নির্বাচনে অংশ নিয়ে জয়ী হয়েছেন। খুলনা-৩ (খালিশপুর, দৌলতপুর ওখানজাহান আলী) আসনে তিনি পেয়েছেন ৯০ হাজার ৯৯৯ ভোট। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির আব্দুল্লাহ আল মামুন পেয়েছেন ৪ হাজার ৮৭৩ ভোট।

সুলতানা নাদিরা

বরগুনা-২ (বেতাগী-বামনা-পাথরঘাটা) আসনে নৌকা প্রতীকের সুলতানা নাদিরা ১ লাখ ৪৮ হাজার ৩২ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের (বিএনএম) ড. আব্দুর রহমান খোকন পেয়েছেন ১ হাজার ৯৫১ ভোট।

আবুল কালাম আজাদ

প্রধানমন্ত্রীর সাবেক মুখ্য সচিব আবুল কালাম আজাদ এবার প্রথমবারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। জামালপুর-৫ আসনে ২ লাখ ১৫ হাজার ৮৮৯ ভোট পেয়েছেন সাবেক এই আমলা। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী রেজাউল করিম রেজনু পেয়েছেন ৬৫ হাজার ২৪৯ ভোট।

আহমদ হোসেন

নেত্রকোনা -৫ আসনে নৌকা প্রতীক নিয়ে ৭৯ হাজার ৬৪৭ ভোট পেয়ে প্রথমবারের মতো নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী মাজহারুল ইসলাম সোহেল ফকির ট্রাক প্রতীকে পেয়েছেন ২৭ হাজার ২১৪ ভোট।

বদিউজ্জামান সোহাগ

বাগেরহাট-৪ (শরণখোলা-মোড়েলগঞ্জ) আসনে নৌকা প্রতীকে জয় পেয়েছেন ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি বদিউজ্জামান সোহাগ। তিনি পেয়েছেন ১ লাখ ৯৯ হাজার ৩৪ ভোট। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী জামিল হোসাইন পেয়েছেন ৫ হাজার ৩৭৬ ভোট।

স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে প্রথম যারা সংসদে যাচ্ছেন

সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন

জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নিজের প্রথম লড়াইয়ে চমক দেখিয়েছেন ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। হবিগঞ্জ-৪ আসনে এক লাখ ভোটের ব্যবধানে জয়ী হয়েছেন তিনি। ফেইসবুক সেলিব্রেটি থেকে সংসদ সদস্য বনে যাওয়া ব্যারিস্টার সুমন পেয়েছেন ১ লাখ ৬৯ হাজার ৯৯ ভোট। প্রতিদ্বন্দ্বী মাহবুব আলী পেয়েছেন ৬৯ হাজার ৫৪৩ ভোট।

এ কে আজাদ

প্রথমবার জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিয়ে বাজিমাত করেছেন দেশের অন্যতম ব্যবসায়ী আব্দুল কাদের আজাদ। ফরিদপুর-৩ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে ঈগল প্রতীকে তিনি পেয়েছেন ১ লাখ ৩৪ হাজার ৯৮টি ভোট। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী নৌকার প্রার্থী শামীম হক পেয়েছেন ৭৫ হাজার ৮৯টি ভোট।

দেওয়ান জাহিদ আহমেদ টুলু

মানিকগঞ্জ-২ (সিঙ্গাইর, হরিরামপুর ও সদরের একাংশ) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী (ট্রাক প্রতীক) দেওয়ান জাহিদ আহমেদ টুলুর কাছে পরাজিত হয়েছেন তিনবারের সংসদ সদস্য কণ্ঠশিল্পী মমতাজ বেগম। স্বতন্ত্র প্রার্থী দেওয়ান জাহিদ আহমেদ টুলু পেয়েছেন ৮৪ হাজার ৫২৫ ভোট।

আওলাদ হোসেন

ঢাকা-৪ আসনে নৌকার সানজিদা খানমকে হারিয়ে প্রথমবারের মতো জয় পেয়েছেন ট্রাকের আওলাদ হোসেন। তিনি ২৪ হাজার ৭৭৫ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সানজিদা পেয়েছেন ২২ হাজার ৫৭৭ ভোট।

