সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরওয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ ফের পিছিয়ে আগামী ২ মার্চ নির্ধারণ করা হয়েছে। এ নিয়ে আলোচিত এই হত্যা মামলার প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ ১১৫ বার পেছাল।
সোমবার ঢাকার মহানগর হাকিম জি.এম. ফারহান ইশতিয়াকের আদালত এ তারিখ ঠিক করেছে।
এদিন মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের ধার্য দিন ছিল। তবে তদন্ত সংস্থা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) প্রতিবেদন দাখিল করতে পারেননি। এজন্য বিচারক প্রতিবেদন দাখিলের নতুন তারিখ দেন।
২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি ঢাকার পশ্চিম রাজাবাজারের ভাড়া বাসায় খুন হন সাংবাদিক দম্পতি সাগর ও রুনি। ঘটনার সময় বাসায় ছিল তাদের সাড়ে চার বছরের ছেলে মাহির সরওয়ার মেঘ।
সাগর বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল মাছরাঙা আর রুনি এটিএন বাংলায় কর্মরত ছিলেন।
হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় শেরেবাংলা নগর থানায় মামলা করেন রুনির ভাই নওশের আলম। প্রথমে মামলাটি তদন্ত করে শেরেবাংলা নগর থানা পুলিশ। পরে তদন্তভার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) কাছে হস্তান্তর করা হয়।
তদন্তের দায়িত্ব পাওয়ার ৬২ দিনের মাথায় ২০১২ সালের ১৮ এপ্রিল হাই কোর্টে ব্যর্থতা স্বীকার করে ডিবি। এরপর তদন্তের দায়িত্ব যায় র্যাবের কাঁধে।
দীর্ঘ ১২ বছর র্যাব হত্যাকাণ্ডটির তদন্ত করলেও গত ৩০ সেপ্টেম্বর তাদের এই দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেয় উচ্চ আদালত।
রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর সেদিন বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি মুহাম্মদ মাহবুব উল ইসলামের হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ এক আদেশে বলে, সাগর সরওয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যা মামলার তদন্ত এখন থেকে একটি উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন টাস্কফোর্স করবে, যা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে গঠিত হবে।
সাগর-রুনি হত্যা মামলার তদন্ত চেয়ে করা রিট আবেদনের আদেশ সংশোধন চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে উচ্চ আদালত এই আদেশ দিয়েছিল।
গত ২৩ অক্টোবর সাগর সরওয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যা মামলার তদন্তে উচ্চ আদালতের নির্দেশে টাস্কফোর্স গঠন করে সরকার। চার সদস্যের এই টাস্কফোর্সের আহ্বায়ক পিবিআই প্রধান।
মামলার আসামিরা হলেন, রফিকুল ইসলাম, বকুল মিয়া, মাসুম মিন্টু, কামরুল ইসলাম ওরফে অরুন, আবু সাঈদ, সাগর-রুনির বাড়ির ২ নিরাপত্তারক্ষী পলাশ রুদ্র পাল ও এনায়েত আহমেদ এবং তাদের ‘বন্ধু’ তানভীর রহমান খান। এদের মধ্যে তানভীর ও পলাশ জামিনে রয়েছে; বাকিরা কারাগারে।