ঢাকার দক্ষিণখানে একটি পোশাক কারখানায় কাজে যোগ দিতে সকালে বাসা থেকে বের হয়েছিলেন মো. সজিব (১৭)। কিছু সময় পর পরিবারের সদস্যরা খবর পান— তাকে অচেতন অবস্থায় উত্তরায় কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। পরে সেখান থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক সজিবকে মৃত ঘোষণা করেন।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া জানান, সকাল ১১টার দিকে সজিবকে হাসপাতালে আনা হয়। পরে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
সজিবের পরিবারের অভিযোগ, সহকর্মীর মারধরের কারণে তার মৃত্যু হয়েছে।
তার ভাই সলেমান জানান, তারা দক্ষিণখানেই থাকেন। সজিব এই এলাকার ফ্যাশন গার্মেন্টসে কাজ করতেন।
তিনি বলেন, “সকালে আমার ভাই বাসা থেকে গার্মেন্টসে কাজ করার উদ্দেশে বের হয়। পরে খবর পাই সে উত্তরায় কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালে আছে। সেখানে গিয়ে তাকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে আসলে চিকিৎসক জানান আমার ভাই আর বেঁচে নেই।”
সলেমন আরও বলেন, “জানতে পেরেছি, একই গার্মেন্টসের কর্মী মাহিনের সঙ্গে আমার ভাইয়ের কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে মাহিন কিল-ঘুসি ও বুকে লাথি মারলে সজিব অজ্ঞান হয়ে যায়। আশপাশের লোকজন তাকে উদ্ধার করে মৈত্রী হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরে আমরা খবর পেয়ে তাকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে যাই।”
সজিবের সহকর্মী মো. সোহাগ জানান, সকালে সজীব গার্মেন্টসে যাওয়ার পর মাহিম (২০) নামে তাদের এক সহকর্মী সজিবকে ডেকে কারখানার গেটের পাশে নিয়ে যায়। এরপর সেখানে তাকে মারধর করতে থাকে। এক পর্যায়ে সজিব অচেতন হয়ে পড়লে মাহিম দৌড়ে সেখান থেকে পালিয়ে যায়।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ বাচ্চু মিয়া বলেন, “মরদেহ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের মর্গে রাখা হয়েছে। আমরা বিষয়টি দক্ষিণখান থানাকে জানিয়েছি।”
এ বিষয়ে জানতে চাইলে দক্ষিণখান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সিদ্দিকুর রহমান বলেন, “অভিযুক্তকে ধরতে আমাদের অভিযান চলমান রয়েছে।”