মশিউর রহমান মোল্লা সজল

স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ট্রাক প্রতীক নিয়ে জয়ী হয়েছেন মশিউর রহমান মোল্লা সজল। এই আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হারুনুর রশীদ মুন্নাকে ২৯৭ ভোটের ব্যবধানে পরাজিত করেছেন তিনি।

খসরু চৌধুরী

ঢাকা-১৮ আসনে কেটলি মার্কার প্রার্থী ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক মো. খসরু চৌধুরী ৭৯ হাজার ৮৫ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নেন তিনি। 

মুহাম্মদ সাইফুল ইসলাম

আওয়ামী লীগ প্রার্থী ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমানকে হারিয়ে ৮৪ হাজার ৪১২ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছে ট্রাক প্রতীকে স্বতন্ত্র প্রার্থী মুহাম্মদ সাইফুল ইসলাম।

এস কে একরামুজ্জামান

ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ আসনে এস এ কে একরামুজ্জামান ২০০৮ ও ২০১৮ সালে ধানের শীষ প্রতীকে নির্বাচনে অংশ নিয়ে পরাজিত হয়েছিলেন। তবে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে কলার ছড়ি প্রতীক নিয়ে বর্তমান সংসদ সদস্য নৌকা প্রতীকের বদরুদ্দোজা মো. ফরহাদ হোসেন সংগ্রামকে হারিয়েছেন তিনি।

মঈন উদ্দিন মঈন

ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনে কলার ছড়ি প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী আওয়ামী লীগ নেতা মো. মঈন উদ্দিন মঈন ৮৪ হাজার ৬৭ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী, দুবারের সাবেক সাংসদ জাতীয় পার্টি থেকে বহিষ্কৃত নেতা মো. জিয়াউল হক মৃধা পেয়েছেন ৫৫ হাজার ৪৩১ ভোট। 

আবদুল মজিদ

কুমিল্লা-২ (হোমনা ও মেঘনা) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হোমনা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যক্ষ আবদুল মজিদ ট্রাক প্রতীক নিয়ে জয়ী হয়েছেন। ২০০৮ সালের নির্বাচনে নৌকা প্রতীকে নির্বাচন করে পরাজিত হয়েছিলেন তিনি।

জাহাঙ্গীর আলম সরকার

১৯৯১, ১৯৯৬, ২০০১ ও ২০০৮-এই চার নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে জয়ের দেখা পাননি জাহাঙ্গীর আলম সরকার। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে কুমিল্লা-৩ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে ঈগল প্রতীকে জয়ের দেখা পেয়েছেন তিনি।  

এম জাহের

কুমিল্লা-৫ (বুড়িচং-ব্রাহ্মণপাড়া) আসনে কেটলি প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা পরিষদের সদ্যসাবেক চেয়ারম্যান ও কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক এম এ জাহের এবারই প্রথম সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। পেয়েছেন ৬৫ হাজার ৮১০ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী (ফুলকপি প্রতীক) জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. সাজ্জাদ হোসেন পেয়েছেন ৬১ হাজার ৫২২ ভোট। 

আবদুল্লাহ আল মামুন 

লক্ষ্মীপুর-৪ (রামগতি-কমলনগর) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী আবদুল্লাহ আল মামুন জয়ী হয়েছেন। এবারই প্রথম নির্বাচনে অংশ নেন তিনি। তার ঈগল প্রতীকে ভোট পড়েছে ৪৬ হাজার ৩৭২।  

আবদুচ ছালাম

চট্টগ্রাম-৮ (বোয়ালখালী-চান্দগাঁও) আসনে সাবেক সিডিএ চেয়ারম্যান আবদুচ ছালাম জয়ী হয়েছেন। কেটলি প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী নগর আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ আবদুচ ছালাম ৭৮ হাজার ২৬৬ ভোট পেয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আরেক স্বতন্ত্র প্রার্থী নগর আওয়ামী লীগের নেতা বিজয় কুমার চৌধুরী ফুলকপি প্রতীকে পেয়েছেন ৪১ হাজার ৫০০ ভোট।

সাদ্দাম হোসেন পাভেল 

প্রথমবারের মতো জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিয়ে জয়ের দেখা পেয়েছেন যুবলীগ নেতা সাদ্দাম হোসেন পাভেল। নীলফামারী-৩ (জলঢাকা) আসনে কাঁচি প্রতীকে ৩৯ হাজার ৩২১ ভোট পেয়েছেন তিনি। নিকটতম স্বতন্ত্র প্রার্থী মার্জিয়া সুলতানা ঈগল প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ২৫ হাজার ২০৫ ভোট।

