Beta
সোমবার, ১৩ জানুয়ারি, ২০২৫
Beta
সোমবার, ১৩ জানুয়ারি, ২০২৫

সাবধানী ব্যাটিংয়ে জয় দক্ষিণ আফ্রিকার

দক্ষিণ আফ্রিকা
[publishpress_authors_box]

মাত্র ৭৮ রানের টার্গেট। দক্ষিণ আফ্রিকা কত দ্রুত জিতে রান রেট কতটা বাড়িয়ে নেয় তা দেখার ছিল। সেসবের কিছু্ হলো না। একশ রানের কম লক্ষ্য হলেও তা ছুঁতে ১৭ ওভার লেগে গেল প্রোটিয়াদের (৮০/৪)। শুরুতে দ্রুত উইকেট হারানোয় সাবধানী ব্যাটিংয়ে ৬ উইকেটের জয় পেয়েছে তারা।

এই ম্যাচের পর নিউ ইয়র্কের নাসাউ কাউন্টির মাঠ এক রহস্য হয়ে থাকবে। আইপিএলের দুইশো ছোঁয়া স্কোর বিশ্বকাপের ২০ ওভারে অন্তত এ মাঠে হচ্ছে না। দু্ইশো কঠিন হয়ে উঠেছে এই মাঠের উইকেটের জন্য। ব্যাটাররা হাত খুলে খেলবেন সেই সুযোগ নেই নাসাউ কাউন্টিতে। সাবধানী খেলাই এখানে জয়ের পথ এনে দেবে। যেমনটা দিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকাকে।

নতুন এই পিচে সুবিধা পাচ্ছেন বোলাররা। পেস বা স্পিন, দুই বিভাগেই দক্ষিণ আফ্রিকা ও শ্রীলঙ্কার বোলাররা পিচের সহযোগীতা পেয়েছেন। তাই দুই দলের ব্যাটারদের রান করতে বেগ পেতে হয়েছে অনেক। পাওয়ার প্লে তে শ্রীলঙ্কা মাত্র ২৪ রান করেছে। দক্ষিণ আফ্রিকা করেছে ২৭ রান। দুই দল মিলে মাত্র ৫১ রান তুলেছে পাওয়ার প্লেতে। যা টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ইতিহাসে এক ম্যাচে তৃতীয় সর্বনিন্ম পাওয়ার প্লে রান।

লক্ষ্য ছোট দিলেও শ্রীলঙ্কার জন্য ভরসা হয়ে ছিল টুর্নামেন্টের আগের ম্যাচটি। যেখানে ওমান মাত্র ১০৯ রানে অলআউট হয়েও ম্যাচ টাই করেছিল নামিবিয়ার সঙ্গে। পরে সুপার ওভার হারে তারা। মাত্র দ্বিতীয় ওভারে থুসারা রেজা হনেড্রিকসকে ফিরিয়ে লঙ্কান স্বপ্ন রঙ্গীন করেন।

পঞ্চম ওভারে প্রোটিয়া অধিনায়ক এইডেন মারক্রাম ফেরেন ১২ রানে। দুই উইকেট হারানোর পর খুব সাবধানে এগোতে থাকে দক্ষিণ আফ্রিকা। বাজে বল ছাড়া বড় শটের চিন্তাও করেনি।

১০ ওভার পর লঙ্কান স্পিনার হাসারাঙ্গা আবার উত্তেজনা ছড়ান ম্যাচে। ১১ ওভারে ২০ রান করা কুইন্টন ডি কক ও ১৩ ওভারে ১৩ রান করা ট্রিস্টিয়ান স্টাবসকে ফিরিয়ে ম্যাচে ফেরান নিজের দলকে। অবশ্য এরপর আর আঘাত দিতে পারেননি তারা।

আইপিএল মাতিয়ে আসা হেনরিখ ক্লাসেনের ঠান্ডা মাথার ইনিংসে জয় নিশ্চিত হয় দক্ষিণ আফ্রিকার। ২২ বলে ১৯ রান করেন ক্লাসেন। তবে তার একটি করে ছক্কা ও চার এসেছে ইনিংসের শেষে জয় নিশ্চিতের মুহুর্তে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত