কাউন্টিতে সারের হয়ে দুর্দান্ত সময় কাটিয়ে এসেছেন সাকিব আল হাসান। দুই ইনিংস মিলিয়ে তার ৯ উইকেট। বোলিং করেছিলেন ৬৩.২ ওভার। সেই সাকিবকে চেন্নাই টেস্টে সেভাবে বল করতে দেখা গেল না। প্রথম ইনিংসে করেন মাত্র ৮ ওভার। আর দ্বিতীয় ইনিংসে ১৩ ওভার।
সব মিলিয়ে ২১ ওভারে বোলিংয়ে এলেও নিজের সামর্থ্যের ধারেকাছেও ছিলেন না সাকিব। কী হয়েছে সাকিবের? চেন্নাই টেস্টে ধারাভাষ্যকারের ভূমিকায় থাকা তামিম ইকবাল জানিয়েছেন, বাঁ হাতের আঙুলে সমস্যা হয়েছে সাকিবের। বাঁহাতি অলরাউন্ডারের চোটের ব্যাপারে টিম ম্যানেজমেন্ট ঠিকঠাক যোগাযোগ করেছে কিনা- এই প্রশ্নও তুলেছেন তামিম।
চেন্নাই টেস্টে সাকিবকে বল হাতে খুব একটা দেখা যাচ্ছিল না। কেন তিনি বোলিংয়ে কম আসছেন, সেটা জানতে সাকিবের সঙ্গে কথা বলেন ভারতের সাবেক স্পিনার ও ধারাভাষ্যকার মুরালি কার্তিক। কথা বলে তিনি জানতে পারেন, আঙুলে সমস্যা হচ্ছে সাকিবের।
পরে সেটি ধারাভাষ্যে জানিয়েছেন কার্তিক, “ওকে (সাকিব) আমি দীর্ঘদিন ধরে চিনি। তাই জিজ্ঞেস করেছিলাম, কী কারণে কম বোলিং করছে। সে আমাকে যা বলেছে, একজন স্পিনার হিসেবে সেটা বুঝতে পারি। ওর বাঁ হাতের স্পিনিং ফিঙ্গারে একটা অস্ত্রোপচার করা হয়েছিল, সেটি এখন ফুলে গেছে, শক্ত হয়ে আছে। ওই আঙুলে বলের অনুভূতিটাও পাচ্ছে না সাকিব। স্পিনার হিসেবে বলের অনুভূতিটা দরকার। এছাড়া কাঁধেও অস্বস্তি আছে।”
কার্তিকের সঙ্গে সাকিবের কথোপকথনের বিষয়টি সামনে এনেছেন তামিম। সাকিবকে বোলিংয়ে কেন বেশি দেখা যাচ্ছে না, সেটির ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে জিও সিনেমা-কে বাঁহাতি ওপেনার বলেছেন, “সাকিবকে বোলিং করতে না দেখে আমি অবাক হয়েছি। এরপর আমি আমার সহকর্মী ধারাভাষ্যকার মুরালি কার্তিকের কাছ থেকে কিছু তথ্য পাই। তার (সাকিবের) আঙুলে একটু সমস্যা হয়েছে, যে আঙুলে ওর অস্ত্রোপচার হয়েছিল। তাছাড়া ওর কাঁধেও সমস্যা আছে।”
এরপর তিনি টিম ম্যানেজমন্টের বিষয়টি সামনে এনেছেন, “আমি বিশ্বাস করি টেস্ট ম্যাচ শুরুর আগে বিষয়টি (সাকিবের আঙুলের সমস্যা) জানতো। কারণ টিম ম্যানেজমেন্ট যদি তার সঙ্গে ঠিকঠাক যোগাযোগ না করে, এর অর্থ দাঁড়ায় এই টেস্টে বাংলাদেশ চারজন বোলার নিয়ে খেলছে। যেটা খুবই দুঃখজনক।”
২০২৩ সালের বিশ্বকাপে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে আঙুলে চোট পেয়েছিলেন সাকিব। যেকারণে বিশ্বকাপই শেষ হয়ে যায় এই অলরাউন্ডারের। আর তার সবশেষ অস্ত্রোপচার হয়েছিল ২০২৩ সালের এশিয়া কাপের সময়।