সিদ্দিকুল আলম

নীলফামারী-৪ (কিশোরগঞ্জ-সৈয়দপুর) আসনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন শিল্পপতি সিদ্দিকুল আলম। কাঁচি প্রতীকে তিনি পেয়েছেন ৬৯ হাজার ৯১৪ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আরেক স্বতন্ত্র প্রার্থী ট্রাক প্রতীকের মোখছেদুল মোমিন পেয়েছেন ৪৫ হাজার ৩০১ ভোট। 

মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান

২০১৮ সালের নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে লড়াই করে হেরে গিয়েছিলেন মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান। এবার আর হতাশ হতে হয়নি তাকে। কেটলি মার্কা নিয়ে জয় পেয়েছেন।

জাকির হোসেন সরকার

রংপুর-৫ (মিঠাপুকুর) আসনে জয় পেয়েছেন জাকির হোসেন সরকার। আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী রাশেক রহমানকে ৩৫ হাজার ১১৯ ভোটের ব্যবধানে হারিয়েছেন তিনি। ট্রাক প্রতীকে জাকির পেয়েছেন ১ লাখ ৯ হাজার ৭০৯ ভোট। রাশেক রহমান নৌকা প্রতীকে পেয়েছেন ৭৪ হাজার ৫৯০ ভোট।

হামিদুল হক খন্দকার

প্রথমবারের মতো জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিয়ে বিজয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগ নেতা ডা. হামিদুল হক খন্দকার। কুড়িগ্রাম-২ (কুড়িগ্রাম সদর, ফুলবাড়ী ও রাজারহাট) আসনে ট্রাক প্রতীকে ১ লাখ ২ হাজার ১২০ ভোট পেয়েছেন তিনি। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির পনির উদ্দিন আহমেদ পেয়েছেন ৪৬ হাজার ৯৪৫ ভোট।

আব্দুল্লাহ নাহিদ নিগার

সংসদ নির্বাচনে প্রথমবারের মতো অংশ নিয়ে জয়ের দেখা পেয়েছেন সুন্দরগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আফরোজা বারীর মেয়ে ইঞ্জিনিয়ার আব্দুল্লাহ নাহিদ নিগার। গাইবান্ধা-১ (সুন্দরগঞ্জ) আসনে ঢেঁকি প্রতীকে ৬৬ হাজার ৪৯ ভোট পান তিনি। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির দুবারের এমপি ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী পেয়েছেন ৪৩ হাজার ৪৯১ ভোট।

শাহ্ সারোয়ার কবির

গাইবান্ধা-২ (সদর) আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বঞ্চিত শাহ্ সারোয়ার কবির প্রথমবারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সারোয়ার কবির স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে ট্রাক প্রতীকে পেয়েছেন ৬৪ হাজার ১৯০ ভোট। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির আব্দুর রশিদ সরকার পেয়েছেন ৬১ হাজার ৩৭ ভোট।

কামারুল আরেফিন

জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিয়ে গলায় জয়ের মালা পরলেন উপজেলা চেয়ারম্যান কামারুল আরেফিন। কুষ্টিয়া-২ (মিরপুর-ভেড়ামারা) আসনে তার কাছে বড় ব্যবধানে হেরেছেন নৌকা প্রতীকের প্রার্থী জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু। কামারুল আরেফিন ট্রাক প্রতীকে ১ লাখ ১৫ হাজার ৭৯৯ ভোট পেয়েছেন। ইনু নৌকা প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৯২ হাজার ৪৪৫ ভোট।

খান মুহাম্মদ সাইফুল্লাহ আল মেহেদী

বগুড়া-৩ আসনে ট্রাক প্রতীকে ৬৯ হাজার ৭৫০ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন খান মুহাম্মদ সাইফুল্লাহ আল মেহেদী। তিনি হারিয়েছেন দুবারের সংসদ সদস্য ও জোট মনোনীত জাতীয় পার্টির প্রার্থী নুরুল ইসলাম তালুকদারকে। তিনি পেয়েছেন ১০ হাজার ৫২৩ ভোট।

