সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট সহিংসতায় নিহতদের আত্মার শান্তি ও আহতদের সুস্থতা কামনা করে দেশের মসজিদগুলোয় দোয়া করা হয়েছে।
শুক্রবার জুমার নামাজ শেষে বায়তুল মোকাররমসহ দেশের সব মসজিদে দোয়া হয়, যেখানে অংশ নেন সাধারণ মানুষ।
দোয়ায় নিহতদের আত্মার শান্তি, তাদের মৃত্যু পরবর্তী সুন্দর জীবনের জন্য প্রার্থনা করা হয়। সেইসঙ্গে আহতদের দ্রুত সুস্থতাও কামনা করা হয়।
এছাড়াও দেশের উন্নয়ন ও জান-মাল রক্ষার জন্য সৃষ্টিকর্তার কাছে দোয়া করেন সবাই।
পাশাপাশি দেশের অনেক মসজিদে দোয়ার আয়োজন করেছিল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ।
এর আগে বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে মসজিদে মসজিদে দোয়া আয়োজনের ঘোষণা দেয় আওয়ামী লীগ।
দলের দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়ার সই করা বিবৃতিতে বলা হয়, “সম্প্রতি ঢাকাসহ সারা দেশে বিএনপি-জামায়াতের সহিংসতায় নিহত শিক্ষার্থীসহ সাধারণ মানুষ যারা প্রাণ হারিয়েছেন, তাদের আত্মার মাগফেরাত এবং আহতদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করে শুক্রবার বাদ জুমা মসজিদ মসজিদে দোয়া ও মোনাজাত অনুষ্ঠিত হবে। একই সঙ্গে আগামী রবিবার দেশের মন্দির, মঠ, গির্জা ও প্যাগোডাসহ সব ধর্মীয় উপাসনালয়ে বিশেষ প্রার্থনার আয়োজন করা হবে।”
একই দিন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নতুন কর্মসূচির কথা তুলে ধরেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের একজন আবদুল হান্নান মাসুদ।
সেই কর্মসূচিতে বলা হয়, “শহীদদের স্মরণে শুক্রবার দেশব্যাপী মসজিদ, মন্দির ও গির্জাসহ সব ধর্মীয় স্থানে প্রার্থনা, বাদ জুমা দেশব্যাপী গায়েবানা জানাজা এবং শহীদদের স্মরণে শোক মিছিল অনুষ্ঠিত হবে। গ্রাম, হাট-বাজার, উপজেলা শহর, জেলা শহরসহ সর্বত্র মসজিদ থেকে গায়েবানা জানাজা শেষে শোক মিছিল বের করুন।”