টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে ভালো করতে পারছে না বাংলাদেশ। এ খবর অবশ্য নতুন কিছু নয়। বছরের পর বছর এমনই হয়ে আসছে। সেই সঙ্গে না পারার কারণ হিসেবে টি-টোয়েন্টি মানসিকতা ও স্কিলে পিছিয়ে থাকার বিষয়টি মেনে নেন ক্রিকেটাররা। পাশাপাশি সবার মুখেই এক কথা – ঘরের মাঠ মিরপুরে ভালো উইকেট না পাওয়া।
গোয়ালিয়রে নাজমুল হোসেন শান্ত বলেছিলেন ভালো উইকেটে না খেলায় তাদের ১৮০-২০০ রান করার সামর্থ্য কম। দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টির পর একই কথা বলেছেন তাসকিন আহমেদও। মিরপুরের উইকেটের বিষয়টি সামনে এনে তাসকিন বলেছেন, “দেখেন ভারতের ব্যাটাররা এখানে বল একটু বাজে হলেই নানা রকম উদ্ভাবনী শট করে। অনেক রকম শট করেও তারা সফল হয়। কিন্তু আমাদের দেশে এরকম শট মারতে গেলে দেখা যাবে বল চোখে-মুখে লাগবে। উইকেট ভালো না হলে আমরা আসলে ব্যাটিংয়ে উন্নতি করতেও পারব না।”
পাশাপাশি দলীয় ভাবে ব্যর্থ হওয়াটাও সামনে এনেছেন তাসকিন। এই পেসারের মতে ভারত-অস্ট্রেলিয়া-ইংল্যান্ডের মতো বাংলাদেশ ওয়ান ম্যান আমি না। তাসকিন বলেছেন, “আমরা কিন্তু এক ক্রিকেটারের দল না। যে একদিন একজনেই ম্যাচ জিতিয়ে দিল। আমাদের জিততে হলে ৮০ ভাগ ক্রিকেটারকে একসঙ্গে ভালো করতে হয়। আমরা এদিক থেকে ভারতের চেয়ে অনেক পিছিয়ে।”
এই অবস্থাটা কিভাবে পরিবর্তন করতে পারে বাংলাদেশ। তাসকিন উপায় বের করলেন সেই ঘরোয়া ক্রিকেটে ভালো কিছু থেকেই। বাংলাদেশের হয়ে বুধবারের ম্যাচে ভালো বল করা এই পেসার বলেছেন, “আমাদের টি-টোয়েন্টি মানসিকতা বদলাতে হলে একদিনে হবে না। ঘরোয়া ক্রিকেটে এক বিপিএল নয় আরও টুর্নামেন্ট খেলতে হবে। এসব টুর্নামেন্ট আমরা ভালো উইকেটে খেলতে পারলে ভালো কিছু শিখবো। দেখেন ভারতের জন্য ১৮০-২০০ রান নরমাল ব্যাপার, যেমনটা আমাদের হোমে আমাদের জন্য ১৩০-৪০। এই অবস্থাটা পরিবর্তন করলে হয়তো ধীরে ধীরে উন্নতি সম্ভব।”
এই উন্নতি আনতে হলে মিরপুরকে পরিবর্তন করতে হবে। এই ব্যাপারটা আসতে হবে বিসিবি থেকে। তাসকিনরা ম্যানেজমেন্টকে জানিয়েছেন। এবার পরিবর্তিত বিসিবি থেকে ভবিষ্যতে কি আসবে তা দেখতে চান তাসকিন, “বাজে উইকেটের জন্য শুধু ম্যানেজম্টেকে দায়ি করা যায় না। জিতলে তাদেরও তো সম্মান বাড়ে। আমরা ম্যানেজমেন্টকে বলেছি কি দরকার, কি করলে ভালো হয়। এখন দেখা যাক ম্যানেজমেন্ট থেকে আমরা সামনে কি সুবিধা পাই। আশাকরি ভালো কিছুই হবে।”
তাসকিনরা ভালো উইকেট চান। যেমন দিল্লিতে ছিল। সেই অবস্থাটা মিরপুরে হবে কিনা তা বিরাট প্রশ্ন। নয়তো ভবিষ্যতে আরও অনেকবার টি-টোয়েন্টির ব্যর্থতার গল্প যোগ হবে বাংলাদেশের ঝুলিতে।