আজিজুল ইসলাম

যশোর-৬ (কেশবপুর) আসনে ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক আজিজুল ইসলাম ৪৮ হাজার ৯৪৭ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী নৌকা প্রতীকের প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহীন চাকলাদার পেয়েছেন ৩৯ হাজার ২৬৯ ভোট। 

মাওলানা মোহাম্মদ হুছামুদ্দীন চৌধুরী

সিলেট-৫ (জকিগঞ্জ ও কানাইঘাট) আসনে জয় পেয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী মাওলানা মোহাম্মদ হুছামুদ্দীন চৌধুরী। তিনি পেয়েছেন ৪৭ হাজার ১৫৩ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মাসুক উদ্দিন আহমদ পেয়েছেন ৩২ হাজার ৯৭৩ ভোট।

গোলাম সরোয়ার টুকু

বরগুনা-১ আসনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী (ঈগল প্রতীক) গোলাম সরোয়ার টুকু। তিনি পেয়েছেন ৬১ হাজার ৭৪২ ভোট। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী গোলাম ছরোয়ার ফোরকান (কাঁচি প্রতীক) পেয়েছেন ৫৭ হাজার ৮৭৪ ভোট। 

মহিউদ্দীন মহারাজ

প্রথমবারের মতো নির্বাচনে অংশ নিয়ে পিরোজপুর-২ আসনে ৯৯ হাজার ২৬৮ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী মহিউদ্দীন মহারাজ। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির (জেপি) চেয়ারম্যান বর্তমান সংসদ সদস্য আনোয়ার হোসেন মঞ্জু পেয়েছেন ৭০ হাজার ৬৮১ ভোট।

শামীম শাহনেওয়াজ

পিরোজপুর-৩ (মঠবাড়িয়া) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. শামীম শাহনেওয়াজ কলার ছড়ি প্রতীক নিয়ে প্রথমবারই নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি ৬২ হাজার ১৩০ ভোট পেয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী ঈগল প্রতীকের ডা. রুস্তুম আলী ফরাজী পেয়েছেন ৪৭ হাজার ৬২১ ভোট।

এস এম ব্রহানী সুলতান মামুদ (গামা)

নওগাঁ-৪ আসনে ৮৫ হাজার ১৮০ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন ট্রাক প্রতীকের এস এম ব্রহানী সুলতান মামুদ (গামা)। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী নৌকা প্রতীকের প্রার্থী নাহিদ মোর্শেদ পেয়েছেন ৬২ হাজার ১৩২ ভোট।

আবদুর রশিদ 

জামালপুর- ৪ আসনে সংসদ সদস্য হয়েছেন সরিষাবাড়ী উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য স্বতন্ত্র প্রার্থী অধ্যক্ষ আবদুর রশিদ। ৫০ হাজার ৬৭৮ ভোট পেয়েছেন তিনি। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ প্রার্থী প্রকৌশলী মাহবুবুর রহমান হেলাল পেয়েছেন ৪৭ হাজার ৬৩৮ ভোট। আসনে বর্তমান সংসদ সদস্য সাবেক প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান দলীয় মনোনয়ন বঞ্চিত হয়ে ঈগল প্রতীক নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।

ওমর ফারুক

নওগাঁ-৬ আসনে জয় লাভ করেছেন ট্রাক প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী ওমর ফারুক। ৭৬ হাজার ৭১৭ ভোট পেয়েছেন তিনি। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আনোয়ার হোসেন হেলাল পেয়েছেন ৬৯ হাজার ৯৭১ ভোট। 

শফিকুর রহমান

রাজশাহী-২ আসনে ৫৫ হাজার ১৪১টি ভোট পেয়ে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী বাংলাদেশের ওয়ার্কাস পার্টির ফজলে হোসেন বাদশাকে হারিয়েছেন কাঁচি প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. শফিকুর রহমান। বাদশা পেয়েছেন ৩১ হাজার ৪২৩ ভোট।

ছানুয়ার হোসেন ছানু

শেরপুর-১ আসনে মো. ছানুয়ার হোসেন ছানু ট্রাক প্রতীক নিয়ে ১ লাখ ৩৬ হাজার ২৭৮ ভোট পেয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী নৌকা প্রতীকের মো. আতিউর রহমান আতিক পেয়েছেন ৯৩ হাজার ১৭৫ ভোট। 

