ডাগ আউটে অস্থির পায়চারিই বলে দিচ্ছিল কতটা দুশ্চিন্তায় ছিলেন অস্কার ব্রুজোন। ফেডারেশন কাপের ফাইনালের শেষ বাঁশি বাজতেই দৌড়ে মাঠের মধ্যে ঢুকে গেলেন বসুন্ধরা কিংসের স্প্যানিশ কোচ। অবশেষে বাংলাদেশের ঘরোয়া ফুটবলে ট্রেবল জিতলেন মোহামেডানকে ২-১ গোলে হারিয়ে।
ব্রুজোনের কোচিং ক্যারিয়ার ১৭ বছরের। ২০০৭ সালে শুরু করা কোচিং ক্যারিয়ারে মুম্বাই এফসি, মায়োর্কা, নিউ রেডিয়েন্টের মতো ক্লাবের কোচ ছিলেন। এরপর গত ৫ মৌসুমে বসুন্ধরা কিংসের দায়িত্বে।
কিন্তু এতদিন ট্রেবল জেতা হয়নি । অবশেষে ক্যারিয়ারে প্রথমবার ট্রেবল জিতে উচ্ছ্বসিত কোচ। ম্যাচ শেষে বলছিলেন, “অনেক দিন পর অবশেষে এটা জিতলাম। এটা আমার জন্য অনন্য। বিশেষ কিছু। অবশ্যই এটা আমার ক্যারিয়ারে প্রথম ট্রেবল, তাই আনন্দটা বেশি। আমার ওপর যারা আস্থা রেখেছিল এজন্য তাদের ধন্যবাদ। ”
ম্যাচে কখনও হাল ছাড়েননি বসুন্ধরা কিংসের কোচ। অথচ ম্যাচে ৮৬ মিনিট পর্যন্ত এগিয়ে ছিল মোহামেডান। কোচ এই ম্যাচের বিশ্লেষণ করতে গিয়ে বলেন, “প্রথমার্ধ আমার জন্য খুব স্পেশাল ছিল। ৩ থেকে ৪টা সুযোগ কাজে লাগাতে পারিনি আমরা। তবু পুরো ৯০ মিনিটে আমরা কখনও আশা ছাড়িনি। কখনও মনে হয়নি যে আমরা এই ম্যাচ হেরে যাব। ছেলেদের ওপর আমার আস্থা ছিল। আমরা টিম হয়ে খেলেছি তাই জিতেছি।”
সঙ্গে যোগ করেন, “মোহামেডান খুব ভালো দল। মোহামেডানের গোল হওয়াটা ম্যাচের টার্নিং পয়েন্ট। যদিও প্রথম অর্ধের চেয়ে আমরা পরের অর্ধে ভালো খেলেছি। দ্বিতীয়ার্ধে প্রথম ১৫ মিনিট ওরা খেলেছে। তবে আমার খুব দ্রুত ম্যাচে নিয়ন্ত্রণ নিয়েছি। অল আউট খেলেছি শেষ ২০-২৫ মিনিট।”
ট্রেবল জিততে পেরে কৃতজ্ঞতা জানালেন ক্লাব কর্মকর্তাদের প্রতি, “ ট্রেবল জিততে পেরে আমি খুব রোমাঞ্চিত। আমি খুব খুশি যে ম্যানেজমেন্টসহ ক্লাবের সবাই আমার প্রতি আস্থা রেখেছে। এজন্য আমি কৃতজ্ঞ। পুরো স্বাধীনতা ছিল আমার। পুরো মৌসুমে ছেলেরা উন্নতি করেছে। আগে সব কিছু জিতেছি। শুধু চোখ ছিল ট্রেবলে। আসলে মৌসুমটা খুব দীর্ঘ ছিল এবার। তবু পুরো ভ্রমণটা ভালো ছিল।”
যদিও ম্যাচে হারের পর মোহামেডান কোচ আলফাজ আহমেদ দুষলেন রেফারিদের, “এই ম্যোচে রেফারিদের কারণে হেরেছি আমরা। বিশ্বনাথের লাল কার্ড হয়। দেয়নি। ও অন্তত ৪টা ফাউল করেছে। শেষ দিকে গোলের সময়ও কোচ ওদের পক্ষ নিয়েছে। এভাবে খেললে ম্যাচ জেতা কঠিন।”