তারকা ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান গত নির্বাচনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের মনোনয়নে। তবে এই মনোনয়নের আগেই তিনি নতুন রাজনৈতিক দল বিএনএমের সদস্য ফরম পূরণ করেন বলে খবর বেরিয়েছে।
এ প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, সাকিবের বিএনএমে যোগ দেওয়া বিষয়ে তার কিছু জানা নেই।
বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে মঙ্গলবার আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলছিলেন কাদের। এসময় সাকিবের বিএনএমে যোগ দেওয়া নিয়ে কাদেরকে প্রশ্ন করেন সাংবাদিকরা।
জবাবে তিনি বলেন, “আমি বিষয়টি গণমাধ্যমে দেখেছি। এ সম্পর্কে আমার কিছু জানা ছিল না।”
আওয়ামী লীগের মনোনয়নে সাকিবের সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার বিষয়টি উল্লেখ করে কাদের বলেন, “নমিনেশন পার্টির কাছে চাওয়ার সময় সে দলের প্রাথমিক সদস্য হয়েছে। তার আগে তো সাকিব আমাদের দলের কেউ ছিল না।”
নির্বাচন সুষ্ঠু দেখানোর স্বার্থে ক্ষমতাসীন দলের ছত্রছায়ায় গড়ে ওঠা রাজনৈতিক দলগুলোকে ‘কিংস পার্টি’ হিসেবে আখ্যা দেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। দ্বাদশ ভোটের আগে গড়ে ওঠা বিএনএমকেও কেউ কেউ কিংস পার্টিই বলছিলেন।
এ প্রসঙ্গ তুলে সাংবাদিকরা জানতে চান, গত জাতীয় নির্বাচনে কিংস পার্টি সৃষ্টিতে সরকারের ভূমিকা আছে কি না?
জবাবে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের পাল্টা প্রশ্ন তুলে বলেন, সরকারি দল কিংস পার্টি করতে যাবে কেন?
নির্বাচনকে সামনে রেখে রাজনৈতিক দলের এখানে অনেক ফুল ফোটে মন্তব্য করে মন্ত্রী বলেন, “কোনটা কিংস পার্টি, কোনটা প্রজা পার্টি এ সম্পর্কে আমাদের কিছু জানা নেই। আমরা প্রত্যেককে রাজনৈতিক দল হিসেবে দেখি। নির্বাচন কমিশন তাদের নিবন্ধন দেয়।”
এসময় বিএনপির বিভিন্ন সমালোচনা করেন ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, বিএনপির নেতারা ক্লান্ত, কর্মীরা হতাশ। এ অবস্থায় গালিগালাজ করা ছাড়া তাদের করার কিছু নেই। দলটি এখন ইফতার পার্টির নামে সরকারের অন্ধ সমালোচনা করছে।
আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে বিএনপি’কে ভাঙার অভিযোগ নিয়ে এক বিএনপি নেতার বক্তব্যেরও জবাব দেন ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, “বিএনপিকে আমরা কেন ভাঙতে যাব? আমাদের কি কোনও দুর্বলতা আছে, যে বিএনপি থেকে লোক এনে সে ঘাটতি পূরণ করতে হবে?”
গত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থিতা ফরম কিনতে ভিড়ের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে কাদের বলেন, আওয়ামী লীগে কোনও দুর্ভিক্ষ নেই।
জনগণের সমর্থন ছাড়া সরকার পরিবর্তন সম্ভব নয় মন্তব্য করে তিনি বলেন, “বিএনপির বন্ধুপ্রতিম দেশের কাছে সাহায্য চাওয়ার অর্থ তাদের ক্ষমতায় বসিয়ে দেওয়া। নির্বাচন ছাড়া তাদের কে ক্ষমতায় বসাবে? এটা তো হতে পারে না। ক্ষমতায় বসাবে দেশের জনগণ।”
মতবিনিময়ে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক ও মির্জা আজম, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, উপদপ্তর সম্পাদক সায়েম খান, কার্যনির্বাহী সদস্য সাহাবুদ্দিন ফরাজী ও আনিসুল ইসলামসহ অন্যরা।