মাহমুদুল হক সায়েম

ময়মনসিংহ-১ আসনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী টানা দুবারের সংসদ সদস্য জুয়েল আরেং-কে হারিয়ে দিয়েছেন ট্রাক প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী মাহমুদুল হক সায়েম। ৯৩ হাজার ৫৩১ ভোট পেয়েছেন তিনি। জুয়েল আরেং পেয়েছেন ৭৩ হাজার ৮৫২ ভোট। 

নজরুল ইসলাম

ময়মনসিংহ-৫ আসনে ট্রাক প্রতীকে ৫২ হাজার ৭৮৫ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন কৃষিবিদ মো. নজরুল ইসলাম। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির প্রার্থী সালাহ উদ্দিন আহমেদ মুক্তি পেয়েছেন ৩৪ হাজার ১৬৮ ভোট।

এবিএম আনিসুজ্জামান

ময়মনসিংহ-৭ আসনে ট্রাক প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী এবিএম আনিসুজ্জামান ৭১ হাজার ৭৩৭ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য হাফেজ রুহুল আমীন মাদানী পেয়েছেন ৫০ হাজার ৩০৯ ভোট।

মাহমুদ হাসান সুমন

ময়মনসিংহ-৮ আসনে ঈগল প্রতীকের মাহমুদ হাসান সুমন ৫৬ হাজার ৮০১ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির প্রার্থী ফখরুল ইমাম পেয়েছেন ২৭ হাজার ৯৮৪ ভোট।

আব্দুল ওয়াহেদ

ময়মনসিংহ-১১ আসনে জয় পেয়েছেন মোহাম্মদ আব্দুল ওয়াহেদ। ট্রাক প্রতীকে তিনি ৯৫ হাজার ২৮০ ভোট পেয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী নৌকা প্রতীকের প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য কাজিম উদ্দিন আহমেদ ধনু পেয়েছেন ৫৬ হাজার ৪২০ ভোট।

আব্দুল মালেক সরকার 

ময়মনসিংহ-৬ আসনে মো. আব্দুল মালেক সরকার ট্রাক প্রতীকে ৫২ হাজার ৭৮৫ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট মোসলেম উদ্দিন পেয়েছেন ৪২ হাজার ৫৫৮ ভোট।

খাঁন মুহাম্মাদ সাইফুল্লাহ আল মেহেদী বাঁধন

নিজের প্রথম সংসদ নির্বাচনেই বাজিমাত করেছেন আওয়ামী লীগ নেতা খাঁন মুহাম্মাদ সাইফুল্লাহ আল মেহেদী বাঁধন। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বগুড়া-৩ (আদমদীঘি-দুপচাঁচিয়া) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে ট্রাক প্রতীকে ৬৯ হাজার ৭৫০ ভোট পেয়ে জয়লাভ করেছেন তিনি। তার প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা দলটির দুবারের এমপি অ্যাডভোকেট নুরুল ইসলাম তালুকদার পেয়েছেন ১০ হাজার ৫২৩ ভোট।

জাতীয় পার্টি ও কল্যাণ পার্টির যারা 

আশরাফুজ্জামান আশু

প্রথমবারের মতো নির্বাচনে অংশ নিয়ে জয়ের দেখা পেয়েছেন আশরাফুজ্জামান আশু। সাতক্ষীরা-২ আসনে জাতীয় পার্টির এই প্রার্থী লাঙ্গল প্রতীকে পেয়েছেন ৮৮ হাজার ৩৫৭ ভোট। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য মীর মোস্তাক আহমেদ রবি ঈগল প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ২৭ হাজার ৪৪৭ ভোট।

সৈয়দ মুহাম্মদ ইব্রাহিম

বীর মুক্তিযোদ্ধা বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির প্রতিষ্ঠাতা মেজর জেনারেল সৈয়দ মুহাম্মদ ইব্রাহিম এবারই প্রথম সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। কক্সবাজার-১ (চকরিয়া-পেকুয়া) আসনে হাতঘড়ি প্রতীকে তিনি পেয়েছেন ৮১ হাজার ৯৫৫ ভোট। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বর্তমান সংসদ সদস্য স্বতন্ত্র প্রার্থী জাফর আলম ট্রাক প্রতীকে ৫২ হাজার ৯৮৬ ভোট পেয়েছেন। 

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত