জিম্বাবুয়ের সঙ্গে সিরিজের প্রথম ম্যাচে দারুণ শুরু পেয়েছে বাংলাদেশ। শুরুটা এনে দিয়েছিলেন বোলাররা। প্রথম ৬.২ ওভারেই ৩৮ রানে ৬ উইকেট হারাতে হয় জিম্বাবুয়েকে। ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে আসা মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন জানিয়েছেন শুরুর বোলিংটাই ম্যাচ বাংলাদেশের পক্ষে এনেছে।
জিম্বাবুয়ে ব্যাটারদের একের পর এক উইকেট বিলিয়ে আসায় মনে হতেই পারে ব্যর্থতাটা সফরকারী ব্যাটারদের বেশি। কিন্তু সাইফউদ্দিন তা মানতে নারাজ। এই অলরাউন্ডারের মতে তারা ভালো বোলিং করেছেন।
গত সপ্তাহে নেপালের কাছে উইন্ডিজ এ দলের হারের প্রসঙ্গ তুলে সাইফউদ্দিন বলেছেন, “জিম্বাবুয়ের চার পাঁচজন ক্রিকেটার আছে যারা ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেট খেলে। সেদিক থেকে আমরা পিছিয়ে। উইন্ডিজ এ দল নেপালের কাছে হেরেছে আপনারা জানেন। টি-টোয়েন্টিতে আসলে ভালো বা খারাপ দল বিভেদ করার সুযোগ নেই। আজকে আমরা শুরুর ৬ ওভারে ভালো বল করতে পেরেছি তাই আমাদের ব্যাটারদের জন্য সহজ টার্গেট এসেছে।”
চট্টগ্রামের উইকেটে বরাবরই রান হয়। তবে এ উইকেটে শুরুর কয়েকটি ওভার দেখে খেললে বড় রান করা সম্ভব। তাই সাইফ জানিয়েছেন আগে ব্যাট করলে ১৮০ করতো বাংলাদেশ।
জিম্বাবুয়ে ব্যাটারদের ভুল সামনে এনে এই অলরাউন্ডার বলেছেন, “আমাদের ইনিংসটা যদি দেখেন প্রথম ৪-৫টা ওভার ব্যাট করা কঠিন ছিল। জিম্বাবুয়ে ব্যাটাররা ওই জায়গাটায় বিফল ছিল। শুরুতে উইকেট পড়তে দেরি করেছে। যদি আমরা আগে ব্যাট করতাম চেষ্টা করতাম ১৮০ রান করার। কারণ চট্টগ্রাম বরাবরই ব্যাটিং সহায়ক উইকেট। বিপিএলেও এখানে হাই স্কোরিং ম্যাচ হয়েছে।”
অভিষেক ম্যাচ খেলতে নেমেই ফিফটি করে ম্যাচ জিতিয়েছেন তানজিদ হাসান তামিম। সাইফউদ্দিন প্রশংসায় ভাসালেন এই তরুণকেও। জানালেন সৌম্য সরকার ফিট থাকলেও হয়তো একাদশেই সুযোগ হতো না তানজিদের।
এই ওপেনারকে বাকি চার ম্যাচেও এমন ধারাবাহিক দেখতে চান সাইফউদ্দিন, “অসাধারণ খেলেছে, প্রথম ম্যাচ সে যেভাবে আগ্রাসী ব্যাটিং করেছে তা সত্যিই প্রশংসনীয়। সৌম্য ভাই ফিট থাকলে হয়তো সে একাদশেই সুযোগ পেত না। তো সেই সুযোগটা সে কাজে লাগিয়েছে। আমি আশা করবো ওর কাছ থেকে এমন ধারাবাহিক থাকা বাকি চার ম্যাচে।”